1. nabadhara@gmail.com : Nabadhara : Nabadhara ADMIN
  2. bayzidnews@gmail.com : Bayzid Saad : Bayzid Saad
  3. bayzid.bd255@gmail.com : Bayzid Saad : Bayzid Saad
  4. mehadi.news@gmail.com : MEHADI HASAN : MEHADI HASAN
  5. jmitsolution24@gmail.com : support :
  6. mejbasupto@gmail.com : Mejba Rahman : Mejba Rahman
শুক্রবার, ০৪ অক্টোবর ২০২৪, ১১:৩৭ অপরাহ্ন

কালিয়ায় দেদারছে চলছে অবৈধ স’মিল, সরকার হারাচ্ছে মোটা অংকের রাজস্ব

Reporter Name
  • প্রকাশিতঃ বুধবার, ১০ ফেব্রুয়ারী, ২০২১
  • ৬৩৩ জন নিউজটি পড়েছেন।

মোঃ জিহাদুল ইসলাম, কালিয়া (নড়াইল) প্রতিনিধিঃ

সরকারের অনুমোদন ছাড়াই নড়াইলের কালিয়ায় প্রায় অর্ধশত স’মিলে (করাত কল) চলছে রমরমা অবৈধ ব্যবসা। এ সব মিলে সাবাড় হচ্ছে বনজ, ফলজসহ নানা প্রজাতির গাছ।

অনুসন্ধানে জানা যায়, অনুমোদনহীন এসব মিল থেকে বন বিভাগের এক শ্রেণির অসাধু কর্মকর্তা-কর্মচারী নিয়মিত মাসোহারা আদায় করায় সরকার হারাচ্ছে বিপুল পরিমাণ রাজস্ব।

বন বিভাগ সূত্রে জানা গেছে, বন আইন ১৯২৭ ও তৎপ্রণীত স’মিল (লাইসেন্স) বিধিমালা ২০১২ অনুযায়ী কোনো স’মিল মালিক লাইসেন্স না নিয়ে ব্যবসা পরিচালনা করতে পারবে না। লাইসেন্স নেওয়ার পর থেকে প্রতিবছর তা নবায়ন করতে হবে।

আজ বুধবার (১০ ফেব্রুয়ারী) কালিয়া উপজেলার বিভিন্ন স’মিল (করাত কল) ঘুরে দেখা গেছে, মিল চালানোর ক্ষেত্রে সরকারের সুনির্দিষ্ট বিধান থাকলেও এ উপজেলায় এ চিত্র একেবারেই বিপরীত। এসব মিল মালিকরা ১৫/২০ বছর যাবৎ অনুমোদন ছাড়াই দিব্বি চালাচ্ছে স’মিল।

লাইসেন্সবিহীন স’মিলগুলো বন্ধ করার কোনো উদ্যোগও চোখে পরেনি। এসব মিল চত্বরে বিভিন্ন প্রজাতির গাছ মজুত করে রাখা হয়েছে। কাক ডাকা ভোর থেকে মধ্যরাত পর্যন্ত এসব মিলে বিরামহীন চলছে কাঠ কাটার কাজ।

বড়দিয়া এলাকার মেসার্স মোল্যা স’মিলের মালিক সানি মোল্যা ও মুন্সী স’মিলের মালিকের ছেলে প্রিন্স মুন্সী বলেন, “দীর্ঘদিন আমাদের স’মিল চলছে। অনুমোদনের জন্য আবেদন করেছি, এখনো অনুমোদন পাইনি। মিল যখন চালু করেছি, তা তো চালাতে হবে। বন বিভাগের লোকজনকে মাঝে মাঝে উপঢৌকন দিয়ে মিল চালাচ্ছি।”

‌ তাদের তো কোনো আপত্তি নেই বলে তারা দ্রুত সটকে পড়েন। কিন্তু তারা কোন কাগজপত্র দেখাতে পারেনি।

বড়দিয়া কলেজের পূর্ব পার্শ্বে মেসার্স সুমন ডিজিটাল স’মিলের মালিক সুমন মোল্যা বলেন, “আমার কাগজপত্র সবই করা আছে কিন্তু নবায়ন করা হয়নি।”

কাঠ ব্যবসায়ী শিবু ভৌমিক, সহিদ, নাছের শিকদারসহ অনেকে বলেন, “আমরা কাঠের ব্যবসা করি। এ ব্যবসা করে আমাদের সংসার চলে। মিলের সঙ্গে আমাদের সম্পর্ক। আমরা দেখি মাঝেমধ্যে বন বিভাগের লোকজন এসে মিল থেকে টাকা নিয়ে যায়। এতে আর কোনো ঝামেলা হয় না।”

তবে সচেতন মহল মনে করেন, এভাবে সরকারের অনুমোদন বিহীন করাত কল (স’মিল) চলায় একদিকে পরিবেশ হচ্ছে নষ্ট, বন উজাড় হচ্ছে অপরদিকে সরকার হারাচ্ছে মোটা অংকের রাজস্ব। এদের বিরুদ্ধে ব্যাবস্থা নেওয়া জরুরী।

এ ব্যাপারে নড়াইল জেলার রেঞ্জ কর্মকর্তা হারুন-অর-রশিদ স’মিল-মালিকদের থেকে মাসোহারা নেয়ার কথা অস্বীকার করে বলেন, ‘অবৈধ স’মিল গুলোর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়ার জন্য আমরা ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানিয়েছি। দ্রুত ভ্র্যাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”

 

নবধারা/বিএস

নিউজটি শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

More News Of This Category
© All rights reserved সর্বস্বত্বঃ দেশ হাসান
Design & Developed By : JM IT SOLUTION