নড়াইলে বন্ধুদের সাথে মেলায় গিয়ে নিখোঁজ ইয়াসিনের লাশ উদ্ধারের ১২ ঘন্টার মধ্যে মূল আসামীসহ ৬ জনকে আটক করেছে পুলিশ।
এসময় হত্যাকাণ্ডে ব্যবহৃত চাকু ও মোটরসাইকেলটি উদ্ধার করা হয়। মোটরসাইকেলের জন্য ভাগ্নে ও বন্ধুর হাতে নির্মমভাবে খুন হয়েছিল ইয়াসিন মোল্যা (২২)। সোমবার (২৩ জানুয়ারি) বিকেলে সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান জেলা পুলিশ সুপার (এসপি) সাদিরা খাতুন।
হত্যকাণ্ডের সাথে জড়িতরা হলো- ইয়াসিনের বোনের ননদের ছেলে নড়াইল সদরের চাঁদপুর গ্রামের কুদ্দুস মোল্যার ছেলে হোসাইন ওরফে হামজা মোল্যা (২০) ও ইয়াসিনের বন্ধু একই গ্রামের মফিজ খানের ছেলে মো. হাসিব খান।
ইয়াসিনের মোটরসাইকেল কেনাবেচার সঙ্গে জড়িত গ্রেপ্তাকৃতরা হলো-যশোরের শার্শা উপজেলার কাশিয়াডাঙ্গা গ্রামের সাগর হোসেন (২৪), খাজুরা গ্রামের আল আমিন হোসেন (২৩), দক্ষিণ বুরুজবাগান গ্রামের রাসেল হোসেন (২৫) ও লিটন মিয়া (৪০)।
পুলিশ সুপার সাদিরা খাতুন বলেন, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে গ্রেপ্তারকৃত হামজা ও হাসিব হত্যাকাণ্ডের কথা স্বীকার করেছে। গত ১৬ জানুয়ারি রাত সাড়ে ৯টার দিকে ইয়াসিন মোল্যাকে হিজলডাঙ্গার পৌষ সংক্রান্তি মেলা দেখার কথা বলে কৌশলে তার ভাগ্নে হামজা ও বন্ধু হাসিব ডেকে নিয়ে যায়। বিভিন্ন স্থানে ঘোরাঘুরির পর রাত দেড়টার দিকে সদরের আলোকদিয়া গ্রামের বাঁশতলার বিলে ইয়াসিনকে নিয়ে যায় তারা। ওই সময় ঠান্ডার কারণে ঘটনাস্থলে আগুন জ্বালিয়ে আগুন পোহানোর একপর্যায়ে হামজা ও হাসিব ইয়াসিনকে প্রচণ্ড মারধর করে গলায় চাকু দিয়ে আঘাত করে শ্বাসনালি কেটে মৃত্যু নিশ্চিত করে পাশে থাকা শুকনো খেজুরের ডালপালার মধ্যে তার মরদেহটি ঢেকে রেখে মোটরসাইকেল নিয়ে পালিয়ে যায়।
পুলিশ সুপার আরও বলেন, সামান্য একটা মোটরসাইকেলের জন্য এমন নির্মম হত্যাকাণ্ড দুঃখজনক। তথ্যপ্রযুক্তির সহায়তায় জেলা পুলিশের একাধিক টিম এই হত্যার রহস্য উন্মোচনে আন্তরিকতার সঙ্গে কাজ করছে। ছেলেটিকে পরিবারের কাছে জীবিত ফেরত দিতে না পারলেও তার পরিবারকে ন্যায়বিচার পাওয়ার ক্ষেত্রে সর্বোচ্চ চেষ্টা করবো।
নিহতের ভাই জাহাঙ্গীর মোল্যা নবধারা কে বলেন,আত্মীয়তার সুযোগ নিয়ে আমার ভাইকে খুন করেছে তারা। পুলিশ এত তাড়াতাড়ি আমার ভাইয়ের খুনিদের ধরতে পারবে ভাবতে পারিনি। আমার ভাইকে কোনোদিন ফেরত পাব না। আমার ভাইয়ের খুনিদের ও চোরাই মোটরসাইকেল কেনাবেচা যারাই করছে সবার কঠিন শাস্তি হোক।