মনিরামপুর (যশোর) প্রতিনিধি
যশোরের মনিরামপুর উপজেলার বর্ষিয়ান রাজনীতিক ও উপজেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি মোহাম্মদ মুছার দাফন সম্পন্ন হয়েছে। রোববার (৫ অক্টোবর) সকাল ১১টায় নেঙ্গুড়াহাট ফাজিল মাদ্রাসা মাঠে দ্বিতীয় দফা জানাজা শেষে তাকে নিজ গ্রাম আটঘরার পারিবারিক কবরস্থানে পিতা-মাতার কবরের পাশে দাফন করা হয়।
জানাজায় কয়েক হাজার মানুষ অংশ নেন। ভক্ত-অনুরাগী, রাজনৈতিক সহকর্মী ও এলাকাবাসীর ঢলে মাদ্রাসার বিশাল মাঠ লোকে লোকারণ্য হয়ে ওঠে। জানাজায় ইমামতি করেন মাদ্রাসার উপাধ্যক্ষ হাফেজ আব্দুর রউফ।
জানাজার আগে মরহুম মোহাম্মদ মুছার বর্ণাঢ্য রাজনৈতিক জীবনের বিভিন্ন দিক তুলে ধরে বক্তব্য দেন জেলা ও উপজেলা বিএনপির নেতৃবৃন্দ। এ সময় উপস্থিত ছিলেন জেলা বিএনপির সভাপতি অ্যাডভোকেট সৈয়দ সাবেরুল হক সাবু, উপজেলা বিএনপির সভাপতি অ্যাডভোকেট শহীদ ইকবাল হোসেন, সাধারণ সম্পাদক আসাদুজ্জামান মিন্টু, সাবেক চেয়ারম্যান ও শিক্ষক নেতারা, মনিরামপুর প্রেসক্লাবের সভাপতি মজনুর রহমানসহ বিএনপি ও অঙ্গ সংগঠনের বিভিন্ন পর্যায়ের নেতাকর্মীরা।
মোহাম্মদ মুছা ছিলেন আটঘরা গ্রামের মৃত সুরোত আলী সরদারের বড় ছেলে। তিনি ছিলেন আট ভাই-বোনের মধ্যে সবার বড়। তিনি তিনবারের নির্বাচিত ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান, নেঙ্গুড়াহাট মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক এবং জেলা বিএনপির সহসভাপতির দায়িত্ব পালন করেন।
দীর্ঘদিন ধরে অসুস্থ মোহাম্মদ মুছা গত বুধবার যশোরের একটি বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি হন এবং চিকিৎসাধীন অবস্থায় শুক্রবার দিবাগত রাত ৩টা ৩০ মিনিটে ইন্তেকাল করেন (ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)। মৃত্যুকালে তিনি স্ত্রী, দুই ছেলে, আত্মীয়স্বজন ও অসংখ্য রাজনৈতিক সহকর্মী রেখে গেছেন।
তার মৃত্যুতে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, ভাইস চেয়ারম্যান অধ্যাপক নার্গিস বেগম, খুলনা বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক (ভারপ্রাপ্ত) অনিন্দ্য ইসলাম অমিত গভীর শোক প্রকাশ করেছেন।