নড়াইলের নড়াগাতী থানার দক্ষিন যোগানীয়া গ্রামে নিজ জমি থেকে পাট কাঁটতে বাঁধা দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে প্রতিপক্ষের বিরুদ্ধে। এ ঘটনায় ভূক্তভোগী হাসমত আলী শেখ (৫৫) ৪ অক্টোবর নড়াগাতী থানায় প্রতিপক্ষের একই গ্রামের রসুল শেখের ছেলে রকিত শেখ (৫০), রবিউল শেখ, কাবুল শেখ, বাবুল শেখ, ও শাহানুর শেখসহ ৭ জনের নামে একটি অভিযোগ দায়ের করেছেন। হাসমত আলী শেখ ওই গ্রামের মৃত মোসলেম উদ্দিন শেখের ছেলে।
অভিযোগ সুত্রে জানা যায়, হাসমত আলী তার পৈত্রিক ও দলিল সুত্রে পাওয়া যোগানীয়া মৌজার ৩৪৭২, ৩৪৪৩, ৩৪৪২, ৩৪৬২ ও ৩৪৪১ দাগের ২ একর ৬ শতক জমি ভোগদখলে আছেন। এর মধ্যে দলিল
মূলের ৩৪৬২ নং দাগের জমিতে তার পাট রয়েছে। ১০ অক্টোবর সকালে পাট কাঁটতে গেলে অভিযুক্তরা দেশীয় অস্ত্র নিয়ে মেরে ফেলার হুমকি দিয়ে জমি থেকে তাড়িয়ে দিলে ওই দিনই একটি সাধারণ ডায়েরী করা হয়, যাহার নম্বর- ২২০/২২। এঘটনার শুষ্ঠ বিচার দাবি করেছেন হাসমত শেখ। ভুক্তভোগী আরো জানান, রকিত শেখের সাথে তার অন্য জমি নিয়ে মামলা চলমান রয়েছে। কিন্তু যে জমিতে পাট রয়েছে সেটা আমার দলিলের সম্পত্তি। সেখানে সে অনধিকার র্চ্চা করে ক্ষমতার অপব্যবহার করে প্রায় ২/৩ লক্ষ টাকার ক্ষতি সাধন করেছে।
এদিকে অভিযুক্ত রকিত শেখ অভিযোগের সত্যতা অস্বীকার করে বলেন, তিনি একটি কেসে জেলে থাকায় তার জমিতে হাসমত শেখ পাট লাগিয়েছে তাই তিনি বাঁধা দিয়েছেন। এছাড়া তার অন্যান্য জমিতেও হাসমত শেখ মামলা করেছে বলে তিনি জানান।
স্থাণীয়রা জানান, রকিত শেখ মিথ্যা বলেছে, আংশিক জমি কিনে সে পুরো জমি জোর করে ধখল করে খাচ্ছে। এ ঘটনায় যে কোন মুহুর্তে বড় ধরনের সংঘর্ষেরও আশংকা করছে তারা।
নড়াগাতী থানার এএসআই জাহাঙ্গীর জানান, দুই পক্ষের মধ্যে দীর্ঘদিন যাবৎ জমি সংক্রান্ত বিরোধের জেরে এক অপরকে দোষারূপ করছে। জমি সংক্রান্ত বিষয়ে পুলিশের হস্তক্ষেপেরে সুযোগ নেই। ওই জমিতে ১৪৪ ধারা রয়েছে, তাই আইনশৃংখলা পরিস্থিতি স্থিতিশীল রাখা আমার দায়িত্ব।