শফিকুল ইসলাম সাফা,চিতলমারীঃ
বাগেরহাটের চিতলমারীতে ব্যক্টেরিয়া ইউল্ড ও পাতা মোড়ানো ভাইরাস জনিত রোগে আগাম ফলন্ত টমেটো গাছে মড়ক দেখা দিয়েছে। এতে চাষাআবাদ কৃতটমেটো গাছ মরে যাওয়ার উপক্রম দেখা দেওয়ায় চাষিদের মাঝে হতাশা বিরাজ করছে। এ ব্যাপারে ক্ষতিগ্রস্ত চাষিরা কৃষি অফিসের সহায়তা কামনা করেছেন।
স্থানীয় চাষিদের সাথে কথা বলে জানা গেছে, চিতলমারী সদর ইউনিয়ন, চরবানিয়ারী ও সন্তোষপুর ইউনিয়নে আবাদি ও অনাবাদি ও চিংড়িঘেরের পাড়ের জমিতে ব্যাপক টমেটোর চাষ করা হয়েছে। দীর্ঘদিন ধরে শীতকালীন সবজির পাশাপাশি টমেটো চাষ করে এখানকার চাষিরা লাভবান হলেও এ বছর ভাইরাস ও পাতা মোড়ানো রোগ দেখা দেওয়ায় টমেটো ক্ষেতের গাছ মরে যাচ্ছে। বিভিন্ন ঔষধ ও সার ব্যবহার করেও থামানো যাচ্ছে না এসব রোগ-বালাই। ফলে অর্থকারী এ ফসল চাষে আগ্রহ হারাচ্ছেন চাষিরা।
উপজেলার চরবানিয়ারী দক্ষিণপাড়ার টমেটো চাষি নিত্যানন্দ মন্ডলের স্ত্রী আরতী মন্ডল,নিতাই মন্ডল,নরেশ চন্দ্র বাড়ৈ,নিকুঞ্জ বালা, ইন্দু ভুষন, আবুব শিকদার, রেউল শিকদার, মধাব রায়, হতাশা ব্যক্ত করে জানান,কদিন আগেই তরতাজা গাছে ঝুলন্ত টাটকা টমেটো দেখে প্রাণ জুড়িয়েছিল চাষিদের। মনে হয়েছিল, এবার ভাল ফলন গত বছরেরর লেকসান পুষিয়ে দেবে। কিন্তু ক্ষেতের গাছে গোড়া পচন ও পাতা মোড়ানো রোগ দেখা দিয়েছে। নানা ঔষধ ও সার-কীটনাশক ব্যবহার করেও কোন সুফল মেলেনি। এখানকার টমেটো রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন শহরে পাইকারদের মাধ্যমে চালান হয়ে থাকে। এর মাধ্যমে চাষিরা লাভবান হলেও এ বছর ব্যাপক ভাইরাস দেখা দেওয়ায় লোকসান গুনতে হবে বলে হতাশা ব্যক্ত করেন চাষিরা ।
এ ব্যাপারে উপজেলা কৃষি অফিসার মোসাঃ রাজিয়া সুলতানার সাথে একাধিক বার ফোনে যোগাযোগ করা হলেও তিনি ফোনটি কেটে দেন তবে উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অফিসার অসিম কুমার দাসের সাথে কথা হলে তিনি জানান, এ বছর ৬শ’ ৫০ হেক্টর জমিতে টমেটোর আবাদ করা হয়েছে। টমেটো গাছে যে ভাইরাসটি দেখা দিয়েছে এটার নাম ব্যাকটেরিয়া ইউল্ড। এ রোগ সম্পর্কে উঠান বৈঠকের মাধ্যমে চাষিদের নানা পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে।