1. nabadhara@gmail.com : Nabadhara : Nabadhara ADMIN
  2. bayzidnews@gmail.com : Bayzid Saad : Bayzid Saad
  3. bayzid.bd255@gmail.com : Bayzid Saad : Bayzid Saad
  4. mehadi.news@gmail.com : MEHADI HASAN : MEHADI HASAN
  5. jmitsolution24@gmail.com : support :
  6. mejbasupto@gmail.com : Mejba Rahman : Mejba Rahman
বুধবার, ২৫ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ১১:২৩ পূর্বাহ্ন

মোল্লাহাটে কুমির সাদৃশ প্রাণীর প্রাচীন কঙ্কাল উদ্ধার

মোল্লাহাট (বাগেরহাট) প্রতিনিধি
  • প্রকাশিতঃ বুধবার, ২৯ জুন, ২০২২
  • ২৯৫ জন নিউজটি পড়েছেন।

বাগেরহাটের মোল্লাহাটে মাছের ঘেরের মাটি (প্যাড়া) কাটতে গিয়ে কুমিরসদৃশ প্রাণীর একটি প্রাচীন কঙ্কাল পাওয়া গেছে। গত তিন দিন আগে  মোল্লাহাট উপজেলার দারিয়ালা গ্রামের বাঁশি শিকদারের ঘেরে মাটি কাটার সময় এ কঙ্কালের হাড় উদ্ধার করা হয়। স্থানীয়রা ধারনা করছে কঙ্কালটি কয়েকশো বছর আগের।

স্থানীয়রা জানিয়েছে, ঘেরে কাজ করার সময় শ্রমিকদের হাতে কিছু হাড়গোড় উঠে আসে, পরে আরো খোড়াখুড়ির সময় বড় দাঁতসহ দুটি লম্বা চোয়াল উদ্ধার করায় হয়। সমস্ত হাড়গোড় সংগ্রহ করে একত্রিত করবার পরে স্থানীয়রা প্রাণীটি কুমির বলে শনাক্ত করেন।

স্থানীয় শিকদার রেজাউল করিম জানান, তার দুই ছেলে সকালে মাছের ঘেরে কাদা কাটতে যায়। গিয়ে কিছু শক্ত হাড়গোড় আবিস্কার করে। পরবর্তীতে খোজাখুজির পরে আরো কিছু হাড়গোড় পায় তারা। সব হাড় বাড়িতে নিয়ে আসলে এলাকায় চাঞ্চল্য সৃষ্টি হয়। কয়েকশ বছর আগে এই এলাকায় কুমিরসহ অন্যান্য প্রাণীর আনাগোনাও ছিলো বলে দাবি করেন রেজাউল। তিনি আরো বলেন কুমিরের কঙ্কাল দেখতে প্রতিদিন ভিড় করছে শত শত মানুষ।

মাটি কাটার কাজে নিয়োজিত শাকিল শিকদার জানান, শুক্রবার সকালে তিনি ও তার ছোটভাই রাকিব শিকদার ঘেরের ভিতরের মাটি কাটতে গেলে নরম কাদামাটির নিচে কিছু শক্ত হাড়ের মতো অনুভব করেন। প্রায় পাঁচফুট মাটির নিচ থেকে তিনি কয়েকটি হাড় বের করেন। পরবর্তীতে আরো কিছুক্ষন কাদায় খোজাখুজির পরে প্রায় ৭০ টি হাড়ের টুকরা পাওয়া যায়। বড় দাঁতসহ দুটি চোয়াল দেখেই মূলত সবাই এটিকে কুমিরের কঙ্কাল হিসেবে শনাক্ত করেন।

আরেক স্থানীয় জাহাঙ্গীর জানান, তাদের পূর্বপুরুষরা বলতেন যে এখানে কুমির আসে। তিনি দাবি করেন বিগত একশ দেড়শ বছর আগেও এই এলাকায় কুমিরের আনাগোনা ছিলো।

প্রত্নতাত্ত্বিক গবেষণাধর্মী প্রতিষ্ঠান খানজাহান ওয়েলফেয়ার ফাউন্ডেশনের আরিফুল ইসলাম আকুন্জী বলেন, সর্বমোট প্রাপ্ত ৭০ টি হাড় একত্রিত করা হয়েছে। প্রাথমিক শনাক্তকরণে কঙ্কালটি কুমিরের বলেই মনে হচ্ছে। সুন্দরবন প্রাচীন সময়ে এসব এলাকায়ও বিস্তৃত ছিলো এবং জীববৈচিত্র ছড়িয়ে ছিলো। এই কঙ্কালটি সেই সময়কার জীববৈচিত্রকে তুলে ধরতে এবং বিলুপ্ত প্রাণীদের পরিচয় এর বিষয়ে আরো বিষদ জানতে সাহায্য করবে। সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের এ বিষয়ে অধিকতর গবেষণার বিষয়েও আশাবাদ ব্যক্ত করেন এই গবেষক।

সুন্দরবন করমজল বণ্যপ্রাণী প্রজনন কেন্দ্রের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আজাদ কবির বলেন, প্রাথমিকভাবে কঙ্কালের ছবি দেখে ধারণা করছি এটি কুমিরের কঙ্কাল। তবে, কুমিরটি কোন প্রজাতির এবং কত বছর আগে কুমিরটির মৃত্যু হয়েছিলো তা এই মুহূর্তে নিশ্চিতভাবে বলা সম্ভব না। গবেষণা করলে আরো বিস্তারিত জানানো যাবে।

নিউজটি শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

More News Of This Category
© All rights reserved সর্বস্বত্বঃ দেশ হাসান
Design & Developed By : JM IT SOLUTION