1. nabadhara@gmail.com : Nabadhara : Nabadhara ADMIN
  2. bayzidnews@gmail.com : Bayzid Saad : Bayzid Saad
  3. bayzid.bd255@gmail.com : Bayzid Saad : Bayzid Saad
  4. mehadi.news@gmail.com : MEHADI HASAN : MEHADI HASAN
  5. jmitsolution24@gmail.com : support :
  6. mejbasupto@gmail.com : Mejba Rahman : Mejba Rahman
শুক্রবার, ২০ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০৪:০৯ পূর্বাহ্ন

রোহিঙ্গাদের স্ট্যাটাস নির্ণয় না হওয়া পর্যন্ত লিগ্যাল এইড সুবিধা পাবেনা – বিচারপতি নাঈমা হায়দার

শেখ ফাহিম ফয়সাল, আদালত প্রতিনিধি, ঢাকা
  • প্রকাশিতঃ বৃহস্পতিবার, ২৩ মার্চ, ২০২৩
  • ৪০৬ জন নিউজটি পড়েছেন।

মিয়ানমার থেকে বাংলাদেশে এসে কক্সবাজারের বিভিন্ন শরনার্থী ক্যাম্পে অবস্থান করা রোহিঙ্গারা সে দেশের নাগরিক। তাদেরকে বাংলাদেশ সরকার ও আন্তর্জাতিক মহল “Forcibly Displaced Myanmar Nationals” অর্থাৎ “জোরপূবর্ক বাস্তুচ্যুত মিয়ানমারের নাগরিক” হিসাবে অভিহিত করে থাকে।

বাংলাদেশে আশ্রয় নেওয়ার পর রোহিঙ্গাদের জন্ম নেওয়া শিশুদের কি অবস্থা হবে, তাও এখনো নির্ধারণ করা হয়নি। রোহিঙ্গাদের অপরাধের জন্য বাংলাদেশের প্রচলিত আইনে বিচার হলেও বাংলাদেশে তাদের স্ট্যাটাসটা কি হবে, তা এখনো ক্লিয়ার না হওয়ায় তারা সরকারের লিগ্যাল এইড সুবিধার আওতায় আসবেনা। সরকারের বিনামূল্যে লিগ্যাল এইড সুবিধা শুধুমাত্র বাংলাদেশের নাগরিকেরা পাবে।

কক্সবাজার শহরের হোটেল ওশান প্যারাডাইসে “Co-ordination Meeting on Strengthening local level Legal Aid Committees” শীর্ষক এক মতবিনিময় সভায় মঙ্গলবার (২১ মার্চ) প্রধান অতিথির বক্তব্যে বাংলাদেশ সুপ্রীম কোর্টের হাইকোর্ট বিভাগের বিচারপতি ও সুপ্রীম কোর্ট লিগ্যাল এইড কমিটির চেয়ারম্যান বিচারপতি নাঈমা হায়দার একথা বলেন।

বিচারপতি নাঈমা হায়দার আরো বলেন, দেশের সর্বস্থরের নাগরিকদের বিচার পাওয়ার বিষয়টি সাংবিধানিক অধিকার। কিন্তু অর্থাভাবে, অযাচিত ঝামেলায় জড়ানোর ভয়ে, আরো বিভিন্ন কারণে অনেকে সহজে আদালতের দারস্থ হতে চাইতো না। এটা দীর্ঘদিন ধরে হয়ে আসছে। অসচ্ছল, নির্যাতিতা নারী, নিঃস্ব, গরীব, অসহায়, ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠী সহ দেশের সর্বস্থরের নাগরিকদের লিগ্যাল এইড আইন বিচার পাওয়ার এই সাংবিধানিক অধিকারকে নিশ্চিত করেছে।

স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের নিয়ে গঠিত উপজেলা ও ইউনিয়ন লিগ্যাল এইড কমিটির কার্যক্রমকে আরো শক্তিশালী, গতিশীল ও গণমূখী করণের উপর গুরুত্বারোপ করে বিচারপতি নাইমা হায়দার বলেন, বিরোধকে একেবারে অংকুরেই শেষ করে দিতে হবে। সেটা মিডিয়েশন হউক আর আরবিট্রেশনের মাধ্যমে হউক। এক্ষেত্রে স্থানীয় সরকার প্রতিষ্ঠান গুলো গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে পারে।

বিচারপতি নাইমা হায়দার বলেন, সরকার বিনা খরচে অসহায় গরীব মানুষদের যে আইনি সহায়তা দিয়ে আসছে তা বিশ্বে বিরল। বিশ্বের অনেক দেশ এখনো এই সেবা দিতে পারেনি। তাই শহর থেকে ইউনিয়ন পর্যায়ে লিগ্যাল এইডের এই সেবা পৌঁছে দিতে সংশ্লিষ্ট সকলেকে একযোগে কাজ করতে হবে। তিনি বলেন, লিগ্যাল সার্ভিস ২০২২ সাল পর্যন্ত ৭ লক্ষ ৩৬ হাজার মানুষকে লিগ্যাল এইড সেবা দিয়েছে। যা নিঃসন্দেহে প্রশংসনীয়।

বিচারপতি নাঈমা হায়দার আরো বলেন, আধুনিক প্রযুক্তির উৎকর্ষতায় এখন ভার্চুয়ালী মামলা পরিচালনা করা হচ্ছে। এটা কোভিড-১৯ সময়ে প্রধানমন্ত্রী’র অসাধারণ একটি উদ্যোগ। বিচারপ্রার্থীরা যেটার দারুণ সুফল ভোগ করছে। লিগ্যাল এইড কার্যক্রমও অনলাইনে করার সুবিধা রয়েছে। ই-ফাইলিং সুবিধা রয়েছে, সুনির্দিষ্ট ওয়েবসাইট এবং টোল ফ্রি কল সেন্টার রয়েছে। তিনি বলেন, লিগ্যাল এইড এর এসব বহুমুখী সুবিধার কথা তৃনমূল পর্যায়ে মানুষের দোরগোড়ায় পৌঁছে দিতে হবে। বিভিন্ন সংকট ও সীমাবদ্ধতার মাঝেও আমাদের পথ চলতে হবে। লিগ্যাল এইড অফিসকে বিচারপ্রার্থীদের আস্থা ও নির্ভরতার প্রাণকেন্দ্রে পরিণত করতে হবে।

নিউজটি শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

More News Of This Category
© All rights reserved সর্বস্বত্বঃ দেশ হাসান
Design & Developed By : JM IT SOLUTION