Nabadhara
ঢাকাশনিবার , ১৫ মার্চ ২০২৫
  1. অর্থনীতি
  2. আইন-আদালত
  3. আন্তর্জাতিক
  4. ইতিহাস
  5. কৃষি
  6. খুলনা বিভাগ
  7. খেলাধুলা
  8. চট্টগ্রাম বিভাগ
  9. জাতীয়
  10. জেলার সংবাদ
  11. ঢাকা বিভাগ
  12. তথ্যপ্রযুক্তি
  13. ধর্ম
  14. প্রধান সংবাদ
  15. ফিচার
আজকের সর্বশেষ সবখবর

মেরিন ইঞ্জিনিয়ার হত্যা মামলার আসামী স্ত্রী, বিচারের দাবিতে মায়ের আকুতি

সোহেল রানা বাবু,বাগেরহাট প্রতিনিধি
মার্চ ১৫, ২০২৫ ৪:৫৫ অপরাহ্ণ
Link Copied!

সোহেল রানা বাবু,বাগেরহাট প্রতিনিধি

মেরিন ইঞ্জিনিয়ার সোহাগ হোসেনকে পরিকল্পিতভাবে হত্যা করা হয়েছে। হত্যা মামলার এজাহার নামীয় আসামী তার স্ত্রী শাহানা খাতুন ও সহযোগীদের দ্রুত গ্রেফতারের দাবি জানিয়েছেন মা নাজমা বেগম।

শনিবার (১৫মার্চ) দুপুরে বাগেরহাট প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলনে এসব দাবি করেন সন্তান হারা মা নাজমা বেগম। হত্যার শিকার মেরিন ইঞ্জিনিয়ার সোহাগ হোসেন খুলনার খানজাহান আলী রোড এলাকার আবুল হোসেন ও নাজমা বেগম দম্পতির ছেলে।

 

হত্যায় অভিযুক্ত শাহানা খাতুন বাগেরহাট শহরের সোনাতলা এলাকার মৃত শিহাব উদ্দিনের মেয়ে। এর আগেও শাহানার একাধিক বিয়ে ছিল বলে দাবি নাজমা বেগমের।

 

নাজমা বেগম বলেন, সোহাগ হোসেন (৩০) মেরিন ইঞ্জিনিয়ারিং শেষ করে ব্যবসায় যুক্ত হন। কয়েক বছর আগে সোহাগ বাগেরহাটের সোনাতলা এলাকার শাহানা খাতুনের সঙ্গে প্রেমের সম্পর্কে জড়িয়ে পড়েন।এক পর্যায়ে সে শাহানাকে বিয়ে করেন এবং তার নামে কোটি টাকার সম্পদ লিখে দেন।বিয়ের পরে শাহানা ও সোহাগ ঢাকার তুরাগ থানার রাজউক উত্তরার ১৮ নং সেক্টরের ইছামতি ভবনে থাকত। তিনি আরও বলেন সর্বশেষ ০১ ডিসেম্বর ইছামতি ভবনে সোহাগের সাথে আমার দেখা হয়। কিন্তু বিয়ের পর থেকে বিভিন্ন সময় শাহানা সোহাগকে আমার সাথে যোগাযোগ করতে দিত না।

 

পরে ০২ ফেব্রুয়ারী শাহানা ও তার সহযোগীরা ২০ লাখ টাকা দাবি করে এবং না দিলে সোহাগকে হত্যা করার হুমকি দেয়।

 

৯ ফেব্রুয়ারী থেকে আমার ছেলের মুঠোফোন বন্ধ পাই। ইছামতি ভবনে যে ফ্লাটে সোহাগ ও শাহানা থাকত সেই ফ্লাটটি ভেতর থেকে বন্ধ পাওয়া যায়। এক পর্যায়ে ১২ ফেব্রুয়ারী রাত ৯টার দিকে পুলিশ দরজা ভেঙ্গে ফ্লাটে প্রবেশ করে।

সিলিং ফ্যানের সাথে সোহাগের হাটু ভাঙ্গা অবস্থায় ঝুলানো এবং অর্ধগলিত মরদেহ পায়। পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে ল্যাপটপ, ২টা মুঠোফোন, মানিব্যাগসহ বেশকিছু আলামত উদ্ধার করে। সোহাগের মরদেহের ময়নাতদন্ত শেষে ১৩ ফেব্রুয়ারী খুলনার টুটপাড়া কবর স্থানে সোহাগের দাফন সম্পন্ন হয়।

 

পরে ১৭ ফেব্রুয়ারি তুরাগ থানায় সোহাগের স্ত্রী শাহানা খাতুনকে আসামী করে হত্যা মামলা দায়ের করি। এখনও এখনও কেউ গ্রেপ্তার হয়নি।সন্তানের হত্যার সঠিক কারণ ও হত্যাকারীকে গ্রেপ্তার করার জন্য পুলিশ প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করেন এই মা।

 

তিনি আরও বলেন, সোহাগ-শাহানার সংসারে একটি সন্তান রয়েছে। এই সন্তান ও সোহাগের ডিএনএ পরীক্ষা করা প্রয়োজন। যদি ওই সন্তান সোহাগের হয়, তাহলে সন্তান আমাদের কাছে দিতে হবে। বাবার হত্যাকারীর কাছে সন্তান থাকতে পারে না। অতি দ্রুত শাহানা আক্তার ও তার সহযোগিদের গ্রেপ্তার করে আইনের আওতায় আনার দাবি জানান নাজমা বেগম।

 

মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা তুরাগ থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) মোঃ সজিব হোসেন বলেন, মূলত আত্মহত্যার প্ররোচনায় মামলা হয়েছে। সিডিআর সংগ্রহের প্রক্রিয়া চলছে, খুব স্বল্প সময়ের মধ্যে আমরা মামলার রহস্য উদঘাটন করতে পারবো।

এই সাইটে নিজম্ব নিউজ তৈরির পাশাপাশি বিভিন্ন নিউজ সাইট থেকে খবর সংগ্রহ করে সংশ্লিষ্ট সূত্রসহ প্রকাশ করে থাকি। তাই কোন খবর নিয়ে আপত্তি বা অভিযোগ থাকলে সংশ্লিষ্ট নিউজ সাইটের কর্তৃপক্ষের সাথে যোগাযোগ করার অনুরোধ রইলো।বিনা অনুমতিতে এই সাইটের সংবাদ, আলোকচিত্র অডিও ও ভিডিও ব্যবহার করা বেআইনি।