নড়াইলের নড়াগাতী থানার খাশিয়াল গ্রামে প্রতিপক্ষের বিরুদ্ধে রেকর্ডিও জমি থেকে গাছ ও বাঁশ কাটা অভিযোগ পাওয়া গেছে। ৪ আগষ্ট (বৃহস্পতিবার) সন্ধায় এ গাছ কাটা হয় বলে জানিয়েছেন ভুক্তভোগী ওই গ্রামের মৃত ফুলমিয়া শিকদারের ছেলে হাজী সিদ্দিকুর রহমান শিকদার।
ভুক্তভোগী সূত্রে জানা যায়, ওই দিন সন্ধায় জমি সংক্রান্ত বিরোধের জেরে ক্ষতি করার উদ্যেশ্যে তার রেকর্ডিও খাশিয়াল মৌজার সাবেক ১৩২০ ও ১৩২১, হাল ২৬১০ দাগের ৩১ শতক জমি থেকে প্রতিবেশী সাহেব ফরাজির ছেলে কাছেদ ফরাজি(৩৫), সোহরাব ফরাজির ছেলে জাকির ফরাজি(৫৫), তার স্ত্রী স্বর্ণা বেগম(৩৫) ও মোতালেব ফরাজির ছেলে গ্রাম পুলিশ রাজ্জাক ফরাজি ভুক্তভোগীর নিজ নামে রেকর্ডিও জমি থেকে ৮টি মেহেগনি গাছ ও বাঁশ কাটতে থাকে। খবর পেয়ে নিজের নিরাপত্তার স্বার্থে থানাপুলিশ সহকারে বাঁধা দিতে গেলে তারা পালিয়ে যায়। প্রতিপক্ষের সাথে তার হাল ২৬১০ দাঘের আরেকটি সাবেক দাগ ১৩১৭ দাগে মামলার রায় হয়। কিন্তু অন্য দাগের ক্রয় করা জমি থেকে তারা জোরপূর্বক চারা গাছ কেটে ক্ষতি সাধন করে বলে তিনি জানান এবং এর উপযুক্ত বিচার দাবি করেন।
অভিযুক্ত স্বর্ণা বেগম জানান, সাবেক ১৩১৭, ১৩১৮, ১৩১৯, ১৩২০ ও ১৩২১ দাগ মিলে হাল ২৬১০ দাগ হয়। ২০০৪ সালে আমার শশুর সোহরাব ফরাজি সিদ্দিক শিকদারের কাছে ৫২ শতকের মধ্য থেকে ৩১ শতক জমি বিক্রি করেন। কিন্তু বাড়তি জমিও সে দাবি করায় কোর্টে মামলা হয়। দীর্ঘদিন মামলা চলার পর আমাদের পক্ষে রায় হয় এবং ওই রায় জমা দিলে সিদ্দিকুর শিকদার এলএসটি মামলা করেন। কিন্তু ৫/৬ বছর পর রায় আমাদের পক্ষেই আসে। আমার জমি থেকে আমার লাগানো গাছ কাটতে গেলে বাঁধা দেওয়ায় ৫ আগষ্ট আমি নড়াগাতী থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন বলে তিনি জানান।
অভিযুক্ত কাছেদ ফরাজি জানান, এই জমি নিয়ে স্থাণীয় পর্যায়ে শালিশ হয়েছে বহুবার। সিদ্দিক শিকদার হেরে গিয়ে কোর্টে মামলা করেও হেরে গেলে রায় স্বর্ণা বেগমের পক্ষে আসে এবং তার নিজের জমি থেকে সে গাছ কাটে।
রাজ্জাক ফরাজি জানান, গাছ কাটার বিষয়ে আমি কিছুই জানিনা। পূর্ব শত্রুতার জেরে আমাকে হয়রানী করার জন্য ফাঁসাতে চাচ্ছে।
এ বিষয়ে খাশিয়াল ইউনিয়ন বিট অফিসার এসআই কামরুজ্জামান বলেন, কাটা গাছ আমি দেখেছি। তবে স্বর্ণা বেগমের নামে কোর্টের একটি রায় রয়েছে এবং ওই রায়ের বিরুদ্ধে সিদ্দিকুর শিকদার আপিল করেছেন কিন্তু কাগজ আমি দেখিনি। ইউনিয়ন চেয়ারম্যানকে অবহিত করে স্থাণীয়ভাবে মিমাংসা করার জন্য বলেছি।