1. nabadhara@gmail.com : Nabadhara : Nabadhara ADMIN
  2. bayzidnews@gmail.com : Bayzid Saad : Bayzid Saad
  3. bayzid.bd255@gmail.com : Bayzid Saad : Bayzid Saad
  4. mehadi.news@gmail.com : MEHADI HASAN : MEHADI HASAN
  5. jmitsolution24@gmail.com : support :
  6. mejbasupto@gmail.com : Mejba Rahman : Mejba Rahman
রবিবার, ২২ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ১২:৩৪ অপরাহ্ন

থানায় অভিযোগ দায়ের- কালিয়ায় মহিলা প্রতারকের খপ্পরে পড়ে দিশেহারা কয়েকটি পরিবার !

Reporter Name
  • প্রকাশিতঃ সোমবার, ৭ ফেব্রুয়ারী, ২০২২
  • ৫২৬ জন নিউজটি পড়েছেন।

মোঃ জিহাদুল ইসলাম. কালিয়া (নড়াইল) প্রতিনিধিঃ

নড়াইলের কালিয়া উপজেলার বড়দিয়ায় আফরোজা বেগম (৩৫) নামে এক মহিলা প্রতারকের খপ্পরে পড়ে কয়েকটি পরিবার দিশেহারা হয়ে পড়েছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ ব্যাপারে ভূক্তভোগী অবঃ সেনা সদস্যের স্ত্রী মোছাঃ পারভীন সুলতানা ৭ ফেব্রুয়ারী নড়াগাতী থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেছেন।

স্বামী প্রবাসে থাকা কালীন ওই মহিলা (আফরোজা) বড়দিয়ায় ভাড়া বাসায় থাকা শুরু করে। স্বামীর টাকা বিভিন্ন ভাবে আত্মসাৎ করায় এবং নৈতিক চরিত্র বিবর্জিত হওয়ায় সন্তানসহ তার বিবাহ বিচ্ছেদ হয়। আফরোজা বেগম নড়াইলের লোহাগড়া থানার মাটিয়াডাঙ্গা গ্রামের সালাম মোল্যার মেয়ে।

অভিযোগে ভূক্তভোগী পারভীন সুলতানা জানান, আমার স্বামী চাকুরী সূত্রে বাহিরে থাকায় ওই প্রতারক প্রায়ই আমার বাসায় এসে লোন নেওয়ার জন্য বলতো। এক পর্যায় ব্যাক্তিগত প্রয়োজনে তার নিকট থেকে ২০ হাজার টাকা লোন নেই। কিন্তু চার বছরে তাকে লক্ষাধিক টাকা পরিশোধ করলেও তার টাকা শোধ হয়নি বলে জানায়। স্বামীর গচ্ছিত টাকা থেকে তার লোন পরিশোধ করতে গিয়ে আমি ৮০ হাজার টাকা খরচ করে ফেলি। হঠাৎ আমার স্বামী ১ লক্ষ টাকা চাইলে আমি আফরোজার নিকট থেকে আমার নামীয় জনতা ব্যাংকের একাউন্টের স্বাক্ষর সম্বলিত ফাঁকা চেক ও জমির দলিল প্রদান করে ২০২০ সালের ডিসেম্বর মাসে ৮০ হাজার টাকা লোন নেই। মে/২০২১ সালে তাকে সুদে আসলে ৩ লক্ষ টাকা প্রদান করি, জুলাই/২১ মাসে ১ লক্ষ টাকা ও পরবর্তীতে ১ লক্ষ টাকা স্বর্ণালংকার বিক্রি করে ও ডিসেম্বর/২১ মাসে ব্র্যাক থেকে লোন করে ১ লক্ষ টাকাসহ মোট ৬ লক্ষ টাকা দিলেও সে আমার ফাঁকা চেক ও জমির দলিল ফেরৎ না দিয়ে বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন অংকের টাকা পাবে বলে হুমকি দিয়ে আসছে এবং বলছে বাঁচতে চাইলে ঢাকায় নুর মিয়া নামে তার এক পরিচিত লোকের মোবাইল নম্বর (০১৭৩৩৯০৭২৯৬) দিয়ে বলে, কাউকে না জানিয়ে ৪ মেয়েসহ আমার ওই লোকের কাছে চলে যাও, তোমাদের ভাল থাকার ব্যবস্থা করে দিবে। যার অডিও রেকর্ড সংরক্ষিত আছে। আমি ওই প্রতারকের বিচার চাই।

এদিকে সাংবাদিকদের অনুসন্ধানে আরেক ভূক্তভোগী ভুক্তভোগী বড়দিয়া বাজারের এক প্রবাসীর স্ত্রী জানান, আমার কাছ থেকে নকল সোনা দেখিয়ে ২ লক্ষ ৪০ হাজার টাকা নিয়েছে আফরোজা। মান সম্মানের ভয়ে আমি এখন চুপ থাকি। তিনি আরো বলেন, ওই মহিলা নারী পাচার থেকে শুরু করে বিভিন্ন অনৈতিক কর্মকান্ডের সাথে জড়িত রয়েছে। তার বাবার বাড়ীর পাশে লোহাগড়া উপজেলার মাইগ্রামে কামরুল নামে এক চায়ের দোকানদার তার অনৈতিক কাজের সহযোগীতা করেন বলে তিনি জানান। এ ছাড়া প্রভাবশালী নেতাদের ভয় দেখিয়ে দিনের পর দিন চালিয়ে যাচ্ছে তার লোন বানিজ্য ও অসামাজিক কর্মকান্ড। ওই প্রতারকের বিরুদ্ধে প্রশাসনের নিকট আইনগত ব্যবস্থা গ্রহনের দাবি জানিয়েছেন তিনি। উপজেলার শুড়িগাতী গ্রামের ভূক্তভোগী রিক্তা বেগম জানান, আফরোজা তার কাছ থেকে প্রতি বছর ২০মন ধান দেওয়ার কথা বলে ১ লক্ষ ৩০ হাজার টাকা নিয়ে ধান ও টাকা কোনটিই দেয় নাই। আমি আমার টাকা ফেরৎ চাই। স্থাণীয়রা জানান, আফরোজা বেগম চাকুরীজীবি ও প্রবাসীর স্ত্রীদের টার্গেট করে বিভিন্ন প্রলোভন দেখিয়ে স্বল্প সুদে টাকা দেওয়ার কথা বলে ফাঁকা চেক হাতিয়ে নেয় এবং ২০ গুন টাকা ফেরৎ দিলেও লোন পরিশোধ হয়নি বলে মামলার হুমকি দেয়। চাকুরীজীবি ও প্রবাসী স্ত্রীদের সরল বিশ্বাসের সুযোগ নিয়ে ওই প্রতারক অভিনব কায়দায় স্বামীর অজান্তে ফাঁকা চেকের মাধ্যমে ২০/৪০ হাজার টাকা লোন দিয়ে ফাঁকা চেকে লক্ষ লক্ষ টাকা উঠিয়ে মামলায় এবং স্বামী সংসার ভেঙ্গে দেওয়ার হুমকি দেখিয়ে কৌশলে স্বামীর গচ্ছিত টাকা থেকে হাতিয়ে নেয় লক্ষাধিক টাকা। ভূক্তভোগীদের দেওয়া অডিও রেকর্ডে জানা যায় আফরোজা নারী পাচারের সাথেও জড়িত রয়েছে। ভূক্তভোগী গৃহবধুদের বিপদে ফেলে স্বামী সংসার ছেড়ে ঢাকায় তার এক পরিচিত লোকের মোবাইল নম্বর দিয়ে বলে, কাউকে না জানিয়ে আমার ওই লোকের কাছে চলে যাওয়ার কথা বলে। তারা আরো জনায়, আফরোজা বেগম উপজেলার মহাজন বাজারে ভাড়া বাসায় থাকাকালীন কয়েকটি মোবাইল চুরির দায়ে ধরা খেয়ে লাঞ্ছিত হয়ে বড়দিয়ায় চলে আসে এবং এখানে এসে বড়দিয়া কলেজের এক প্রফেসারের বাসায় ভাড়া থাকা শুরু করে। কিছু দিন যেতে না যেতে ওই বাসায় কম্বল চুরির দ্বায়েও হেনস্থা হয়ে অন্যত্র বাসা নেয়। আরো জানা যায় ইদানিং প্রায় ১৬ লক্ষ টাকা দিয়ে সে একটি জমি কিনেছে, ছেলেকে মোটরসাইলে কিনে দেওয়া এবং মেয়ের বিবাহে কয়েক ভরী স্বর্ণাংকার প্রদান, তার এত টাকা প্রাপ্তির উৎস কোথায়? এটাই সচেতন মহলের প্রশ্ন। এ বিষয়ে জানতে অভিযুক্ত আফরোজা বেগমকে এ প্রতিবেদক তার মুঠোফোনে ফোন দিলে তিনি অশোভন আচরন করেন এবং যা করতে পারেন করেন বলে জানিয়ে দেন।

এ বিষয়ে নড়াগাতী থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) সুকান্ত সাহা বলেন, অভিযোগ পেয়েছি। তদন্ত সাপেক্ষে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।

নিউজটি শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

More News Of This Category
© All rights reserved সর্বস্বত্বঃ দেশ হাসান
Design & Developed By : JM IT SOLUTION