Nabadhara
ঢাকারবিবার , ২১ সেপ্টেম্বর ২০২৫
  1. অর্থনীতি
  2. আইন-আদালত
  3. আন্তর্জাতিক
  4. ইতিহাস
  5. কৃষি
  6. খুলনা বিভাগ
  7. খেলাধুলা
  8. চট্টগ্রাম বিভাগ
  9. জাতীয়
  10. জেলার সংবাদ
  11. ঢাকা বিভাগ
  12. তথ্যপ্রযুক্তি
  13. ধর্ম
  14. প্রধান সংবাদ
  15. ফিচার
আজকের সর্বশেষ সবখবর

বিরামপুরে খাদ্যবান্ধব কর্মসূচির ৩৫৭ জন প্রস্তাবিত কার্ডধারী এখনও চাল পাননি

Link Copied!

মোঃ ইব্রাহীম মিঞা, বিরামপুর (দিনাজপুর) প্রতিনিধি

দিনাজপুরের বিরামপুর উপজেলার খাদ্যবান্ধব কর্মসূচিতে চলছে ধীরগতি ও কর্তৃপক্ষের অবহেলা। এর ফলে ইউনিয়ন কমিটির প্রস্তাবিত ৩৫৭ জন প্রস্তাবিত কার্ডধারী সরকারি ভর্তুকি মূল্যের চাল থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন।

উপজেলার সাতটি ইউনিয়নে ৯২৫৩ জন কার্ডধারীর মাঝে সরকার নির্ধারিত ভর্তুকি মূল্যে চাল বিতরণের কথা। এর মধ্যে ৮৮৯৬ জন নিয়মিতভাবে চাল সংগ্রহ করলেও দিওড় ও পলিপ্রয়াগপুর ইউনিয়নের ৩৫৭ জন প্রস্তাবিত কার্ডধারী এখনও চাল পাচ্ছেন না। কারণ, উপজেলা কমিটির অনুমোদনের আগেই অভিযোগ ওঠায় তদন্ত শেষ না হওয়া পর্যন্ত তাদেরকে চাল দেওয়া সম্ভব হয়নি।

সরকারি নিয়ম অনুযায়ী কার্ডধারীরা বছরে ছয় মাস চাল সংগ্রহ করতে পারেন। চলতি অর্থবছরে আগস্ট, সেপ্টেম্বর, অক্টোবর ও নভেম্বর—এই চার মাস এবং আগামী বছরের মার্চ ও এপ্রিলে তারা ১৫ টাকা কেজি দরে ৩০ কেজি চাল পাওয়ার কথা। কিন্তু তদন্তে ধীরগতির কারণে দুই ইউনিয়নের ৩৫৭ জন প্রস্তাবিত কার্ডধারী এখনো চাল পাওয়া থেকে বঞ্চিত।

এ বিষয়ে উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক কর্মকর্তা জানান, ওই ৩৫৭ জন প্রস্তাবিত কার্ডধারীর বিরুদ্ধে অভিযোগ তদন্ত শেষ হলে এবং তদন্ত সাপেক্ষে নতুন কোন নাম আসলে উপজেলা কমিটির অনুমোদন পাওয়া সাপেক্ষে ৩৫৭ জন প্রস্তাবিত কার্ডধারীও সরকারি ভর্তুকি মূল্যে চাল সংগ্রহ করতে পারবেন। অন্য পাঁচটি ইউনিয়নে কোনো সমস্যা না থাকায় সেখানকার কার্ডধারীরা নিয়মিতভাবেই চাল পাচ্ছেন।

উপজেলা নির্বাহী অফিসার নুজহাত তাসনীম আওন দিওড় ইউনিয়নে উপজেলা সমবায় কর্মকর্তা রাকিবুল হাসানকে আহ্বায়ক করে তিন সদস্যবিশিষ্ট কমিটি এবং পলিপ্রয়াগপুর ইউনিয়নে উপজেলা একাডেমিক সুপারভাইজার আব্দুস সালামকে আহ্বায়ক করে আরেকটি তিন সদস্যবিশিষ্ট তদন্ত কমিটি গঠন করেছেন। তবে তদন্ত কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, খাদ্য নিয়ন্ত্রক কর্মকর্তার কাছ থেকে প্রয়োজনীয় কাগজপত্র সংগ্রহ করে দ্রুত সময়ের মধ্যে তদন্ত রিপোর্ট জমা দেওয়া হবে।

পলিপ্রয়াগপুর ইউনিয়নের কয়েকজন ইউপি সদস্য অভিযোগ করেছেন, তাদের অবহিত না করে এবং কোনো নোটিশ ছাড়াই ১০৫টি নাম প্রস্তাব করা হয়েছে। ইউনিয়ন চেয়ারম্যানের মুঠোফোনে যোগাযোগের চেষ্টা করেও সাড়া মেলেনি। অন্যদিকে, দিওড় ইউনিয়নে প্রস্তাবিত ২৫২টি নাম নিয়েও অভিযোগ রয়েছে, যা উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক কর্মকর্তা নিশ্চিত করেছেন।

কার্ড প্রস্তাবিতরা অভিযোগ করছেন, তদন্তে গাফিলতির কারণে একের পর এক ধাপে তারা সরকারি চাল থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন। অথচ এই কর্মসূচির চালই তাদের মাসের নিত্যপ্রয়োজনীয় খাদ্যের প্রধান ভরসা।

উপজেলার সাতটি ইউনিয়নে ১৭ টি কেন্দ্রে ১৭জন  ডিলারের মাধ্যমে খাদ্য বান্ধব কর্মসূচির চাল বিতরণ করার কথা থাকলেও উপজেলার ২ নং কাটলা ইউনিয়নের খাদ্য বান্ধব কর্মসূচির ডিলার নিয়োগ সংক্রান্ত সমস্যা থাকায় পার্শ্ববর্তী ২টি ইউনিয়নের ডিলারদের মাধ্যমে চাল বিতরণ করা হচ্ছে। এবিষয়ে দ্রুত তদন্ত সাপেক্ষে ২ নং কাটলা ইউনিয়নে ডিলার নিয়োগ এর দাবি আবেদনকৃত ডিলারদের।

উপজেলা নির্বাহী অফিসার নুজহাত তাসনীম আশা প্রকাশ করেছেন, তদন্ত রিপোর্টের ভিত্তিতে দ্রুত অনুমোদন প্রদান করা হবে। পাশাপাশি, ডিলার নিয়োগ সমস্যা সমাধান করে ২ নং কাটলা ইউনিয়নেও আবেদকৃত ডিলারদের লটারির মাধ্যমে বাছাই করে নিয়োগ দিয়ে চাল বিতরণ নিশ্চিত করার পরিকল্পনা গ্রহণ করা হয়েছে। এই পদক্ষেপের ফলে একদিকে কার্ডধারীরা বঞ্চনার শিকার হবেন না, অন্যদিকে সরকারের জনবান্ধব কর্মসূচির কার্যকারিতা অব্যাহত থাকবে।

এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসার নুজহাত তাসনীমের সাথে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তিনি ফোন রিসিভ করেননি।

সচেতন মহল মনে করছে, যথাযথ সমন্বয় ও দ্রুত পদক্ষেপের মাধ্যমে স্থানীয় সমস্যার সমাধান সম্ভব।

এই সাইটে নিজম্ব নিউজ তৈরির পাশাপাশি বিভিন্ন নিউজ সাইট থেকে খবর সংগ্রহ করে সংশ্লিষ্ট সূত্রসহ প্রকাশ করে থাকি। তাই কোন খবর নিয়ে আপত্তি বা অভিযোগ থাকলে সংশ্লিষ্ট নিউজ সাইটের কর্তৃপক্ষের সাথে যোগাযোগ করার অনুরোধ রইলো।বিনা অনুমতিতে এই সাইটের সংবাদ, আলোকচিত্র অডিও ও ভিডিও ব্যবহার করা বেআইনি।