শফিকুল ইসলাম সাফা, চিতলমারী :
যন্ত্রবাহনের শব্দ দূষণে জীবন যখন অসহনীয়, তখন শিশু আব্দুল্লাহ আল প্রিন্সের ঘোড়ায় চড়ে যাতায়াত মানুষের দৃষ্টি আকর্ষণ করেছে। কয়েক মাস ধরে বাগেরহাটের চিতলমারী উপজেলা সদর বাজারে তাকে বিচরণ করতে দেখা যাচ্ছে। ছেলের বায়না পূরণ করতে বাবা কিনে দিয়েছেন এই ঘোড়া।
চিতলমারী থানার সামনে সড়কে বসে শিশু আব্দুল্লাহ আল প্রিন্সকে প্রশ্ন করা হয়, ঘোড়ার পরিবর্তে মোটরসাইকেল কিংবা চার চাকার প্রাইভেট নেবে কি-না? হেসে উত্তর দেয় প্রিন্স, ‘কোন কিছুর বিনিময়ে আমি ঘোড়া দেবো না। কারণ ঘোড়ায় চড়লে নায়ক বা রাজার মতো মনে হয়। এমনিতেও আমার নাম প্রিন্স! এই ঘোড়া আমার বন্ধু। ঘোড়ার প্রাণ আছে, গাড়িগুলোর তা নেই। তাছাড়া মোটর সাইকেল কিংবা গাড়ি শব্দ দূষণ করে, বায়ু দূষণ করে। কিন্তু ঘোড়া অনেক ভাল, ওর সাথে আমার অনেক ভাব!’
শিশু আব্দুল্লাহ আল প্রিন্সের বাবা শেখ শহীদ চিতলমারী সদর ইউনিয়নের ২নং ওয়ার্ডের সাবেক সদস্য। তিনি জানান, চার মাস আগে ছেলেকে ঘোড়া কিনে দিয়েছি। ঘোড়ার কারণে ছেলে লেখাপড়ায় মনোযোগী হয়েছে। প্রিন্স চিতলমারী সদরের আধুনিক বেবী হোম কিন্ডার গার্টেনে তৃতীয় শ্রেণিতে পড়ে। সে ইউটিউবে দেখেছে আগের দিনে রাজারা কিংবা নায়কেরা ঘোড়ায় চড়তো। ঘোড়া পরিবেশ বান্ধব। তাই ছেলের বায়না পূরণ করতে ১৪ হাজার টাকা দিয়ে ঘোড়া কিনে দিয়েছি। বিদ্যালয় কিংবা এলাকায় যাতায়াতে সে ঘোড়া ব্যবহার করে। ঘোড়ার পরিচর্যার জন্য আলাদা লোক রাখা আছে। তবে ঘোড়ার ক্রয় মূল্যের তুলনায় পরিচর্যায় ব্যয় বেশি হয়। পরিচর্যাকারী এই ঘোড়াটিকে ঘন্টায় প্রায় ৪০ কিলোমিটার বেগে ছুটতে পারে।