দেখতে সুদর্শন,ভদ্রলোক ও মার্জিত আচরণ তাদের। কখনো ধর্ম ভাই কখনো বা মামা, কাকা অথবা অন্য সম্পর্ক তৈরি করে বাড়িতে প্রবেশ করে তারা। এরপর সুযোগ বুঝে দল নিয়ে ডাকাতি করে লুটে নেয় সর্বস্ব। এমনি একটি ঘটনা ঘটেছে উপজেলার লোহাগড়া ইউপির কালনা গ্রামে সৌদী প্রবাসী পলাশ মুন্সির বাড়ীতে। গোপন সংবাদের ভিক্তিতে লোহাগড়া থানা পুলিশ গত রবিবার (৮জানুয়ারি) রাত থেকে সোমবার দুপুর পর্যন্ত অভিযান চালিয়ে উপজেলার দিঘলিয়া এলাকা থেকে ৩ ডাকাত কে আটক করেছে।
পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, গত বছর ১৬ জুলাই রাতে উপজেলার কালনা গ্রামে সৌদী প্রবাসী পলাশ মুন্সির বাড়ীতে ডাকাতি হয়।এ ঘটনায় পলাশের স্ত্রী কেয়া খানম বাদী হয়ে লোহাগড়া থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেন। পুলিশ ডাকাতি হওয়া মোবাইলের সূত্র ধরে ঘটনার সাথে জড়িত থাকার সন্দেহে লোহাগড়া উপজেলার দিঘলিয়া ইউনিয়নের নোয়াগ্রামের ওয়াদুদ শেখের ছেলে আব্দুর নূর তুষার, রাজ্জাক শেখের ছেলে সিজু ওরফে সাজ্জাত এবং মিজানুর রহমানের ছেলে জসিম খানকে গত রোববার গভীর রাতে নিজ এলাকা থেকে আটক করে।
লোহাগড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা নাসির উদ্দিন জানান,আটককৃত ডাকাতদের সোমবার আদালতে পাঠানো হয়েছে এবং তারা ১৬৪ ধারায় জবানবন্দিতে ওই বাড়ীতে ডাকাতির কথা স্বীকার করেছে।
পুলিশ সুপার (এসপি) সাদিরা খাতুন বলেন, আটক ডাকাত দলের সদস্যদের ডাকাতির ধরন টা একটু ভিন্ন। তারা টার্গেট স্থির করে যে কোনো অজুহাতে পারিবারিক সম্পর্ক স্থাপন করে। ডাকাতি পর অধিকাংশ ক্ষেত্রে পরিবারের লোকজন অশান্তির কথা চিন্তা করে ঘটনাটি ধামাচাপা দেয়। আপনাদের সকলের প্রতি আহ্বান, আপনারা অপরিচিত লোকদের সম্পর্কে তথ্য নিশ্চিত হয়ে পারিবারিক সম্পর্কে আবদ্ধ হোন।