জেলা প্রতিনিধি,বাগেরহাটঃ
নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী বলেছেন, আগামী দিনে নৌবাণিজ্যে মোংলা বন্দর নেতৃত্ব দিবে। সেজন্য ইতিমধ্যে সব ধরনের ব্যবস্থা গ্রহণ করা হচ্ছে। বঙ্গোপসাগর থেকে মোংলা বন্দর পর্যন্ত ১৩০ কিলোমিটারের নৌ চ্যানেলে সাড়ে ৯মিটার ড্রাফটের জাহাজ আনয়নের ব্যবস্থা করা হচ্ছে। মোংলা বন্দরের আপগ্রেডেশনের লক্ষ্যে ছয় হাজার কোটি টাকার প্রকল্প গ্রহণ করা হয়েছে। বন্দর পর্যন্ত রেললাইন সংযোজন করা হয়েছে। ছয় লেনের রাস্তার ব্যবস্থা করা হচ্ছে। পদ্মা সেতু এবং রেল লাইন চালু হলে বন্দরের গতি আরো বেড়ে যাবে। রিজিওনাল কানেক্টিভিটি বেড়ে যাবে। সে লক্ষ্যে আমাদের ভিশনারী লিডার প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা কাজ করছেন।
বুধবার বিকেলে মোংলা বন্দরে ‘ভিটিএমআইএস’র (ভেসেল ট্রাফিক ম্যানেজমেন্ট এন্ড ইনফরমেশন সিস্টেম) উদ্বোধনকালে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, মোংলা বন্দরে বিদেশী জাহাজ আগমন ও নির্গমনকারী সকল জাহাজের সেইফটি ও সিকিউরিটি নিশ্চিতকরণ, চ্যানেলের নিরাপত্তা পর্যবেক্ষণ, দুর্ঘটনাকবলিত পরিস্থিতিতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণে সহায়তার লক্ষ্যে ‘ভেসেল ট্রাফিক ম্যানেজমেন্ট এন্ড ইনফরমেশন সিষ্টেম’ (ভিটিএমআইএস) চালু করা হয়েছে।
ভিটিএমআইএস’র উদ্বোধনী এ অনুষ্ঠানে আরো উপস্থিত ছিলেন বন্দর কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান রিয়ার এডমিরাল মোহাম্মদ মুসা ও প্রকল্প পরিচালক মোঃ মামনুর রশিদসহ বন্দর, কাস্টমস, নৌবাহিনী ও কোস্ট গার্ডের উর্ধতন কর্মকর্তারা।
মোংলা বন্দরে ইতিপূর্বে কোন ভিটিএমআইএস ছিলনা। ফলে বিদেশী জাহাজের সাথে ভেরি হাই ফ্রিকোয়েন্সি (ভিএইচএফ) এর মাধ্যেমে যোগাযোগ করা হতো। বর্তমানে ভিটিএমআইএসএর মাধ্যমে যোগাযোগ অব্যাহত আছে।
‘ভেসেল ট্রাফিক ম্যানেজমেন্ট এন্ড ইনফরমেশন সিষ্টেম’ (ভিটিএমআইএস) প্রবর্তন শীর্ষক প্রকল্পের কাজের মেয়াদ ছিল ২০১৭ সালের অক্টোবর থেকে ২০২১ ডিসেম্বর পর্যন্ত। প্রকল্পের প্রধান কাজ ছিল-হাইস্পীড বোট সংগ্রহ ও ভিটিএমআইএস প্রবর্তন। এজন্য ব্যয় হয়েছে ৫৪ কোটি ৩০ লাখ টাকা। হাইস্পীড বোট সংগ্রহে ব্যয় হয়েছে ৯ কোটি ৬২ লাখ টাকা এবং ভিটিএমআইএস প্রবর্তনে ব্যয় হয়েছে ৪৪ কোটি ৬৮ লাখ টাকা।