শরিফুল ইসলাম, নড়াইল প্রতিনিধিঃ
নড়াইলের লোহাগড়ার কলেজপাড়া এলাকার জাকির হোসেনের সরল বিশ্বাসের সুযোগ নিয়ে ১২ কোটি টাকা হাতিয়ে নিয়েছে তার ছোট ভাই । বিভিন্ন ব্যাংকের ঋণের দায়ও তার কাধে পড়েছে। অবশেষে লোহাগড়ায় থানায় জিডি করেছেন বড় ভাই জাকির হোসেন ।
জিডির কপি ও লিখিত অভিযোগ সুত্রে জানা গেছে ,লোহাগড়া উপজেলা সদরের কলেজপাড়া এলাকার ডাঃ জহুরুল হকের পুত্র মোঃ জাকির হোসেন প্রায় দুই যুগ ধরে জাপানের রাজধানী টোকিত্ততে একটি বহুজাতীক কোপ্লানীতে কয়েক বছর ধরে চাকরী করছিল ।তার পরে জাপানে থাকার সুবাধে তিনি সেখানে গাড়ীর ব্যবসা শুরু করে । পরিবারের রড় সন্তান হওয়ায় ছোট ভাই বোনদের লেখাপড়া সহ সমস্ত খরচের ভার তার কাধে ছিল । ২০০৮ সালে ছোট ভাই মোঃ ওবায়দুর রহমান সবুজ সেনাবাহিনীর মেজর পদ থেকে অবসর গ্রহন করার পর বড়ভাই জাকির হোসেনের নিকট ত্রিশ লাখ টাকা চায় । সেই টাকা দিয়ে চট্রগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ থেকে ৫কাটার একটি প্লট ক্রয় করার জন্য । জাকির হোসেন সরল বিশ্বাসে ছোট ভাই কে ওই টাকা প্রদান করেন । হঠাৎ করে ২০০৮ সালেওবায়দুর রহমান সবুজ জাপানে জাকির হোসেনের বাসায় গিয়ে ওঠে । এক পর্যায়ে বড়ভাই কে বলে ভাই আমার চাকরী নেই এখন সংসার চালানোখুব কঠিন হয়ে পড়েছে । আপনিত জাপানে গাড়ীর ব্যবসা করেন । জাকির হোসেন অনেক কিছু চিন্তা করেবলে তুমি কি ব্যবসা করতে পারবে ?। তাকে ব্যবসা করার জন্য প্রথমে ২৭ লক্ষ টাকার মূল্যের একটি গাড়ী প্রদান করেন । তার পরে পর্যায় ক্রমে৮৭ লক্ষ টাকার গাড়ী তাকে দেয় । ২০০৯ সালে জাকির হোসেন জাপান থেকে দেশে আসলে ছোট ভাই ওবায়দুর রহমান বলে ভাই তার ব্যবসার সুবিধার্থে ব্যাংক থেকে ও এল.সি লিমিট বাড়ানোর জন্য কিছু জমি বন্ধক দিতে হবে। জাকির হোসেন তার ঢাকার সেনপাড়া পার্বাতা মৌজার ৬শতক জমি দলিল দিয়ে সোশাল ইসলামী ব্যাংকে,লোহাগড়া মৌজার ৯০ শতক জমির ও দলিল দিয়ে নিজেই ছোট ভাইর গ্রান্টার হয়ে ব্যাংক থেকে প্রায় ১২ কোটি টাকা উত্তোলন করে দেয় ।
ওবায়দুর রহমান এইচ,এস ইন্টারন্যাশনাল,৮/৮১ ইষ্টার্ন মল্লিক ডঃ কুদরতি খোদা রোড়ে গাড়ীর ব্যবসা শুরু করতে থাকে । ওবায়দুর রহমান ওই ব্যাংক থেকে সরে এসে ব্যাংকের আরও সুবিধা পাওয়ার জন্য বাংলাদেশ কমার্স ব্যাংক দিলকুশা শাখায় ব্যাবসায়িক কার্যক্রম শুরু করেন । ২০১৯ সালে মাঝামাঝির দিকে কমার্স ব্যাংকের এক কর্মকর্তা জাকির হোসেন কে টেলিফোনে বলে আপনার ছোট ভাই ব্যাংকের কিস্তি ঠিকমত দিচ্ছে না । আপনার বিরুদ্বে যে কোন সময় মামলা হবে ।
ওবায়দুর রহমানের কাছে এ কথা জানতে চাইলে সে বলে আপনার চিন্তা করার দরকার নাই এটা আমি দেখছি । সুপ্রীম কোর্টের আইনজীবী কামরুজ্জামান কচির সাথে যোগাযোগ করলে সে দেখতে পায় ঢাকার অর্থ্ঋর্ণ আদালত নং-২ ঢাকা । এই প্রতিষ্ঠানের নামে মামলা ও তাকে ৩ নং আসামী করছে মরগেজ এন্ড গ্রান্টার হিসাবে যাহার মামলা নং ৭৯৮/২০২০ইং ।
গত ১৯ মার্চ জাকির হোসেন ছোট ভাই ওবায়দুর রহমানের কাছে টাকা চাইলে তিনি তাকে লাজ্ঞিত করে । এ ঘটনায় জাকির হোসেন লোহাগড়া থানায় জিডি করেছে যাহার নং ৮৬৩ তারিখ ১৯/০৩/২০২১ইং
গত ফের্রুয়ারী মাসে ওবায়দুর রহমান অষ্ট্রেলিয়া গিয়ে ঘুরে আসে । তিনি যে কোন সময় স-পরিবার নিয়ে অষ্ট্রেলিয়া চলে যাবে ।