মোঃ জিহাদুল ইসলাম, নড়াইল প্রতিনিধিঃ
নড়াইলের কালিয়ায় পাষন্ড স্বামী কর্তৃক মিনা খানম (১৯) নামে এক গৃহবধূকে নির্যাতনের অভিযোগ পাওয়া গেছে। ১৩ এপ্রিল (মঙ্গলবার) দুপুরে উপজেলার বাঐসোনা গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। প্রশাসনের হস্তক্ষেপে গৃহবধূকে উদ্ধার করে তার বাবার বাড়ী পাঠানো হয়েছে। এ ঘটনায় অভিযুক্ত স্বামী তাহাজ্জত ভূঁইয়া পলাতক রয়েছে।
অভিযোগে জানা যায়, বিগত ২০ জুলাই /২০২০ তারিখে ইসলামী শরিয়ত মোতাবেক বাঐসোনা গ্রামের টুকু ভূঁইয়ার ছেলে তাহাজ্জত ভূঁইয়ার সাথে কলাবাড়ীয়া ইউনিয়নের বোয়ালিয়ারচর গ্রামের মৃত হাবিবুর খানের মেয়ে মিনা খানমের বিবাহ হয়। বিবাহের সময় ছেলের পিতাকে নগদ অর্থ ও বিভিন্ন মালামাল দিয়ে আড়াই থেকে তিন লক্ষ টাকার বুঝ দেওয়া হয়। বিবাহের ৬ মাস হতে না হতেই ছেলে তার পরিবারের সহযোগীতায় আবারও যৌতুকের জন্য চাপ দিতে থাকে। যৌতুক দিতে মেয়ে অস্বীকৃতি জানালে ১৩ এপ্রিল (মঙ্গবার) ঘরের দরজা আটকিয়ে মিনা খানমের ওপর মধ্যযুগীয় বরবরতা চালায়।
এ অবস্থায় তাকে হাসপাতালে ভর্তি না করিয়ে গ্রাম্য ডাক্তার দিয়ে প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয় এবং মিনার মা রত্না বেগম ও ভাবী নাছরিন বেগম অসুস্থ মিনাকে নিতে আসলে দেওয়া হয়নি বলে তারা অভিযোগে বলেন। পরবর্তীতে প্রশাসনের সহযোগীতায় তাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
ভুক্তভোগী মিনা খানম বলেন, আমার স্বামী আমাকে আরো টাকা এনে দিতে বলে কিন্তু আমি অস্বীকৃতি জানালে আমাকে রুমের ভিতর আটকে কাঠের ডাসা দিয়ে বেদম মারপিট করে শরীরে কালা ফোলা জখম করে। আমার শাশুড়ী বলে ওকে মারার দরকার নেই এমনিতেই চলে যাবে সে ব্যাবস্থা আমি করছি।
গৃহবধূর মা রত্না বেগম নবধারা কে বলেন, ওর বাবা না থাকায় অনেক কষ্ট করে মেয়ের সুখের জন্য ছেলে পক্ষের চাহিদা পুরন করে মেয়ের বিয়ে দিয়েছিলাম। কিন্তু ৬ মাস যেতে না যেতেই ওরা আমার মেয়েকে নির্মমভাবে নির্যাতন শুরু করেছে। আমি এর উপযুক্ত বিচার চাই। এছাড়া দালান ঘরে মেয়ে বিয়ে দিতে হলে একটু যৌতুক দিতে হয় বলে মন্তব্য করেন রত্না বেগমের প্রতিবেশী লাভলু ফকির।
এ বিষয়ে অভিযুক্ত তাহাজ্জেত ভূঁইয়া পলাতক থাকায় তার ছোট ভাই জানে আলম ও তার বাবা টুকু ভূঁইয়া সাংবাদিকদের কোন বক্তব্য দিতে অস্বীকৃতি জানিয়েছে।
এ বিষয়ে নড়াগাতী থানার অফিসার ইনচার্জ (ওছি) রোকসানা খাতুন নবধারা কে বলেন, অভিযুক্তর মা রত্না বেগম সাধারণ ডায়েরী ভুক্তির জন্য একটি লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন। তদন্ত সাপেক্ষে আইনগত ব্যাবস্থা নেয়া হবে।