Nabadhara
ঢাকাবৃহস্পতিবার , ৪ মার্চ ২০২১
  1. অর্থনীতি
  2. আইন-আদালত
  3. আন্তর্জাতিক
  4. ইতিহাস
  5. কৃষি
  6. খুলনা বিভাগ
  7. খেলাধুলা
  8. চট্টগ্রাম বিভাগ
  9. জাতীয়
  10. জেলার সংবাদ
  11. ঢাকা বিভাগ
  12. তথ্যপ্রযুক্তি
  13. ধর্ম
  14. প্রধান সংবাদ
  15. ফিচার
আজকের সর্বশেষ সবখবর

সংবাদ সম্মেলনের ৫ মাস অতিবাহিত হলেও মধুমতি নদীর প্রশ্নে কর্তৃপক্ষ নিরব!

MEHADI HASAN
মার্চ ৪, ২০২১ ৫:১৫ অপরাহ্ণ
Link Copied!

মোঃ জিহাদুল ইসলাম, (লোহাগড়া) নড়াইলঃ
“আমরা স্বপ্ন দেখতে ভুলে গেছি নদী ভাঙ্গন কবলিত, সর্বস্ব হারানো মঙ্গলপুর গ্রামবাসীদের একটাই কথা, মধুমতি নদীই আমাদের কান্না! কর্তৃপক্ষের নিরবতা আজ আমাদের দুঃস্বপ্নের কারণ হয়ে দাড়িয়েছে”। নড়াইলের লোহাগড়া উপজেলার ১০ নং কোটাকোল ইউনিয়নের মঙ্গলপুর গ্রাম মধুমতি নদী ভাঙ্গনে বিলীন হতে চলেছে সংবাদটি ০৯ সেপ্টেম্বর ২০২০ তারিখে ভাঙ্গন কবলিত গৃহহীন গ্রামবাসী মানবিক এমপি মাশরাফি বিন মর্তজা এবং কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষন করে মানববন্ধনের আয়োজন করেছিল এবং সংবাদটি ১০ ও ১১ সেপ্টেম্বর ২০২০ বিভিন্ন জাতীয়, আঞ্চলিক পত্রিকা ও অনলাইন পোর্টালসহ কয়েকটি টিভি চ্যানেলে প্রকাশিত হয়।
গ্রামবাসীরা মানববন্ধনে তাদের সর্বস্ব হারানো, ধর্মপ্রাণ মুসল্লীদের ইবাদতের স্থান একটি মসজিদ নদীগর্ভে বিলীন হয়ে যাওয়া এবং হুমকির মুখে থাকা মঙ্গলপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়টি করুন দশা জানিয়েছিল। তারা আরো বলেছিল, আগামী বর্ষা মৌসুমের আগে সরকার দ্রুত ব্লক কিংবা বালির বস্তা ফেলে নদী ভাঙ্গনরোধে প্রয়োজনীয় ব্যাবস্থা না নিলে ভাঙ্গন কবলিত অঞ্চলটি রক্ষা পাবেনা। নদী ভাঙ্গনে ভিটামাটি হারানো ভুক্তভুগীরা পরের জায়গায় ছাপড়া উঠিয়ে মাতবেতর জীবন কাটাচ্ছে!
কিন্তু দীর্ঘ প্রায় ৫ মাস হতে চলল কর্তৃপক্ষের নিরবতা আমাদের ভাবিয়ে তুলছে, আর মনে করিয়ে দিচ্ছে আমরা সত্যিই অবহেলিত?এলাকাবাসীর দাবী ছিল মঙ্গলপুর গ্রামের লিকু মোল্যার বাড়ী হইতে জাহাঙ্গীর মোল্যার বাড়ী পর্যন্ত প্রায় দুই কিঃ মিঃ জায়গা বেঁধে দিলে গ্রামটিকে রক্ষা করা সম্ভব হবে। গ্রামের বাসিন্দা অবঃ প্রধান শিক্ষক মোল্যা শাহাদৎ হোসেন (৬৭), মোঃ সিরাজ মোল্যা (৬৫), মুজিবর মোল্যা (৫৮), ও শেরআলী (৪০) জানান, এখানকার বেশীর ভাগ লোকই কৃষি নির্ভর। নদী ভাঙ্গনে কৃষি জমি ও বসতবাটি হারিয়ে মানবেতর জীবন যাপন করছে প্রায় ১৫০ শতাধিক পরিবার। মানববন্ধনের প্রায় ৫ মাস অতিবাহিত হলেও এমপি মহোদয় বা কর্তৃপক্ষের কেউ আমাদের দুর্দশা লাঘবে এগিয়ে আসেনি।
তারা আরো বলেন, উপজেলার শেষ প্রান্তে ও বড় নদীর ওপারে গ্রামটির অবস্থান হওয়ায় আমরা বরাবরই অবহেলিত। আগামী বর্ষা মৌসুমে গ্রামবাসীর ভাগ্যে কী ঘটবে সে দুঃস্বপ্ন তাদের কুড়ে কুড়ে খাচ্ছে।

এই সাইটে নিজম্ব নিউজ তৈরির পাশাপাশি বিভিন্ন নিউজ সাইট থেকে খবর সংগ্রহ করে সংশ্লিষ্ট সূত্রসহ প্রকাশ করে থাকি। তাই কোন খবর নিয়ে আপত্তি বা অভিযোগ থাকলে সংশ্লিষ্ট নিউজ সাইটের কর্তৃপক্ষের সাথে যোগাযোগ করার অনুরোধ রইলো।বিনা অনুমতিতে এই সাইটের সংবাদ, আলোকচিত্র অডিও ও ভিডিও ব্যবহার করা বেআইনি।