নড়াইল প্রতিনিধিঃ
নড়াইলের লোহাগড়া উপজেলার কোটাকোল ইউনিয়নের চাপুলিয়া বাবুচ্ছুন্নাত দাখিল মাদ্রাসা ও এতিমখানায় এতিমের টাকা নয় ছয়ের অভিযোগ উঠেছে এতিমখানা সংশ্লিষ্টদের বিরুদ্ধে।
৩০ মার্চ (বুধবার) সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, এতিমখানার কয়েকটি রুমে একটি কক্ষে রাব্বি নামে বরিশালের একটি ছেলে আছে অথচ এতিমখানার নাজিরপুরের শিক্ষক ও মাদ্রাসার সিনিয়র এক শিক্ষক ওই ছেলটির নাম ঠিকানা বলায় ভিন্নতা প্রকাশ পায়। অতঃপর ছেলেটির জন্মসনদ দেখাতেও তারা ব্যর্থ হয়। ওই এতিমখানায় সর্বসাকুল্যে ৪/৫ এতিম থাকলেও মাদ্রাসার নিয়মিত ছাত্রদের এতিম সাজিয়ে সাংবাদকদের দেখানোর চেষ্টা করা হয়।
এছাড়া দীর্ঘদিন যাবত এতিমখানাটি বন্ধ থাকলেও করোনাকালীন এতিমখানা কর্তৃপক্ষ লোহাগড়া উপজেলা সমাজসেবা অফিস থেকে ২০ জন এতিমের টাকা হাতিয়ে নিয়েছে বলে জানা গেছে। পরবর্তীতে মার্চ/২২ মাসে আবারও ২০ জন এতিমের টাকা উত্তোলন করেছেন বলে মাদ্রাসা সুপার আবু হানিফ জানান। এতিমখানা সংলগ্ন চাপুলিয়া দাখিল মাদ্রাসার নিয়মিত শিক্ষার্থীদের সাথে সাংবাদিকরা কথা বলতে গেলে ওই মাদ্রাসার সিনিয়র শিক্ষক মোল্যা বাবুল হোসেন সাংবাদিকদের দেখে তেড়ে এসে অশ্লীল ভাষায় কথা বলেন এবং উত্তেজিত হয়ে বলেন, আপনারা যা খুশী লেখেন দেখি কি করতে পারেন বলে সাংবাদিকদের অপমান করেন। আরও জানা যায়, বাবুল হোসেন কোটাকোল ইউনিয়ন বিএনপির সাবেক সভাপতি ও বর্তমানে ইউনিয়ন বিএনপির সহ সভাপতির পদে আছেন।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক স্থানীয় কিছু লোক বলেন প্রায় ১৫/২০ বছরের মত বাবুল হোসেন ওই মাদ্রাসায় স্থাণীয় প্রভাব খাঁটেয়ে দাপটের সাথে শিক্ষকতা করে আসছেন এবং নিজের স্ত্রীকেও ওই মাদ্রাসায় চাকুরী পাইয়ে দিয়েছেন। ওই এতিমখানার সুপার মোঃ আবু হানিফ এর কাছে সাংবাদিকরা এতিম রেজিস্ট্রার দেখতে চাইলে তিনি রেজিস্ট্রার দেখাতে পারেন নাই এবং সাংবাদিকদের কোনো বক্তব্যও দেন নাই।
লোহাগড়া উপজেলা সমাজসেবা কর্মকর্তা মোঃ শামিম রেজা সাংবাদিকদের জানান তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন।