মো.এনামুল হক, পঞ্চগড় জেলা প্রতিনিধি
পঞ্চগড়ের দেবীগঞ্জে এক কলেজছাত্রীকে শ্বাসরোধে হত্যা করা হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। নিহত ছাত্রী সুলতানা আক্তার রত্না (২০) দেবীগঞ্জ মহিলা ডিগ্রি কলেজের এইচএসসি প্রথম বর্ষের ছাত্রী ছিলেন। তিনি দেবীগঞ্জ উপজেলার দেবীগঞ্জ সদর ইউনিয়নের মরাতলী মাঝাপাড়া দহলা খাগড়াবাড়ি এলাকার রবিউল ইসলামের মেয়ে।
জানা যায়, গত মঙ্গলবার (২৯ জুলাই) রাতে রত্না বাড়ি থেকে বের হয়ে আর ফিরে আসেননি। পরিবারের সদস্যরা অনেক খোঁজাখুঁজির পরও তার সন্ধান না পেয়ে দুশ্চিন্তায় পড়েন। বুধবার (৩০ জুলাই) সকালে বাড়ির পাশের ইউক্যালিপটাস গাছের বাগানে স্থানীয় লোকজন একটি নারীর লাশ দেখতে পান। খবর পেয়ে পরিবারের সদস্যরা গিয়ে লাশটি রত্নার বলে শনাক্ত করেন।
ঘটনাস্থলে রত্নার ব্যবহৃত কিছু কাপড়চোপড় ও মোবাইল চার্জার পাওয়া গেলেও মোবাইল ফোনটি পাওয়া যায়নি। এলাকাবাসীর ধারণা, প্রেমঘটিত কারণে বাড়ি থেকে পালানোর পরিকল্পনায় বের হলেও পরবর্তীতে কোনো কারণে বিরোধ সৃষ্টি হলে তাকে ওড়না পেঁচিয়ে শ্বাসরোধ করে হত্যা করা হয়।
ঘটনার পর দেবীগঞ্জ থানা পুলিশ, ঠাকুরগাঁও সিআইডির সাব-ইন্সপেক্টর দেবাশীষ রায়ের নেতৃত্বে একটি তদন্ত দল এবং সেনাবাহিনীর সদস্যরা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন।
দেবীগঞ্জ থানার ইন্সপেক্টর (তদন্ত) প্রবীর চন্দ্র সরকার জানান, “লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য পঞ্চগড় আধুনিক সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। প্রাথমিকভাবে এটি হত্যাকাণ্ড বলেই মনে হচ্ছে। মামলার প্রস্তুতি চলছে।”
এ ঘটনায় এলাকায় শোক ও আতঙ্কের ছায়া নেমে এসেছে। তদন্তসাপেক্ষে দোষীদের আইনের আওতায় আনার দাবি জানিয়েছেন এলাকাবাসী।