মোঃ আসাদুজ্জামান আসাদ,স্বরুপকাঠি প্রতিনিধিঃ
নেছারাবাদ উপজেলার স্বরুপকাঠি পৌরসভার ৩০ জানুয়ারি পৌর মেয়র নির্বাচনে মেয়র প্রার্থীদের জনসংযোগ চলছে বিরামহীন।১৪ হাজার ৯২১ ভোটারের এ পৌরসভায় বর্তমান মেয়র মোঃ গোলাম কবির আওয়ামীলীগ থেকে নৌকা প্রতীকে মনোনয়ন পেয়েছেন।এদিকে পৌর যুবলীগের সভাপতি শিশির কর্মকার ও কোনো ধরনের পদপদবীতে না থেকেও আওয়ামীলীগ সমর্থক কলেজ শিক্ষক মাহমুদুর রহমান নির্বাচনী মাঠে আছেন সতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে।আর এ কারনে আওয়ামীলীগের সাধারন সমর্থকরা রয়েছেন বিপাকে।শিক্ষকতা ও ব্যাক্তি ইমেজকে কাজে লাগিয়ে মাহমুদুর রহমান অনেকটা এগিয়ে থাকলেও নৌকার বিপক্ষে নির্বাচনি মাঠে এ প্রার্থীরা কোনো প্রভাব ফেলতে পারবেন না বলে মনে করেন বর্তমান মেয়র জি এম কবির।
এদিকে পৌর যুবলীগের সভাপতি শিশির কর্মকারের ফেইসবুক লাইভে এসে মন্দির ভাঙ্গা, বাংলাদেশ লিবারেল পার্টি থেকে আওয়ামীলীগে আসা,স্ট্রিট লাইটের পর্যাপ্ত ব্যবস্থা না করা, ড্রেনেজ সমস্যা টেন্ডার প্রক্রিয়ায় অসচ্ছতা সহ ভাঙ্গাচোরা রাস্থার অভিযোগ করেন বর্তমান মেয়র জি এম কবিরের বিরুদ্ধে।বেশিরভাগ অভিযোগ জি এম কবির খন্ডালেও মন্দির ভাঙ্গা এর ব্যাপারে সদুত্বর দিতে পারেননি বলে জিএম কবিরের এফবি লাইভ প্রোগ্রামে লেখেন আসাদুল ইসলাম নামে এক কমেন্টসকারী। এদিকে কলেজ শিক্ষক ও সতন্ত্র প্রার্থী মাহমুদুল হাসান অভিযোগ করে টিভি লাইভ প্রোগ্রামে বলেন ২০ তারিখের পর কোনো প্রার্থীই আর প্রচার চালাতে পারবেনা বলে হুমকি দেয়া হচ্ছে আমার সমর্থকদের। অাওয়ামীলীগ সমর্থিত নৌকা প্রতিকের প্রার্থী ও একই দলের সতন্ত্রপ্রার্থীদের একে অন্যের প্রতি অভিযোগ তোলায় লাভবান হচ্ছে বিএনপি বলে অভিযোগ করেন একাধিক আওয়ামীলীগ সমর্থক।
১৫ থেকে ২০ জন আওয়ামী সমর্থক ভোটারের সাথে আলোচনায় জানা যায় দলের একাধিক প্রার্থী থাকায় খোদ আওয়ামীলীগের ভোটাররাই ত্রিধা বিভক্ত হয়ে আছে। এদের মধ্যে একজন ভোটার রনী বলেন বিএনপি অধ্যুশিত এ পৌর সভায় একাধিক প্রার্থী থাকায় আওয়ামীলীগই নিজেরা নিজেদের সাথে প্রতিদন্ধিতা করছে।আবার ত্রিধা বিভক্ত আওয়ামীলীগ প্রকাশ্য হওয়ায় অনেক নেতাই নৌকার পক্ষে কাজ না করে নিরব পর্যবেক্ষনে মত্ত রয়েছেন নিজ বাড়িতে। যার সুফল ভোগ করতে পারে ধানের শীষ বা লাঙ্গল প্রতিকের প্রার্থীরা বলে তিনি শংকা প্রকাশ করেন।যদিও এখানে বিএনপি সমর্থিত একাধিক প্রার্থী রয়েছে তবে তা আওয়ামীলীগের ভোটার বৃদ্ধি করবেনা বলেই মত দেন নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক যুবলীগের পদধারী এক পৌরনেতা।মাহমুদুর রহমানের অভিযোগের ব্যাপারে বর্তমান মেয়র কবির বলেন সকল দলের অংশগ্রহনে আনন্দঘন পরিবেশেই ভোট হবে আগামী ৩০ তারিখে।
তবে আশংকা প্রকাশ করে আওয়ামীলীগের একাধিক ওয়ার্ড কর্মী বলেন সতন্ত্র ২ প্রার্থী আওয়ামীলীগের নিবেদিত হওয়ায় নৌকার বিজয়ে বড় সমস্যা হতে পারে। তারা বলেন ১৯৯৮ সনে পথ চলা এ পৌর সভায় আওয়ামীলীগ সমর্থিত বীর মুক্তিযোদ্ধা মরহুম দেলোয়ার হোসেন ফারুক ব্যাক্তি ইমেজে ২ বার মেয়র নির্বাচিত হলেও বর্তমান পৌর আওয়ামীলীগে এমন সর্বজন শ্রদ্ধেয় ইমেজ কেহ তৈরী করতে না পারায় আজ আওয়ামীলীগে একাধিক প্রার্থী।
দলের সমর্থক ও পদধারী সতন্ত্র প্রার্থীর নির্বাচনী মাঠে সরব উপস্থিতি নৌকা কঠিন লড়াইয়ের সন্মুখীন হবে হচ্ছে বলে মনে করেন একাধিকজন।