
কোটালীপাড়া প্রতিনিধিঃ
গোপালগঞ্জের কোটালীপাড়া উপজেলার আমতলী ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে উপজেলা আওয়ামী লীগের সভানেত্রী রাফেজা বেগম বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় জয়ী হয়েছেন।
গত বৃহস্পতিবার মনোনয়নপত্র জমাদানের শেষ দিনে আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী রাফেজা বেগম ছাড়া এই ইউনিয়নে অন্য কোন প্রার্থী তাদের মনোনয়নপত্র জমা দেননি।
এইদিন উপজেলার ৭টি ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে ২১জন প্রার্থী তাদের মনোনয়নপত্র জমা দেন।
মনোনয়নপত্র জমা দেওয়া চেয়ারম্যান প্রার্থীরা হলেন, রাধাগঞ্জ ইউনিয়নের আওয়ামী লীগের মনোনীত প্রার্থী ভীম চন্দ্র বাগচী, স্বতন্ত্র প্রার্থী হাবিবুর রহমান ও হালিম শিকদার। কান্দি ইউনিয়নে আওয়ামী লীগের মনোনীত প্রার্থী তুষার মধু ও স্বতন্ত্র প্রার্থী মান্নান শেখ। শুয়াগ্রাম ইউনিয়নে আওয়ামী লীগের মনোনীত প্রার্থী যজ্ঞেশ্বর বৈদ্য অনুপ, স্বতন্ত্র প্রার্থী আব্দুল আজিজ খান ও জাহিদুল ইসলাম। পিঞ্জুরী ইউনিয়নে আওয়ামী লীগের মনোনীত প্রার্থী আমিনুজ্জামান খান মিলন, স্বতন্ত্র প্রার্থী সামিউল হাওলাদার, কামরুল ইসলাম ও বর্তমান চেয়ারম্যান আবু সাইদ শিকদার। বান্ধাবাড়ি ইউনিয়নে আওয়ামী লীগের মনোনীত প্রার্থী মিজানুর রহমান হাওলাদার মানিক, স্বতন্ত্র প্রার্থী মোঃ লিপন মিয়া, মোঃ হান্নান মোল্লা ও আশেক রাতুল। সাদুল্লাপুর ইউনিয়নে আওয়ামী লীগের মনোনীত প্রার্থী সমর চাঁদ মৃধা, স্বতন্ত্র প্রার্থী সাবেক চেয়ারম্যান সত্যেন্দ্রনাথ জয়ধর, জগদীশ চন্দ্র বাড়ৈ ও বিমল শিকদার।
এছাড়া আমতলী ইউনিয়নে আওয়ামী লীগের মনোনীত প্রার্থী রাফেজা বেগম একক ভাবে মনোনয়নপত্র জমা দেন । এই ইউনিয়নে অন্য কোন প্রার্থী মনোনয়পত্র জমা দেননি।
অপরদিকে সংরক্ষিত মহিলা আসনে ৯৩ জন ও সাধারণ আসনে ২৯৫জন মেম্বর প্রার্থী তাদের মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন।
আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সভানেত্রী রাফেজা বেগম বলেন, দীর্ঘ ৪০ বছর ধরে আওয়ামী রাজনীতির সাথে যুক্ত আছি। এরই পুরস্কার হিসেবে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা আমাকে নৌকা প্রতিক দিয়েছেন। এ জন্য আমি মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনাকে ধন্যবাদ জানাই।
তিনি আরও বলেন, আমি ছাড়া আমতলী ইউনিয়নে অন্য কোন প্রার্থী তাদের মনোনয়নপত্র জমা দেননি। আমি চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়ে জনগনের সেবা করতে চাই।
উপজেলা নির্বাচন অফিসার খায়রুল ইসলাম বলেন, যেহেতু আমতলী ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে রাফেজা বেগম ছাড়া অন্য কেউ মনোনয়নপত্র জমা দেননি। সেহেতু তাকে জয়ী বলা যেতে পারে। তবে আনুষ্ঠানিক ভাবে ঘোষনা দিতে মনোনয়নপত্র প্রত্যাহারের শেষ দিন পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হবে।