মোঃ ইব্রাহিম মিয়া, বিরামপুর (দিনাজপুর) প্রতিনিধি
দিনাজপুরের বিরামপুর উপজেলার ৩ নং খানপুর ইউনিয়নের নটকুমারী গ্রামে সরকারি/বনের জায়গায় রোপণকৃত ফলজ ও বনজ গাছ বিনা টেন্ডারে কর্তনের অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় স্থানীয় ভুক্তভোগীরা উপজেলা নির্বাহী অফিসারের নিকট লিখিত অভিযোগ দাখিল করেছেন।
অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, নটকুমারী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মোঃ শফিকুল ইসলাম ও সহকারী শিক্ষক শাহাজামাল হোসেনের নির্দেশে স্থানীয় কয়েকজন ব্যক্তি ডা. তোফাজ্জল (পিতা মৃত মোশাহাক), মোঃ মানিক উদ্দিন (পিতা মোঃ ইয়াছিন আলী), মোঃ মামুন (পিতা মোল্লা তোজাম্মেল হক), মোঃ আব্দুল মালেক (পিতা মৃত সোহরাব), মোঃ শামিম (পিতা মোঃ রবিউল ইসলাম), মোঃ লিটন (পিতা মোঃ আব্দুল আলিম) সহ আরও অনেকে সরকারি জায়গার প্রায় ১৯টি আমগাছ (চারা ও পূর্ণবয়স্ক), ৩টি ইউক্যালিপ্টাস, ১টি কাঁঠাল, ১টি বড়ই, ১৩টি সুপারি গাছ ও একটি কলাগাছের বাগান কর্তন করেন।
স্থানীয়দের দাবি, বিদ্যালয়ের খেলার মাঠ প্রশস্ত করার জন্য এ গাছ কাটা হয়েছে। কিন্তু কোনো প্রকার সরকারি টেন্ডার ছাড়াই গাছ কর্তন করায় বিষয়টি বেআইনি বলে অভিযোগ তুলেছেন ভুক্তভোগীরা।
অভিযোগকারী নুরুল ইসলাম আরও জানান, অভিযুক্তরা শুধু গাছ কাটাই নয়, মাঠ সংলগ্ন বসতবাড়ির সীমানা ভেঙে ঘরবাড়ি উচ্ছেদেরও হুমকি দিয়ে আসছে। এতে ভুক্তভোগীরা চরম নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন।
ভুক্তভোগীরা অভিযোগপত্রে বিনা টেন্ডারে গাছ কর্তনের বিষয়টি সরেজমিন তদন্ত করে দায়ীদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ, মাঠ সংলগ্ন পরিবারের নিরাপত্তা নিশ্চিতকরণ এবং অভিযুক্তদের হুমকি প্রতিরোধে কার্যকর ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানিয়েছেন।
এ বিষয়ে অভিযোগপত্রের অনুলিপি বিরামপুর থানার অফিসার ইনচার্জ এবং চরকাই রেঞ্জ কর্মকর্তার কাছেও প্রেরণ করা হয়েছে বলে ভুক্তভোগীরা জানিয়েছেন।
এবিষয়ে বিরামপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার নুজহাত তাসনীম আওন এর সাথে কথা বললে তিনি বিষয়টি দেখবেন বলে জানিয়েছেন।