1. nabadhara@gmail.com : Nabadhara : Nabadhara ADMIN
  2. bayzidnews@gmail.com : Bayzid Saad : Bayzid Saad
  3. bayzid.bd255@gmail.com : Bayzid Saad : Bayzid Saad
  4. mehadi.news@gmail.com : MEHADI HASAN : MEHADI HASAN
  5. jmitsolution24@gmail.com : support :
  6. mejbasupto@gmail.com : Mejba Rahman : Mejba Rahman
রবিবার, ১৮ মে ২০২৫, ১২:০২ পূর্বাহ্ন

আত্মগোপনে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রতিনিধি শহীদ উল্লা খন্দকার

নবধারা ডেস্ক 
  • প্রকাশিতঃ শনিবার, ২৬ এপ্রিল, ২০২৫
  • ২৬১ জন নিউজটি পড়েছেন।

আওয়ামী লীগ সভাপতি ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নিজ নির্বাচনী এলাকার উন্নয়ন প্রতিনিধি সাবেক আলোচিত সচিব শহীদ উল্লা খন্দকার কোথায় আছেন তা নিয়ে গোপালগঞ্জের কোটালীপাড়া উপজেলায় বইছে আলোচনার ঝড়।

 

তার অবস্থান নিয়ে চায়ের দোকান থেকে শুরু করে দলীয় কার্যালয় পর্যন্ত চলছে আলোচনা ও সমালোচনা। তিনি এখন কোথায় আছেন? এমন প্রশ্ন এখন আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের মুখে মুখে।

 

বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের পর ৫ আগস্ট সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দেশ ত্যাগ করেন। এরপর আত্মগোপনে চলে যান আওয়ামী লীগ সরকারের সাবেক প্রভাবশালী সচিব ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্বাচনী এলাকার উন্নয়ন প্রতিনিধি শহীদ উল্লা খন্দকার।

 

শেখ হাসিনা দেশত্যাগের পর কোটালীপাড়া উপজেলার আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের সঙ্গে যোগাযোগ বন্ধ করে দেন শহীদ উল্লা খন্দকার। এ নিয়ে স্থানীয় নেতাকর্মীদের মাঝে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে। স্থানীয় অনেক নেতা সাবেক এই সচিবের সঙ্গে যোগাযোগের চেস্টা করেও তাকে পায়নি বলে সংবাদকর্মীদের জানিয়েছেন।

 

জানাগেছে, আওয়ামী লীগ সভাপতি ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ২০২২ সালের ২৫ অক্টোবর তার নির্বাচনী এলাকার (কোটালীপাড়া-টুঙ্গীপাড়া) উন্নয়ন প্রতিনিধি হিসেবে শহীদ উল্লা খন্দকারকে নিয়োগ প্রদান করেন।

 

উন্নয়ন প্রতিনিধি হিসেবে দায়িত্বভার গ্রহণ করার পরে শহীদ উল্লা খন্দকার এলাকার উন্নয়ন কাজের কমিশন গ্রহণ ও তদবির বাণিজ্য শুরু করেন। তার এ কাজে সহযোগিতা করতেন কোটালীপাড়া উপজেলা ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক রফিকুল ইসলাম ও শহীদ উল্লা খন্দাকারের ভাগ্নে কাজী সোহেল এবং বাড়ির মসজিদের ইমাম মাওলানা ইয়াহিয়া।

 

শহীদ উল্লা খন্দকারের সাথে রফিকুল ইসলামের সম্পর্ক হওয়ার পরে তারও ভাগ্যোর পরিবর্তন ঘটে। শহীদ উল্লা খন্দাকারের আর্শিবাদ পেয়ে রফিকুল ইসলাম অঢেল সম্পদের মালিক হয়েছেন বলে উপজেলা আওয়ামী লীগ ও সহযোগি সংগঠনের একাধিক নেতৃবন্দ জানিয়েছেন। কাজী সোহেল এবং মাওলানা ইয়াহিয়াও আর্থিক ভাবে লাভবান হয়েছে বলে জানিয়েছেন এলাকাবাসী।

 

কোটালীপাড়া শেখ লুৎফর রহমান আদর্শ সরকারি কলেজের সাবেক ভিপি ও উপজেলা যুবলীগের সহ-সভাপতি নজরুল ইসলাম হাজরা মন্নু বলেন, ৫ আগস্টের রাষ্ট্রীয় প্রেক্ষাপট পরিবর্তণের পরে শহীদ উল্লা খন্দকার গা-ঢাকা দেয়। তিনি কোটালীপাড়ার সকল নেতা-কর্মীদের সাথে যোগাযোগ বন্ধ করে দিয়েছেন। সে কোথায় আছেন তা আমাদের জানা নাই।

 

নজরুল ইসলাম হাজরা মন্নু আরো বলেন, সাবেক সচিব শহীদ উল্লা খন্দকার প্রধানমন্ত্রীর উন্নয়ন প্রতিনিধি হিসেবে দায়িত্বভার গ্রহণের পরে সে বিভিন্ন উন্নয়নমূলক কাজ থেকে কমিশন গ্রহণ শুরু করেন। তিনি উপজেলা ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক রফিকুল ইসলামের মাধ্যমে সারাদেশ ব্যাপী তদবীর বানিজ্য করতেন। শহীদ উল্লা খন্দকারের বাড়ির মসজিদের ইমাম মাওলানা ইয়াহিয়া ও ভাগ্নে কাজী সোহেল কে দিয়ে সিপিসির মাধ্যমে অনেক কাজ করেছেন । এ কাজ থেকে প্রায় ৭/ ৮কোটি টাকা তিনি হাতিয়ে নিয়েছেন।

 

এ বিষয়ে জানার জন্য উপজেলা ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক রফিকুল ইসলামের সাথে যোগাযোগের চেষ্টা করে তাকে পাওয়া যায়নি এবং তার মুঠোফোনটিও বন্ধ পাওয়া যায়। একই ভাবে কাজী সোহেল ও মাওলানা ইয়াহিয়ার সাথে যোগাযোগের চেষ্টা করেও তাদেরকে পাওয়া যায়নি।

নিউজটি শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

More News Of This Category
© All rights reserved সর্বস্বত্বঃ দেশ হাসান
Design & Developed By : JM IT SOLUTION