মোঃ জিহাদুল ইসলাম, নড়াইল প্রতিনিধিঃ
নড়াইলের বড়দিয়া বাজারে অসাধু ব্যবসায়ী চক্র শত শত কার্টুন সয়াবিন তেল মজুদ রাখায় দেখা দিয়েছে কৃত্রিম সংকট। কিছু কিছু ব্যবসায়ী বাজারের ভিতর আলাদা গোডাউনে মজুদ রেখেছে সয়াবিন তেল এবং বোতলের গায়ে নির্ধারিত মূল্যের চেয়ে অধিক মূল্যে বিক্রয় করছে দোকানদার।
দেশের প্রতিটি বাজারে কিছু অসাধু ব্যবসায়ীদের কারণে তেলের বাজারের এ উর্ধ্বগতি বলে মন্তব্য করেছেন সচেতন মহল। এছাড়া এ সকল মজুদদারদের জাতীয় শত্রু আখ্যা দিয়ে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবী জানিয়েছেন তারা।
এলাবাসীর গোপন সংবাদের ভিত্তিতে ০৩ মার্চ (বুধবার) সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, বড়দিয়া বাজারের বড় ব্যবসায়ী নিতাই সাহা তার ব্যবসায়ীক দোকানের পাশেই আরেকটি গোডাউনে গুদামজাত করে রেখেছে কয়েকশত কার্টুন সয়াবিন তেল ও নিসিদ্ধ ঘোষিত অবৈধ পলিথিন। এছাড়া বড়দিয়া সংলগ্ন চোরখালী গ্রামে তার নিজের বাড়ীতেও গোডাউন বানিয়ে ওই সমস্ত মালামাল মজুদ রেখেছেন বলে তিনি নিজেই স্বীকার করেছেন। ওই বাজারের ব্যবসায়ী শ্যামল দাশের (সুদে শ্যামল) ছেলে মিন্টু দাশ (ইউপি সদস্য) ও তার ভাই সুজিত দাশ ওরফে পটু দুটি ব্যবসা প্রতিষ্ঠান চালায় এবং তাদের রয়েছে দুটি দোকান ও দুটি বড় গোডাউন। সেখানেও মিলেছে শত শত কার্টুন সয়াবিন ও অবৈধ ১২ বস্তা পলিথিন এবং খোলা তেলের বাজার মূল্য বেশী হওয়ায় বোতলজাত তেলের মুখ খুলে খোলা তেলের সাথে মিশিয়ে চড়া মূল্যে বাজারে বিক্রি করছে। এছাড়াতাদের গোডাউনে প্রায় ২/৩ শত খালি তেলের বোতল দেখা গেছে।
আরেক অসাধু ব্যবসায়ী সাগর সাহার দোকান ঘরের দোতলায় গিয়ে এবং পাশের টিনসেড গোডাউনেও দেখা যায় একই দৃশ্য। এ বিষয়ে অভিযুক্ত অসাধু ব্যবসায়ীদের সঙ্গে সাংবাদিকদের কথা হলে তারা কোন সদুত্তর দিতে পারে নাই। পরবর্তীতে তারা সাংবাদিকদের নিউজ না করার জন্য অনুরোধ করেন।
অনুসন্ধানের বিষয়টি উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) মোঃ জহুরুল ইসলামকে তাঁর মুঠফোনে অবহিত করলে, তিনি বলেন, বিষয়টি উদ্বেগজনক। শিঘ্রই তদন্ত সাপেক্ষে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।