চোরাচালান রোধ এবং বেনাপোল রেল স্টেশন ঘিরে বহিরাগতদের দৌরাত্ম ঠেকাতে শার্শা উপজেলা প্রশাসনের নির্ধারিত রুটিন মোতাবেক চলতি বছরে তৃতীয় বারের মতো “টাস্কফোর্স” অভিযান পরিচালিত হয়েছে।
এ অবস্থায় ভারত বাংলাদেশের মধ্যে চলাচলকারী “বন্ধন এক্সপ্রেস” ট্রেন এখন প্রশাসনের কড়া নজরদারীর আওতায় আনা হয়েছে বলে জানান “টাস্কফোর্স”টি পরিচালনাকারী নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের দায়িত্বে থাকা কর্মকর্তা-শার্শা উপজেলা
সহকারী কমিশনার ভূমি (এসিল্যান্ড)
ফারজানা ইসলাম।
বৃহস্পতিবার(১৩ এপ্রিল) সকালে ভারতের কোলকাতা রেলস্টেশন থেকে ছেড়ে আসা “বন্ধন এক্সপ্রেস” ট্রেনটি বেনাপোল এসে পৌছলে “টাস্কফোর্স” কর্তৃক ঘোষিত সকল নির্দেশনা পালনে স্টেশন কর্তৃপক্ষকে অবহিত করেন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট।
“বন্ধন এক্সপ্রেস” ট্রেনে টাস্কফোর্সের অভিযান পরিকল্পনা সম্পর্কে জানতে চাইলে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ফারজানা ইসলাম জানান, “পবিত্র ঈদুল ফিতরে যাত্রীসেবা নিশ্চিত করতে ট্রেনে টাস্কফোর্সের অভিযান জোরদার করা হয়েছে। ভারত থেকে আসা “বন্ধন এক্সপ্রেস” ট্রেনের কিছু পাসপোর্টধারী যাত্রী চোরাচালানের সঙ্গে জড়িত।
তাদের প্রায় প্রত্যেকে ভারত থেকে কম্বল, মদ, থ্রি-পিস, চকলেট, মোবাইল, আমদানি নিষিদ্ধ ওষুধসহ বিভিন্ন ধরনের মালামাল নিয়ে আসে। সপ্তাহে দুই দিন “বন্ধন এক্সপ্রেস” ট্রেনটি ভারত বাংলাদেশের মধ্যে যাতায়াত করে থাকে। এ ট্রেনটি চোরাচালানকারীদের দখলে চলে গিয়েছিল। সাধারণ পাসপোর্ট যাত্রীরা স্বাভাবিকভাবে যাতায়াত করতে পারছিলেন না। “টাস্কফোর্স” অভিযান চালাতে সবকিছু নিয়ন্ত্রণে আনা সম্ভব হয়েছে।
আজকের অভিযানে ২ হাজার ৩০ টাকা শুল্ক আদায় সহ বিজিবি কতৃক ২ লাখ ৬৩ হাজার ৮শত ৫০ টাকা মূল্যের আমদানি নিষিদ্ধ ভারতীয় বিভিন্ন মালামাল জব্দ করা হয়।
“টাস্কফোর্স” অভিযান পরিচালনা করার সময় নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট কে আইনি সহায়তা প্রদান করেন- তানভীর আহম্মেদ(ডেপুটি কাস্টম কমিশনার, বেনাপোল কাস্টম হাউস),বেনাপোল চেকপোষ্ট ইমিগ্রেশন অফিসার ইনচার্জ(ওসি) আহসান কবির,বেনাপোল রেলওয়ে স্টেশন মাস্টার-সাইদুজ্জামান, বেনাপোল রেল পুলিশ কর্মকর্তা,শার্শা উপজেলা আনসার এর ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা- আব্দুল্লাহ আল রাসেল সহ র্যাব ও কাস্টম, পুলিশ,বিজিবি এবং আনসার সহ অন্যান্য গোয়েন্দা সংস্থার কর্মকর্তা।