1. nabadhara@gmail.com : Nabadhara : Nabadhara ADMIN
  2. bayzidnews@gmail.com : Bayzid Saad : Bayzid Saad
  3. bayzid.bd255@gmail.com : Bayzid Saad : Bayzid Saad
  4. mehadi.news@gmail.com : MEHADI HASAN : MEHADI HASAN
  5. jmitsolution24@gmail.com : support :
  6. mejbasupto@gmail.com : Mejba Rahman : Mejba Rahman
রবিবার, ২২ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০১:৩৭ পূর্বাহ্ন

মুকসুদপুরের মহারাজপুর ইউপি চেয়ারম্যান সালাউদ্দিন মিয়ার বিরুদ্ধে মেম্বারদের লিখিত অভিযোগ

হুসাইন আহমদ কবির, মুকসুদপুর (গোপালগঞ্জ) প্রতিনিধি
  • প্রকাশিতঃ বৃহস্পতিবার, ২০ এপ্রিল, ২০২৩
  • ২৩৫ জন নিউজটি পড়েছেন।

গোপালগঞ্জ জেলার মুকসুদপুর উপজেলার ৮-নং মহারাজপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো. সালাউদ্দিন মিয়ার বিরুদ্ধে অনিয়ম-দুর্নীতি, অর্থ আত্মসাৎ, স্বেচ্ছাচারিতাসহ বিধিবহির্ভূত নানা কর্মকান্ডের অভিযোগ উঠেছে। পরিষদের সাধারণ সদস্য সাদেকুর রহমান, মো. মজিবর রহমান, মো. কবির মোল্লা, জাহিদুল ইসলাম, আবদুল মান্নান খান, মোঃ রফিকুল ইসলাম, ইমান আলী, রেহানা ও হেনাসহ ৯ জন জেলা প্রশাসক ও উপজেলা নির্বাহী অফিসার বরাবর লিখিতভাবে এ অভিযোগ দিয়েছেন।

লিখিত অভিযোগে তারা উল্লেখ করেন, ভূমি হস্তান্তরের ০১% বরাদ্দের টাকা আত্মসাৎ, টিয়ার, কাবিখা, কাবিটা, এলজিএসপি, টিসিবি, ভিজিডি, কৃষি বিজ-সার এর বিষয়গুলো নিয়ে পরিষদে কোনো ধরনের মিটিং, আলাপ-আলোচনা ছাড়াই চেয়ারম্যান নিজের খেয়াল-খুশিমত তা বন্টন ও কাজ করিয়ে টাকা আত্মসাৎ করেন।

অভিযোগে উল্লেখ করা হয়- মহারাজপুর ইউনিয়নের সব হাট-বাজারের ২০২১-২০২২ ও ২০২২-২০২৩ অর্থবছরের ট্রেড লাইসেন্স বাবদ যথাক্রমে প্রায় ৪ লাখ ৫০ হাজার টাকা এবং গ্রাম পুলিশের মাধ্যমে চৌকিদারি ট্যাক্স উত্তোলন করে প্্রায় ৫ লক্ষ্য টাকা আত্মসাৎ করেন চেয়ারম্যান সালাউদ্দিন। বয়স্ক, বিধবা ও প্রতিবন্ধী ভাতার নাম পুনঃ স্থাপনে অনলাইনের কথা বলে জনপ্রতি ৫০০ থেকে ১০০০ টাকা আদায় করেন চেয়ারম্যান। টিসিবি ও ভিজিডির যত নাম পরিষদে আসে, তার মধ্যে ৩৫০ থেকে ৪০০টি নাম চেয়ারম্যান নিজের জন্য বরাদ্দ রাখেন। কিছু মাল তার নিজস্ব লোক দিয়ে, বাকি মালামাল গোপনে নিজস্ব ব্যবসায়ীদের কাছে বিক্রি করে থাকেন। জন্মনিবন্ধনে জনপ্রতি ৫০ টাকা নেয়ার কথা থাকলেও পরিষদের সেবা ফির নামে ১৫০ থেকে ৩০০ টাকা নেয়া হয়। সরকারি বরাদ্দকৃত গভীর নলকূপ প্রতি সদস্যকে মাত্র একটি করে দিয়ে বাকিগুলো চেয়ারম্যান যোগসাজশ করে ১৫ থেকে ২০ হাজার টাকায় বিক্রি করে দেন। তিনি সরকারি বরাদ্দকৃত স্যানিট্রেশন ল্যাট্রিন প্রকল্প থেকে অসহায় ও দুস্থ পরিবারের কাছ থেকে ৫০০ টাকা করে আদায় করেন। ইউনিয়নের ১-নং ওয়ার্ডের ছৈয়ার মোড়ের ভেতর থেকে বিশাল একটি বটগাছের ডাল বিক্রি করে দশ হাজার টাকা স্থানীয় একটি মসজিদে দিয়ে বাকি টাকা আত্মসাৎ করেন চেয়ারম্যান। কানার বাজারের রাস্থার পুরাতন ইটের সলিং উঠিয়ে তা বিক্রি করেও টাকা নিয়ে যান। ইউনিয়নের ২-নং ওয়ার্ডের মাওলানা মিজানের বাড়ি থেকে ছদের মাথা নামক স্থানে একটি দুই লাখ টাকার কাবিখা বরাদ্দ করে উক্ত বরাদ্দ থেকে ১ লাখের বেশি টাকা আত্মসাৎ করেন চেয়ারম্যান সালাউদ্দিন মিয়া। ঐ ওয়ার্ডের লোহাচুড়া বাজার সংস্কারের নামে একটি গাছ ৫৫ হাজার টাকায় বিক্রি করেন তিনি। ঐ টাকাসহ বরাদ্দকৃত ২ লাখ টাকার কাজে প্রায় ১ লাখ টাকাই তিনি আত্মসাৎ করেন। ইউনিয়নের ০৩-নং ওয়ার্ডের বেলতলা থেকে একটি পাকা রাস্থা নির্মাণের জন্য স্থানীয় এক বাসিন্দার কাছ থেকে নগদ ১০ হাজার টাকা চাঁদা নিয়েছে চেয়ারম্যান। ঐ ওয়ার্ডে এখন পর্যন্ত কোনো উন্নয়নমূলক প্রজেক্টই দেননি তিনি।

ইউনিয়নের ৪-নং ওয়ার্ডের বনগ্রাম ব্রিজ সংলগ্ন পূর্ব পাশে ১ লাখ ৬০ হাজার টাকার মাটির প্রকল্প বরাদ্দ দেন। সেখানে মাত্র ৩৬ হাজার টাকার মাটি কেটে বাকি টাকা আত্মসাৎ করেন। ইউনিয়নের ০৬-নং ওয়ার্ডের মুকসুদপুর-বরইতলা সড়কের পাকা রাস্তা থেকে দেলোয়ারের বাড়ি পর্যন্ত পুরাতন ইটের সলিং উঠিয়ে পুনরায় নির্মাণ করে উল্লেখিত প্রকল্পের অর্থ আত্মসাৎ করেন চেয়ারম্যান সালাউদ্দিন মিয়া।
ইউনিয়নের ৮-নং ওয়ার্ডের মজিবর মুন্সীর বাড়ি থেকে নাজু শিকদারের বাড়ি পর্যন্ত ডানিডা প্রকল্পের কাজে ভেকু ব্যবহার করে নামে-বেনামে অগ্রণী ব্যাংক লিমিটেড বনগ্রাম শাখায় অ্যাকাউন্ট করে টাকা উত্তোলন করে প্রায় ৫ থেকে ৬ লাখ টাকা আত্মসাৎ করেন তিনি। ৯-নং ওয়ার্ডে ডানিডা প্রজেক্টের ১৬ লাখ টাকার কাজ হলেও ভেকু দিয়ে মাত্র ৬ থেকে ৭ লাখ টাকায় কাজ উঠিয়ে বাকি টাকা চেয়ারম্যানসহ তার সিন্ডিকেট আত্মসাৎ করে। চেয়ারম্যানের গ্রামে কাবিখা, কাবিটা ও ডানিডা প্রজেক্টের মোট ৪টি কাজ চলমান রয়েছে। ঐ ডানিডা প্রজেক্টের অগ্রণী ব্যাংক লিমিটেড বনগ্রাম শাখায় নামে-বেনামে নারীদের নামে ভুয়া অ্যাকাউন্ট করে টাকা উত্তোলন করে তিনি আত্মসাৎ করেন। মুকসুদপুর-বরইতলা আঞ্চলিক সড়কের মহারাজপুর ইউনিয়নের হাড়ভাঙ্গা নামক স্থান থেকে ১০-১২টি সরকারি শিশু গাছ ও মহারাজপুর ইউনিয়নের মিলিকশ্রীরামপুর ব্রিজ সংলগ্ন স্থান থেকে ২০ থেকে ২৫টি বিভিন্ন প্রকারের গাছ বিক্রি করে টাকা আত্মসাৎ করেন চেয়ারম্যান সালাউদ্দিন মিয়া।

অভিযোগ কারিদের এক জন ০৪ নং ওয়ার্ডে ইউপি সদস্য মো. সাদেকর রহমান বলেন, পবিত্র ঈদুল ফিতর-২০২৩ উপলক্ষে সরকারের দেওয়া বিশেষ বরাদ্দের ভিজিএফের চাল নির্বাচিত ৯ জন ইউপি সদস্যকে না জানিয়ে এবং তাদের ছাড়াই চেয়ারম্যান তার নিয়ন্ত্রিত সিন্ডিকেট এর মাধ্যেমে বিতরণে করেছেন।
অনিয়ম-দুর্নীতির এসব বিষয়ে অভিযুক্ত ইউপি চেয়ারম্যান মো. সালাউদ্দিন মিয়া তার বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, ‘ইউপির সদস্যরা আমার বিরুদ্ধে যেসব অভিযোগ দিয়েছেন তা সত্য নয়। আমাকে হেয়প্রতিপন্ন করার জন্য তারা এ মিথ্যা অভিযোগ দিয়েছেন।

এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসার এস এম ইমাম রাজী টুলু জানান, ‘ঐ চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ পেয়েছি। তদন্ত সাপেক্ষে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।’

নিউজটি শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

More News Of This Category
© All rights reserved সর্বস্বত্বঃ দেশ হাসান
Design & Developed By : JM IT SOLUTION