নবধারা প্রতিনিধিঃ
গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়ায় গণধর্ষণের শিকার হযেছেন এক স্কুল পড়ুয়া ছাত্রী। সে টুঙ্গিপাড়া বঙ্গবন্ধু স্মৃতি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের নবম শ্রেণীর শিক্ষার্থী। তার বাড়ী উপজেলার গিমাডাঙ্গার মুন্সিরচর গ্রামে। গত ১৪ ফেব্রুয়াারি সন্ধ্যা ৬ টার দিকে এ ঘটনা ঘটে।
মামলার বিবরণীতে জানা যায়, প্রতিদিনের মত পাটগাতীস্থ সঞ্চারন কোচিং সেন্টারে মেয়েটি পড়া শেষ করে বাসার উদ্দেশ্যে রওনা হয়। পথিমধ্যে ৩ জন বখাটে যুবক নতুন বাজার বটতলা নামক স্থান থেকে তার পথ রোধ করে। ইজিবাইক চালকের সহযোগিতায় চোখ বেঁধে তাকে গোপন স্থানে নিয়ে যায়। সেখানে নিয়ে তার নাকে চেতনা নাশক স্প্রে করাসহ তার সাথে জবরদস্তি করে। তারপরেও ভিকটিম রাজি না হলে তার মাথায় আঘাত করে ফলে সে অজ্ঞান হযে পড়লে বন্ধুদের সহযোগীতায় তাকে ধর্ষণ করা হয়। পরে রাত ৮ টার দিকে অচেতন অবস্থায় তাকে তার বাসার সামনে ফেলে রেখে যায়।
পরে তাকে চিকিৎসার জন্য তার পরিবার ১০০ শয্যা বিশিষ্ট টুঙ্গিপাড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স নিয়ে যায়। অবস্থার অবনতি ঘটলে রাত ৯ টায় কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে গোপালগঞ্জ সদর হাসপাতালে নিতে বলেন। উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের অ্যাম্বুলেন্স চালক ছুটিতে থাকায় এবং টুঙ্গিপাড়া ফায়ার সার্ভিসের অ্যাম্বুলেন্স নষ্ট থাকায় তাকে মাহিন্দ্রাতে করে ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট গোপালগঞ্জ সদর হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানেও তার শারীরিক অবস্থার অবনতি ঘটলে পরদিন ১৫ ফেব্রুয়ারি বিকেল ৪ টায় তাকে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়।
ভিকটিমের বাবা নবধারাকে বলেন, এ ঘটনায় আমার পরিবারের উপর দিয়ে ঝড় বয়ে যাচ্ছে। আমি আজ রাতে টুঙ্গিপাড়া থানায় একটি মামলা করেছি। আমি বাবা হিসেবে দোষীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানাচ্ছি।
এ বিষয়ে টুঙ্গিপাড়ায় থানায় আজ রাত ২ টায় একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে। মামলা নং ০২, তারিখ ২০-০২-২০২১
টুঙ্গিপাড়া থানা অফিসার ইনচার্জ এএফএম নাসিম নবধারাকে জানান, “এ বিষযে ভিকটিমের বাবা টুঙ্গিপাড়া থানায় একটি মামলা দায়ের করেছেন। এর প্রেক্ষিতে আসামিদের ধরার জোর প্রচেষ্টা রয়েছে। মেডিকেল টেস্টের জন্য ভিকটিমকে গোপালগঞ্জ সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।