মোঃ জিহাদুল ইসলাম, নড়াইল প্রতিনিধিঃ
নড়াইলের নড়াগাতী থানার মাউলি ইউনিয়নের উত্তর মহাজন গ্রামে স্বামীর স্বীকৃতি না পেয়ে জেসমিন খানম (২৫) নামে গৃহবধুর বিষপানে আত্মহত্যা করেছে। ২৪ মার্চ (বৃহস্পতিবার) সন্ধায় এ ঘটনা ঘটে। নিহত জেসমিন ওই গ্রামের মৃত বজলুর রহমান মোল্যার মেয়ে। কথিত স্বামী মনির খান পলাতক রয়েছে। পারিবারিক সূত্রে জানা যায়, একই গ্রামের রিয়াজ খানের ছেলে মনির খানের সহিত প্রেম সম্পর্কিত জেরে মনিরের পরিবারের অসম্মতিতে ৩ মাস পূর্বে ইসলামী শরিয়ত মোতাবেক তাহাদের বিবাহ হয়। ওই বিবাহের দুইদিন পর থেকে মনির জেসমিন এর কোনো খোজ খবর না নেওয়ায় জেসমিন ও তার পরিবারের লোকজন গ্রামের মাতব্বর, ইউপি সদস্য. চেয়ারম্যানসহ জেলা পরিষদের সদস্য আওয়ামীলীগ নেতা হাদিউজ্জামানকে সুরাহার জন্য বিষয়টি জানায়। কিন্তু তারা এ বিষয়ে কোন কর্ণপাত করেনি। অবশেষে মনের দুঃখে জেসমিন বিষ পান করলে তাকে লোহাগড়া স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করলে কিছুক্ষন পর সে মারা যায়। নিহতের সালমা বেগম বলেন, গণ্যমান্য ব্যক্তিদের জানানোর পরেও তারা বিষয়টি গায়ে না নেওয়ায় এবং মনিরের পরিবারের লোকজন বিবাহ মেনে না নেওয়ায় আজ স্বামীর স্বীকৃতি না পেয়ে আমার বোনকে জীবন দিতে হলো।
নিহতের মা সুখমতি বেগম নবধারা কে বলেন, ওরা আমার মেয়ের জীবনটা শেষ করে দেছে। আমরা গরীব মানুষ বলে কারো দরজায় গিয়ে ঠাই পাইনি, হুজুর বদরুল বিয়ে পড়াইছে সে আমার মেয়ের বিবাহের কাবিননামাটাও দেয় নাই, সুখমতি বেগম আরও বলেন, মনিরদের পরিবারের লোকজন আমার মেয়েকে না নেওয়ার জন্য আমাদের টাকাও দেওয়ার কথা বলেছিল।
এ বিষয়ে মাউলি ইউনিয়নের নিকাহ রেজিষ্ট্রার বদরুল এর সাথে মুঠোফোনে কথা হলে তিনি প্রথমে অস্বীকার করেন, পরবর্তীতে বলেন আমি একটা সরকারী ট্রেনিংএ ঢাকায় ছিলাম তাদের জোরাজোরিতে আমার সহকারি খাজা মিয়া ওখানে গিয়েছিল। পরবর্তীতে জানতে পারি ওই মেয়ের পূর্বে বিবাহ ছিল এবং ছেলে স্ত্রী বর্তমান থাকায় প্রথম স্ত্রীর সম্মতিপত্র ও তালাকনামা হাজির করতে না পারায় বিবাহটি রেজিষ্ট্রী করা সম্ভব হয় নাই। এ বিষয়ে চেয়ারম্যান ও জেলা পরিষদের সদস্য আওয়ামীলীগ নেতা হাদিউজ্জামান সাথে মুঠোফোনে কথা হলে বলেন কোন পরিবারের কেউ আমার কাছে আসে নাই।
এ বিষয়ে লোহাগড়া থানার সাব ইন্সপেক্টর মাসুদ রানা মুঠোফোনে বলেন লাশ ময়না তদন্তের জন্য নড়াইল সদর হাসপাতাল মর্গে প্রেরণ করা হয়েছে।