রাকিব চৌধুরী, নবধারা প্রতিনিধিঃ
গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়ায় সূর্যমুখী ফুলের চাষ করে লাভবান হওয়ার স্বপ্ন দেখছেন কাকুইবুনিয়া গ্রামের নারী কৃষক দীপ্তি রানী বালা। চলতি মৌসুমে তিনি এক বিঘা জমিতে সূর্যমুখী ফুলের চাষ করেছেন।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, নারী কৃষক দীপ্তি রানী বালার জমিতে এক একটি ফুল যেন হাসিমুখে সূর্যের আলো ছড়াচ্ছে। চারিদিকে হলুদ ফুল আর সবুজ গাছের অপরূপ দৃশ্য। এ সৌন্দর্য দেখতে আশপাশের এলাকা থেকেও তার জমিতে ভিড় জমাচ্ছেন অনেকেই। কেউ কেউ আবার ফুলের সঙ্গে দাঁড়িয়ে ছবিও তুলছেন।
উপজেলা কৃষি অফিস থেকে বিনামূল্যে বীজ ও সার পেয়ে চলতি বছর টুঙ্গিপাড়া উপজেলায় সূর্যমুখী ফুলের চাষ করেছেন প্রায় ১৫০ জন কৃষক। নিজ উদ্যোগে সূর্যমুখী চাষ করেছেন ১০০ জন কৃষক।
টুঙ্গিপাড়া উপজেলা কৃষি অফিস সূত্রে জানা যায়, অল্প সময়ে কম পরিশ্রমে ফসল উৎপাদন ও ভালো দাম পাওয়া যায় বলে কৃষকরা এখন সূর্যমুখী চাষ করছেন। প্রতি বিঘা জমিতে ১ কেজি বীজ দিতে হয়। দেড় ফুট অন্তর অন্তর একটি করে বীজ বপণ করতে হয়। একটি সারি থেকে আরেকটি সারির দূরত্ব রাখতে হয় দেড় ফুট। মাত্র ৮৫ থেকে ৯০ দিনের মধ্যে বীজ বপণ থেকে শুরু করে বীজ উৎপাদন করা সম্ভব।
সূর্যমুখীর বিঘাপ্রতি ফলন ৬ থেকে ৭ মণ। একরের হিসেবে খরচ বাদ দিয়ে ১৫ থেকে ২০ হাজার টাকা লাভ হয়। যা অন্য কোনো ফসলের চেয়ে কম পরিশ্রমে ভালো আয়।
নারী কৃষক দীপ্তি রানী বালা বলেন, “উপজেলা কৃষি অফিসারের পরামর্শে ১ বিঘা জমি লিজ নিয়ে সূর্যমুখীর চাষ করেছি। প্রাকৃতিক দুর্যোগ না হলে আশা করছেন ভালো আয় হবে।”
টুঙ্গিপাড়া উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ মোঃ জামাল উদ্দিন নবধারা কে বলেন, “টুঙ্গিপাড়ায় এ বছর প্রায় ৮০ থেকে ৮২ বিঘা জমিতে সূর্যমুখী চাষ করা হয়েছে। প্রতি বছরের ন্যায় এ বছরও আরো বেশি ফলন হয়েছে।”
তিনি আরো জানান, “সূর্যমুখী চাষে কৃষকদের উদ্বুদ্ধ করতে বিনামূল্যে বীজ ও সার দেওয়া হয়েছে। প্রতি বিঘা জমিতে ছয় থেকে সাড়ে ছয় মণ সূর্যমুখী ফুলের বীজ পাওয়া যাবে। কৃষকদের স্বাবলম্বী করতেই সূর্যমুখী ফুল চাষে উৎসাহিত করা হয়েছে। যদি সফল হওয়া যায় আগামীতে সূর্যমুখীর চাষ অনেক বাড়বে।”
নবধারা/বিএস