1. nabadhara@gmail.com : Nabadhara : Nabadhara ADMIN
  2. bayzidnews@gmail.com : Bayzid Saad : Bayzid Saad
  3. bayzid.bd255@gmail.com : Bayzid Saad : Bayzid Saad
  4. mehadi.news@gmail.com : MEHADI HASAN : MEHADI HASAN
  5. jmitsolution24@gmail.com : support :
  6. mejbasupto@gmail.com : Mejba Rahman : Mejba Rahman
বৃহস্পতিবার, ১৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ১০:৫৯ অপরাহ্ন

ডাঃ রনজিৎ ও খাদিজার হার না মানার গল্প ‌

! ‌মোঃ মিজানুর রহমান,কাল‌কি‌নি ও ডাসার উপ‌জেলা প্র‌তি‌নি‌ধি
  • প্রকাশিতঃ সোমবার, ২১ নভেম্বর, ২০২২
  • ৬৭৮ জন নিউজটি পড়েছেন।

মিসেস রাবেয়া আসছেন পিরোজপুর থেকে । তার মা খাদিজার জরায়ুতে অপারেশন হয়েছে দুই বার।দ্বিতীয় বার অপারেশন করে ক্যান্সার ধারণা করে মহাখালী ক্যান্সার হাসপাতালে রেফার করে ৬ বছর পুর্বে।হ্যাঁ ক্যান্সার হাসপাতালে কনফার্ম করা হয়েছে তার মায়ের ক্যান্সার হয়েছে। শুরু হয় কেমো থেরাপি। ২৫ টি কেমোথেরাপি দেয়ার পরে ৫ টি রেডিও থেরাপি ও দুটি ব্রাকি থেরাপি দেওয়া হয়েছে। কিন্তু সমস্যা দেখা যায় অন্যত্র।রেডিও থেরাপি দেওয়ার ফলে ছ্যাঁকা খেয়ে প্রশ্রাবের থলির চামড়া পুড়ে যায় এবং মাসিকের রাস্তা দিয়ে অনবরত প্রশ্রাব ঝরতে থাকে( VVF)। সর্বশেষ পরীক্ষায় তার মায়ের শরীরে ক্যান্সার না থাকলেও স্বাভাবিক রাস্তায় কোন প্রশ্রাব আসছে না।

মহাখালী ক্যান্সার হাসপাতাল থেকে বলা হয় খাদিজার এই অপারেশনটি ঢাকা মেডিকেলের ফিসচুলা ক্লিনিকে ভালো হবে। ৬ মাস পরে রাবেয়া তার মাকে নিয়ে ঢাকা মেডিকেলে ভর্তি করেন।৩৩ দিন মেডিকেলে থেকে চিকিৎসা নেন এবং অজ্ঞান করে পরীক্ষা করা হয়।পরীক্ষা শেষে জানানো হয়- রেডিয়েশন ছ্যাঁকা খেয়ে আপনার মায়ের প্রশ্রাবের থলি একদম ছোট হয়ে গেছে, সেলাই দেয়ার পর্যাপ্ত চামড়া নেই। ওনার প্রশ্রাবের নালী বাহিরে এনে ব্যাগ লাগিয়ে দিতে হবে, অথবা মলদ্বারের সাথে সংযুক্ত করে দিতে হবে।
রাবেয়া তাতে সম্মতি দেননি। তিনি বঙ্গবন্ধু মেডিকেল, ও শহিদ সোহরা-ওয়ার্দী হাসপাতালে যোগাযোগ করেন।কেউ তার মায়ের স্বাভাবিক প্রশ্রাবের ব্যাবস্থা করতে আস্বস্ত করতে পারেন নাই।
বিভিন্ন ভাবে খোঁজ পেয়ে রাবেয়া তার মা খাদিজাকে রাসমনো হাসপাতালে নিয়ে আসেন ডাঃ রনজিত বিশ্বাস এর কাছে। ডাঃ রন‌জিৎ নিজে আবার রুগীকে পরীক্ষা করেন।ডাঃ রনজিত রাবেয়াকে বলেন আমি আপনার মায়ের অপারেশনের সফলতা নিয়ে ৬০% আশাবাদী। আমি এখনো এই অপারেশনে ফেইল হইনি, ফেইল হলে আপনার মা ই হবে প্রথম ব্যাক্তি। রুগী অপারেশনে রাজি হন। গত ১০ ই নভেম্বর ডা রনজিত বিশ্বাস খাদিজার সফল অপারেশন করেন। খাদিজা এখন সম্পুর্ন সুস্থ। এবং খাদিজার ছুটি হ‌য়ে‌ছে।এ ব‌্যাপা‌রে খাদিজার সাথে কথা বলেন পান্থপথের প্লাটিনাম হাসপাতালে। রুগী বলেন, বাবা আমি নামাজ পড়তে পারতাম না। এখন আমি সুস্থ আছি, আল্লাহর কাছে ডা রনজিত বিশ্বাসের জন্য দোয়া করবো।
প্লাটিনাম হাসপাতালের গাইনী বিশেষজ্ঞ ও খাদিজার চিকিৎসক ডা রনজিত বিশ্বাস বলেন, রেডিও থেরাপি দেওয়ার ফলে খাদিজার প্রশ্রাবের থলি ও মাসিকের রাস্তা সংকুচিত হয়েছিলো। অপারেশনটি জটিল তবে আমি আশাবাদী ছিলাম। সকল স্থান থেকে প্রত্যাখ্যান হয়েও আমার উপর আস্থা রাখায় আমি জটিল অপারেশনটি করতে পেরেছি। আমার সাথে ছিলেন আরেক গাইনী বিশেষজ্ঞ ডা ফারজানা ও ডা অদিত মোহাম্মদ সেতু ভাই। আমি খাদিজার সুস্থ ও দীর্ঘায়ু কামনা করি।তে আস্বস্ত করতে পারেন নাই।
বিভিন্ন ভাবে খোঁজ পেয়ে রাবেয়া তার মা খাদিজাকে রাসমনো হাসপাতালে নিয়ে আসেন ডাঃ রনজিত বিশ্বাস এর কাছে। স্যার নিজে আবার রুগীকে পরীক্ষা করেন।রনজিত স্যার রাবেয়াকে বলেন আমি আপনার মায়ের অপারেশনের সফলতা নিয়ে ৬০% আশাবাদী। আমি এখনো এই অপারেশনে ফেইল হইনি, ফেইল হলে আপনার মা’ই হবে প্রথম ব্যাক্তি। রুগী অপারেশনে রাজি হন। গেল ১০ ই নভেম্বর ডা রনজিত বিশ্বাস খাদিজার সফল অপারেশন করেন। খাদিজা এখন সম্পুর্ন সুস্থ। কালকে খাদিজার ছুটি।
আমাদের প্রতিনিধি খাদিজার সাথে কথা বলেন পান্থপথের প্লাটিনাম হাসপাতালে। রুগী বলেন, বাবা আমি নামাজ পড়তে পারতাম না। এখন আমি সুস্থ আছি, আল্লাহর কাছে ডা রনজিত বিশ্বাসের জন্য দোয়া করবো।

প্লাটিনাম হাসপাতালের গাইনী বিশেষজ্ঞ ও খাদিজার চিকিৎসক ডা রনজিত বিশ্বাস বলেন, রেডিও থেরাপি দেওয়ার ফলে খাদিজার প্রশ্রাবের থলি ও মাসিকের রাস্তা সংকুচিত হয়েছিলো। অপারেশনটি জটিল তবে আমি আশাবাদী ছিলাম। সকল স্থান থেকে প্রত্যাখ্যান হয়েও আমার উপর আস্থা রাখায় আমি জটিল অপারেশনটি করতে পেরেছি। আমার সাথে ছিলেন আরেক গাইনী বিশেষজ্ঞ ডা ফারজানা ও ডাঃ অদিত মোহাম্মদ সেতু ভাই। আমি খাদিজার সুস্থ ও দীর্ঘায়ু কামনা করি।

নিউজটি শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

More News Of This Category
© All rights reserved সর্বস্বত্বঃ দেশ হাসান
Design & Developed By : JM IT SOLUTION