মোঃ আসাদুজ্জামান আসাদ, স্বরুপকাঠিঃ
নেছারাবাদ উপজেলার স্বরুপকাঠি পৌরসভার ৩০ জানুয়ারি পৌর মেয়র নির্বাচনে মেয়র প্রার্থীদের জনসংযোগ চলছে বিরামহীন।
বর্তমান মেয়র মোঃ গোলাম কবির আওয়ামীলীগ থেকে নৌকা প্রতীক পেলেও পৌর যুবলীগের সভাপতি শিশির কর্মকারের মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ায় আওয়ামীলীগের সাধারণ সমর্থকরা রয়েছেন বিপাকে।
ঠিক তেমনিভাবে সাবেক মেয়র মোঃ শফিকুল ইসলাম ফরিদ বিএনপি থেকে ধানের শীষ প্রতীক বরাদ্ধ পেলেও পৌর বিএনপির সাবেক আহবায়ক ও স্বরুপকাঠি ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান মোঃ আবুল কালাম আজাদ মনোনয়নপত্র জমা দেয়ায় বিপাকে আছে বিএনপির সমর্থকরাও।
বিএনপির ঘাটি বলে পরিচিত স্বরুপকাঠি পৌরসভায় উভয় দলের পদধারী একাধিক প্রার্থী থাকার সুবিধা নিতে মরিয়া হয়ে প্রচারনা চালিয়ে যাচ্ছেন জাতীয় পার্টি এরশাদের লাঙ্গল প্রতীক নিয়ে মোঃ নুরুল ইসলাম ও স্বতন্ত্র প্রার্থীর তালিকায় থাকা আরেক জন প্রার্থী সহকারী অধ্যাপক মোঃ মাহমুদুর রহমান।
মাহমুদুর রহমান বলেন, “সুষ্ঠু নির্বাচনের লক্ষ্যে বিরামহীনভাবে সাধারণ ভোটারদের দারপ্রান্তে ছুঠে চলছি রাত দিন। সাধারণ মানুষ পরিবর্তন চায়। আমি সুবিধাবঞ্চিত স্বরুপকাঠী পৌরসভার মানুষকে সরকারি ও নাগরিক সুবিধাসমুহ পাইয়ে দেয়ার লক্ষে নির্বাচনে এসেছি। আশা রাখি বর্তমানের মতো ৩০ তারিখেও ভোটাররা আমার পক্ষে রায় দিবেন উন্নয়নের স্বার্থে।”
প্রায় একই ধরনের কথা বলেন স্বতন্ত্র প্রার্থী আবুল কালাম আজাদ ও লাঙ্গল প্রতিকের নুরুল ইসলাম।এদিকে ধানের শীষের প্রার্থী শফিকুল ইসলাম ফরিদ বলেন, “বিএনপির দুর্গ স্বরুপকাঠি পৌরসভায় ১৪ হাজার ৯২১টি ভোট আছে। ভোটার ভোট দিতে আসতে পারলে ধানের শীষের বিজয় নিশ্চিত।”
বিদ্রোহী প্রার্থীর ব্যাপারে বলেন, “নির্বাচনে প্রতিদন্ধিতা করা সাংবিধানিক অধিকার তবে দলের পরিচয়ে অবশ্যই দলীয় শৃংখলা রক্ষা করা সকলের দায়িত্ব।”
বর্তমান মেয়র ও নৌকা প্রতিকের প্রার্থী মোঃ গোলাম কবির ও স্বতন্ত্রপ্রার্থী শিশির কর্মকারের মোবাইল নম্বরে বার বার ফোন দিলেও তাদেরকে পাওয়া যায়নি।