মোঃ জিহাদুল ইসলাম, কালিয়া প্রতিনিধিঃ
নড়াইলের নাড়াগাতী থানার মহাজন উত্তর পাড়া গ্রামে স্বরস্বতীর মুর্তি ভাংচুরের অভিযোগ পাওয়া গেছে। ৬ ফেব্রুয়ারী (শনিবার) রাতে ওই ঘটনা ঘটেছে। রহস্য জনক কারণে ভাঙ্গা মূর্তিটি কাপড়ে মুড়ে লুকোচুরি খেলছে মন্ডপ কতৃপক্ষ বলে অভিযোগ উঠেছে।
রবিবার সকালে সাংবাদিকরা সরেজমিনে গিয়ে কাপড়ে ঢাকা মুর্তি দেখতে পায় এবং কাপড় সরিয়ে ছবি তুলতে গেলে মাউলী ইউনিয়নের সদস্য ও পূজা উদযাপন কমিটির সাধারন সম্পাদক সজল ঠাকুর সাংবাদিকদের ছবি তুলতে বাঁধা দিয়ে অযুহাত হিসাব প্রশাসনের নিষেধাজ্ঞা আছে বলে সাংবাদিকের সঙ্গে বিতর্কে জড়িয়ে যান।
মুর্তি ভাংচুরের বিষয়টি তিনি স্বীকার করলেও সাংবাদিকদের বেশীরভাগ প্রশ্নের উত্তর নিজে না দিয়ে উপস্থিত সকলকে মুখ খুলতে নিষেধ করেন। তবে তিনি বলেন, প্রতি বছর এখানে অস্থায়ী পুজা মন্ডপে বিদ্যার দেবী স্বরস্বতীর মূর্তি তৈরীর কাজ চলছে। এখানে মঞ্চ বানিয়ে আমরা পুজা করি। মন্ডপে কেউ না থাকার সুযোগে শনিবার রাত ৮ টার দিকে অঞ্জাত নামা দুস্কৃতকারিরা মুর্তির নাক, গলার মালা ও হাত ভাংচুর করে পালিয়ে যায়। এ ঘটনায় এলাকার সাধারণ মানুষ অজানা আতংকে ভুগতে শুরু করেছেন।
রহস্যজনক ভাবে মুর্তি ভাংচুর ও ভাঙ্গা মুর্তি কাপড়ে মুড়ে রাখার ঘটনায় স্থানীয়রা মুখ খুলতে নারাজ। নাম প্রকাশ না করার শর্তে মহাজন বাজারের কিছু স্থায়ী দোকানদার, শ্রমিক ও সচেতন মহলের অনেকে বলেছেন, আগামী ইউপি নির্বাচনে মাউলী ইউয়নের ৭ নম্বর ওয়ার্ডে সদস্য পদে সজলের প্রতিদ্বন্দি হিসাবে ১০ জন সম্ভাব্য প্রার্থী আত্মপ্রকাশ করেছে। সম্ভাব্য সদস্য প্রার্থীদের কাউকে ঘায়েল করতে ওই মুর্তি ভাংচুরের ঘটনা ঘটানো হতে পারে বলে তারা ধারনা করছেন। তাদের মতে সে কারনেই হয়ত ভাঙ্গা মুর্তি কাপড়ে মুড়ে এভাবে লুকোচুরি খেলছে মন্ডপ কর্তৃপক্ষ। সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি নষ্ট করে নির্বাচনে ফায়দা লুটার জন্যই এ ন্যাক্কারজনক কাজ ঘটানো হয়েছে বলে তারা মন্তব্য করেন।
এ বিষয়ে নড়াগাতী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা রোকসানা খাতুন বলেন, মুর্তি ভাংচুরের ঘটনা শুনেছি এবং আমি ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছি। এ বিষয়ে তদন্ত চলছে। তবে প্রশাসনের পক্ষ থেকে ছবি তোলার ব্যাপারে কোন নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়নি।