নড়াইলের কালিয়া উপজেলার পাঁচ গ্রাম ইউনিয়নের যাদবপুর বাজারে আবেদা হোটেল এন্ড রেষ্টুরেন্ট ও আমির হামজা ফাষ্ট ফুড বেকারীতে অস্বাস্থ্যকর ও নোংরা পরিবেশে তৈরি হচ্ছে মিষ্টির পাশাপাশি বেকারী সামগ্রী। নোংরা ও ঘিঞ্জি পরিবেশে এ সমস্ত খাদ্য সামগ্রী প্রস্তুত করায় জনস্বাস্থ্য রয়েছে হুমকির মুখে। নদী বিভক্তির কারণে প্রশাসনের নজরদারি না থাকায় দেদারছে চলছে এ ব্যবসা।
২৫ সেপ্টেম্বর (রবিবার) সরেজমিনে গেলে নাম প্রকাশ না করার শর্তে স্থানীয় সচেতন মহল সাংবাদিকদের বিষয়টি অবহিত করেন। ওই এলাকার আব্দুল মালেক শেখের ছেলে শিমুল শেখ দীর্ঘদিন ধরে স্বাস্থ্য বিধি না মেনে ও বেশী ওজনের খালি প্যাকেটে মিষ্টি বিক্রি করে আসছেন। একে তো অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে খাদ্য তৈরি অন্যদিকে ওজনে প্রতারণা শিকার হয়ে উভয় সঙ্কটে পড়েছেন সাধারণ ক্রেতারা।
অপরদিকে একই বাজারে নদীর কুলে মৃত সাইদ শেখের ছেলে নাছিম শেখ শুধুমাত্র ট্রেড লাইসেন্স দিয়ে গোলপাতার একটি ছোট্ট কুড়ে ঘরে ঘিঞ্জি পরিবেশে আমির হামজা ফাষ্ট ফুড ও বেকারী চালাচ্ছেন। পরিবেশ ও স্বাস্থ্য বিধি উপেক্ষা করে বেকারী সামগ্রীতে ফুড কালার মিশিয়ে পচা তেল ও চিনির পচা সিরার ভিতর ডুবিয়ে তৈরী করছেন মিষ্টি সিংগাড়াসহ নানা ধরনের খাদ্য সামগ্রী। স্থানীয়রা বিষয়টি ভালোভাবে না নিলেও নাছিমের চাচা তাকিবর শেখ সাংবাদিকদের সাথে রুক্ষ ভাষায় কথা বলেন এবং অনিয়মের পক্ষে সাফাই গান। এ বিষয়ে সচেতন মহল সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে ব্যবস্থা গ্রহনের আহ্বান জানিয়েছেন।
উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) মোঃ জহুরুল ইসলাম বলেন, সরকারি নির্দেশনার চেয়ে বেশি ওজনের প্যাকেটে মিষ্টি বিক্রি ও অস্বাস্থ্যকর পরিবেশ খাদ্য সামগ্রী তৈরি করলে মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করে এদের বিরুদ্ধে বিধি মোতাবেক ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।