1. nabadhara@gmail.com : Nabadhara : Nabadhara ADMIN
  2. bayzidnews@gmail.com : Bayzid Saad : Bayzid Saad
  3. bayzid.bd255@gmail.com : Bayzid Saad : Bayzid Saad
  4. mehadi.news@gmail.com : MEHADI HASAN : MEHADI HASAN
  5. jmitsolution24@gmail.com : support :
  6. mejbasupto@gmail.com : Mejba Rahman : Mejba Rahman
মঙ্গলবার, ২৪ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০৪:২৮ অপরাহ্ন

কলকাতা থেকে পায়ে হেঁটে লোহাগড়ায় ভারতীয় যুবক

শরিফুল ইসলাম, স্টাফ রিপোর্টার, নড়াইল
  • প্রকাশিতঃ শুক্রবার, ১৭ ফেব্রুয়ারী, ২০২৩
  • ১৮৩ জন নিউজটি পড়েছেন।

‘রক্ত দিন জীবন বাঁচান।’ প্রতিবছর থ্যালাসেমিয়া নামে বিরল এ রোগে বিশ্বে লাখ লাখ মানুষের মৃত্যু হয়। তবে এ রোগে আক্রান্তের হিসেবে বিশ্বের মোট আক্রান্তের আনুপাতিক হারে এগিয়ে ভারত-বাংলাদেশ। আর এই রোগে আক্রান্তদের বাঁচাতে পারে এক ব্যাগ রক্ত। রক্ত দান করতে প্রয়োজন হয় আত্ম-সচেতনতা। সেই সচেতনতা তৈরি করতেই হাতে পোস্টার, পায়ে শক্ত বুট। পিচঢালা পথ পেরিয়ে কলকাতা (ভারত) থেকে হেঁটে (বাংলাদেশ) ঢাকা যাচ্ছেন পেশায় প্রকৌশলী আলমগীর খান (৩০) নামে এক যুবক। যশোর-নড়াইল রোড ধরে পায়ে হেঁটে প্রায় ৩৩ কিলোমিটার পথ পাড়ি দিয়ে মঙ্গলবার (১৪ ফ্রেরুয়ারি) বিকেলে নড়াইলে পৌছান আলমগীর খান। তিনি ভারতের পশ্চিমবঙ্গের মালদার বাসিন্দা।

ভারতের কলকতার অদূরে উত্তর ২৪ পরগনার বারাসত থেকে তার যাত্রা শুরু করেছে ৮ ফ্রেরুয়ারি গন্তব্য বাংলাদেশের ঢাকা কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার। আলমগীর খান ৯ ফ্রেরুয়ারি এসে পৌঁছান বাংলাদেশ সীমান্তবর্তী বনগাঁতে। বারাসাত থেকে তাঁর রুট ছিল কলকাতা শহর ঘেঁষা যশোর রোড। পথে যেতে যেতে কথা বলেন সাধারণ মানুষের সঙ্গে। রক্ত দিলে নিজের কোনো ক্ষতি হয় না বরং বাঁচে আরেক জনের জীবন-এমন কথা বোঝান রাস্তার দুই ধারে দাঁড়িয়ে থাকার উৎসুক মানুষকে।

সাধারণ মানুষজনও আলমগীরের কথা শোনেন। কেউ কেই এগিয়ে করেন করমর্দন, তোলেন সেলফিও।

আলমগীর খান আরো বলেন, ভারতের কলকাতায় ভাষা হচ্ছে বাংলা আর বাংলাদেশের ভাষাও একই। আমার আন্দোলন থ্যালাসেমিয়া ও রক্তদান নিয়ে। থ্যালেসেমিয়া মুক্ত বিশ্ব গড়তে হবে আমাদের। না হলে আগামীতে প্রত্যেক ১০ জনের মধ্যে একজন বাচ্চা থ্যালাসেমিয়ায় আক্রান্ত হবে’। তিনি ৬ষ্ঠ দিনে নড়াইল জেলাতে প্রবেশ করেন। আগামী ২১ শে ফ্রেরুয়ারি ভাষা দিবসের দিনে ঢাকা কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে পুষ্পস্তবক অর্পণের মধ্য দিয়ে তার এ পথ যাত্রা শেষ হবে। বাংলাদেশ সরকারসহ সকলকে তিনি থ্যালেসেমিয়া নিয়ে ভাবতে আহ্বান জানান।

২০১৬ সালে রক্তের অভাবে তার এক বড় ভাইকে রক্তের অভাবে মারা যেতে দেখেই মূলত তিনি রক্তদান ও থ্যালেসেমিয়া নিয়ে কাজ শুরু করেন। যাদের ওজন ৫০ কেজি এবং বয়স ১৮ বছর তাদেরকে রক্তদানে এগিয়ে আসার আহ্বান জানান তিনি। এদিকে সে মঙ্গলবার বিকেলে নড়াইলে পৌছালে মুচিরপোল এলাকায় বিভিন্ন স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন তাকে ফুলের শুভেচ্ছা জানান। এসময় বিভিন্ন স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের স্বেচ্ছাসেবকরা তার সঙ্গে কুশল বিনিময় করেন। এর মধ্যে মানবিক নড়াইল, রক্তের ফেরিওয়ালা নড়াইল এবং একটু হাসি সেচ্ছাসেবী ফাউন্ডেশনের সদস্যরা তাকে ফুল দিয়ে বরণ করেন। ১৫ ফ্রেরুয়ারি আলমগীর খান বুধবার সকালে নড়াইল শহর থেকে রওনা দিয়ে লোহাগড়া-কালনা-ভাটিয়াপাড়া মহাসড়ক হয়ে মধুমতি ব্রিজ পার হয়ে গোপালগঞ্জের উদ্দেশ্যে লোহাগড়া ত্যাগ করেছেন।

নিউজটি শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

More News Of This Category
© All rights reserved সর্বস্বত্বঃ দেশ হাসান
Design & Developed By : JM IT SOLUTION