Nabadhara
ঢাকাশনিবার , ২৬ জুলাই ২০২৫
  1. অর্থনীতি
  2. আইন-আদালত
  3. আন্তর্জাতিক
  4. ইতিহাস
  5. কৃষি
  6. খুলনা বিভাগ
  7. খেলাধুলা
  8. চট্টগ্রাম বিভাগ
  9. জাতীয়
  10. জেলার সংবাদ
  11. ঢাকা বিভাগ
  12. তথ্যপ্রযুক্তি
  13. ধর্ম
  14. প্রধান সংবাদ
  15. ফিচার
আজকের সর্বশেষ সবখবর

পলাশবাড়ী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ভবন নির্মাণে অনিয়ম: প্রকৌশলী নাকি ঠিকাদার?

Link Copied!

আশরাফুজ্জামান সরকার, পলাশবাড়ী (গাইবান্ধা) 

গাইবান্ধার পলাশবাড়ী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের নতুন ভবন নির্মাণে ভয়াবহ অনিয়ম, দুর্নীতি ও স্বেচ্ছাচারিতার অভিযোগ দীর্ঘদিন ধরে স্থানীয় গণমাধ্যম ও সচেতন মহলে আলোচিত হলেও এখনো পর্যন্ত সংশ্লিষ্ট প্রশাসন কার্যকর কোনো ব্যবস্থা নেয়নি। এতে জনমনে উদ্বেগ ও ক্ষোভ ক্রমেই বাড়ছে। প্রশ্ন উঠেছে—উপসহকারী প্রকৌশলী হেলালুর রহমান হেলাল প্রকৌশলী না ঠিকাদার?

পলাশবাড়ী পৌরসভার নুনিয়াগাড়ি মৌজায় অবস্থিত বিদ্যালয়ের ভবন নির্মাণ প্রকল্পের দায়িত্বপ্রাপ্ত এলজিইডির উপসহকারী প্রকৌশলী হেলাল কার্যত নিজেই প্রকল্পের ‘ঠিকাদার’ হিসেবে কাজ করছেন। স্থানীয় ও জাতীয় গণমাধ্যমে একাধিকবার শিরোনাম হয়েছে—“উপসহকারী প্রকৌশলী হেলাল এখন নিজেই ঠিকাদার”।

তথ্যানুসন্ধানে জানা যায়, ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের নাম ব্যবহার করলেও প্রকৃতপক্ষে হেলাল নিজেই নির্মাণকাজ পরিচালনা করছেন। এতে যেমন সরকারি অর্থের অপচয় ঘটছে, তেমনি নির্মাণের মান নিয়েও দেখা দিয়েছে গুরুতর প্রশ্ন।

বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটির সভাপতি ও উপজেলা সহকারী শিক্ষা কর্মকর্তা আসাদুজ্জামান দোলন কাজের মান নিয়ে শুরু থেকেই উদ্বিগ্ন। তার আপত্তিতে একাধিকবার কাজ বন্ধ থাকলেও, হেলাল জোর করে নিম্নমানের নির্মাণকাজ চালিয়ে যাচ্ছেন। ব্যবহার করা হচ্ছে মানহীন ইট, কম মাপের রড ও নিম্নমানের সামগ্রী।

প্রতিবাদকারীদের দমন করতে মিথ্যা ‘চাঁদাবাজি’ নাটক সাজিয়ে এলাকাবাসীর বিরুদ্ধে ভ্রাম্যমাণ আদালতের অপচেষ্টা চালান হেলাল। আদালতে বিভ্রান্তিকর তথ্য উপস্থাপন করে তিনি জনমত দমন করার চেষ্টা করেন।

বিষয়টি নিয়ে স্থানীয় গণমাধ্যমে একাধিক প্রতিবেদন প্রকাশ, সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভিডিও ভাইরাল এবং সরব প্রতিবাদের পরও এখনও কোনো তদন্ত কমিটি গঠিত হয়নি। প্রশাসনের নীরবতায় ক্ষুব্ধ সাধারণ মানুষ।

এ বিষয়ে পলাশবাড়ী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) নাজমুল আলম জানান, “আগামী রোববার (২৭ জুলাই) তদন্ত কমিটি গঠন করা হবে।”

উপজেলা প্রকৌশলী তহিদুল করিম সরকার বলেন, “পিইডিপি-৪ প্রকল্পের রংপুর বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী আগামী সপ্তাহে সরেজমিন তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন।”

স্থানীয়দের প্রশ্ন—প্রকৌশলী হেলালের পেছনে কি কোনো প্রভাবশালী মহলের ছায়া রয়েছে? প্রশাসনের এহেন নীরবতা কী তবে দুর্নীতির প্রতি প্রশ্রয়?

এলাকাবাসীর দাবিসমূহঃ

১. উপসহকারী প্রকৌশলী হেলালুর রহমানের বিরুদ্ধে বিভাগীয় ব্যবস্থা।
২. নির্মাণকাজ স্থগিত রেখে পূর্ণাঙ্গ তদন্ত।
৩. বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটির মতামতের ভিত্তিতে ভবিষ্যৎ কার্যক্রম।
৪. মিথ্যা ‘চাঁদাবাজি’ নাটকের জন্য প্রকাশ্যে ক্ষমা ও প্রতিবাদকারীদের নিরাপত্তা নিশ্চিতকরণ।

সচেতন মহলের মতে, একজন সরকারি কর্মকর্তা নিজের পদ ও ক্ষমতা ব্যবহার করে যদি ব্যক্তিগত স্বার্থে ঠিকাদারিতে নামেন, তবে তা শুধু বেআইনি নয়, জনগণের সঙ্গে প্রতারণাও। সরকারি অর্থ ও শিক্ষার্থীদের ভবিষ্যতের সঙ্গে এমন অপরাধমূলক আচরণ যে কোনো মূল্যে বন্ধ করা উচিত।

তাদের একটাই আহ্বান— দোষীদের বিরুদ্ধে অবিলম্বে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ। অন্যথায় প্রশাসনের নীরবতা দুর্নীতিকে উৎসাহিত করার নামান্তর হয়ে থাকবে।

এই সাইটে নিজম্ব নিউজ তৈরির পাশাপাশি বিভিন্ন নিউজ সাইট থেকে খবর সংগ্রহ করে সংশ্লিষ্ট সূত্রসহ প্রকাশ করে থাকি। তাই কোন খবর নিয়ে আপত্তি বা অভিযোগ থাকলে সংশ্লিষ্ট নিউজ সাইটের কর্তৃপক্ষের সাথে যোগাযোগ করার অনুরোধ রইলো।বিনা অনুমতিতে এই সাইটের সংবাদ, আলোকচিত্র অডিও ও ভিডিও ব্যবহার করা বেআইনি।