Nabadhara
ঢাকাবৃহস্পতিবার , ৩ মার্চ ২০২২
  1. অর্থনীতি
  2. আইন-আদালত
  3. আন্তর্জাতিক
  4. ইতিহাস
  5. কৃষি
  6. খুলনা বিভাগ
  7. খেলাধুলা
  8. চট্টগ্রাম বিভাগ
  9. জাতীয়
  10. জেলার সংবাদ
  11. ঢাকা বিভাগ
  12. তথ্যপ্রযুক্তি
  13. ধর্ম
  14. প্রধান সংবাদ
  15. ফিচার
আজকের সর্বশেষ সবখবর

নড়াইলে এসএ রেকর্ডিও সম্পত্তিতে অনিয়মতান্ত্রিকভাবে কবরস্থান নির্মানের অভিযোগ

MEHADI HASAN
মার্চ ৩, ২০২২ ৪:৫৭ অপরাহ্ণ
Link Copied!

মোঃ জিহাদুল ইসলাম,  নড়াইল প্রতিনিধিঃ

নড়াইলের কালিয়া উপজেলার বড়দিয়া-চোরখালী আশ্রায়ন প্রকল্প সংলগ্ন পূর্ব পাশে সরকারী জমিতে অনিমতান্ত্রিকভাবে কবর স্থান নির্মানের অভিযোগ পাওয়া গেছে।

স্থাণীয় সূত্রে যায় প্রায় ২০ বছর পূর্বে চোরখালী গ্রামের হাসেম মোল্যা (৬০) এসএ রেকর্ডিও মালিক হিসাবে কিছু সরকারী জমিতে কর্তৃপক্ষের অনুমতি ছাড়া কবর স্থান নির্মান কাজ শুরু করেন। তার সহযোগী হিসাবে ওই গ্রামের মোশারেফ বিশ্বাস (৬৫) ও বক্কার বিশ্বাস (৭০) এলাকার প্রভাবশালী ও প্রবাসীদের নিকট থেকে চাঁদা তুলে কবরস্থানের প্রসারে কাজ করে চলেছেন। এভাবে পার্শ্ববর্তী অনেকের এসএ রেকর্ডিও জমি প্রভাবশালীদের হাতে রেখে জোর করে বা সদিচ্ছায় তারা নিয়ে নিয়েছেন ওই কবর স্থানে। ০২ মার্চ (মঙ্গলবার) সরেজমিনে গেলে একই গ্রামের ইবাদত মোল্যার ছেলে ইউনুচ মোল্যা সাংবাদিকদের কাছে তার ভিডিও বক্তব্যে বলেন, আমার কাছে কোন কিছু না শুনে জোর পূর্বক আমার জমিতে গোরস্থান নির্মান কাজ শুরু করেছে এবং আমার জমি কবরস্থানের মধ্যে রেখে ৮/১০ টি বেষ্টনী আরসিসি পিলার ও করে ফেলেছেন। আমার কোন কথাই তারা শোনেনি।

এছাড়া এর আগেরও তারা স্থাণীয় সাবেক এক ইউপি সদস্য এর প্ররোচনায় আমাদের সমতল জমি থেকে মাটি কেটে কবরস্থানে দিয়ে ওই জমিটা পুকুর বানিয়ে ফেলেছে বলে অভিযোগ করেছেন। তাই এখন মাছ ছেড়ে খাই। তাও ওই ত্রি চক্রের জোরজবরদস্তিতে হারাতে বসেছি। তদন্তপূর্বক এর সঠিক বিচার ও আমাদের জমি ফেরত চাই। আরেক ভূক্তভোগী চোরখালী গ্রামের মৃত আকামত মোল্যার ছেলে আকিজ মোল্যা (৪৫) জানান, এসএ ৬১৩ ও ৬০০ খতিয়ানের ২৬৫, ২৬৭, ২৬৮ দাগের ২৬ শতক জমি তার দাদা আলিমউদ্দিনের নামে আছে। ওখানে আমি ফসল আবাদ করতাম। প্রভাবশালী কিছু ভুমিদস্যুদের ইন্ধোনে ওখান থেকে ২১ শতক জমি জোরপূর্বক কবরস্থানের জন্য ওই ৩ জন দখল করে নিয়েছে। আমি এর সুষ্ঠ বিচার চাই।

স্থাণীয়রা আরো বলেন, ওয়ারীশ সূত্রে এসএ রেকর্ডিও জমিতে ভোগদখলে থাকাকালীন নদী ভাঙ্গনে বিলীন হয়ে সর্বশান্ত পরিবারগুলো একটু দুরে সরে বসতি স্থাপন করে মাতবেতর জীবন যাপন করছে। পরবর্তীতে চর পড়ে নদী ভাঙ্গনের জমিগুলো জেগে উঠলে তারা এসএ পর্চা মূলে ওই জমিতে ফসল ফলিয়ে খায় বলে জানা যায়। এ ছাড়া শুরু থেকে অনিয়তান্ত্রিকভাবে কবরস্থান নির্মান করায় এলাকার কিছু সচেতন মহলের ঘোর আপত্তিও ছিল বলে তারা জানান। মালিকানা ও দখলিয় জমিতে বিনা অনুমতিতে কবরস্থান নির্মানের বিষয়ে অভিযুক্তরা কোন সদুত্তর দিতে পারেননি। পরিশেষে ওখানে আর কাজ করাবেন না বলে প্রতিশ্রুতি দিয়ে বিভিন্ন মহলে দৌড় ঝাপ শুরু করেছেনে।

এ ঘটনায় এলাকায় যে কোন মুহুর্তে সংঘর্ষের আশংকা রয়েছে এলাকাবাসী মনে করেন। এ বিষয়ে উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) মোঃ জহুরুল ইসলাম বলেন, এসএ রেকর্ডিও মালিকের জমি আরএস চুড়ান্ত রেকর্ড না পেলে বা মালিক পাওয়া না গেলে সেটা সরকারী সম্পত্তি হিসাবে গন্য হবে। মূল মালিক ফসল ফলিয়ে ভোগ দখলে থাকার অধিকার রাখে। কিন্তু অন্য কেউ সেখানে সরকারী কর্তৃপক্ষের অনুমতি ছাড়া ওই জমি ব্যবহার করতে পারবেনা। বিষয়টি তিনি সরেজমিনে এসে পরিদর্শন করে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহন করবেন বলে জানান।

এই সাইটে নিজম্ব নিউজ তৈরির পাশাপাশি বিভিন্ন নিউজ সাইট থেকে খবর সংগ্রহ করে সংশ্লিষ্ট সূত্রসহ প্রকাশ করে থাকি। তাই কোন খবর নিয়ে আপত্তি বা অভিযোগ থাকলে সংশ্লিষ্ট নিউজ সাইটের কর্তৃপক্ষের সাথে যোগাযোগ করার অনুরোধ রইলো।বিনা অনুমতিতে এই সাইটের সংবাদ, আলোকচিত্র অডিও ও ভিডিও ব্যবহার করা বেআইনি।