বাগেরহাটের চিতলমারী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স জনবল সংকটের কারনে স্বাস্থ্য সেবা দিতে হিম সিম খাচ্ছেন সিমিত সংখ্যক চিকৎসকরা। প্রয়োজনীয় চিকিৎসক না থাকায় ভোগান্তির মধ্যে পড়তে হচ্ছে রোগীদের ।২০১৭ সালে হাসপাতালটি ৩১ শয্যা থেকে ৫০ শয্যায় উন্নীত করা হলেও দীর্ঘ দিনেও প্রয়োজনী সংখ্যক চিকিৎসক ও কর্মচারী নিয়োগ দেওয়া হয়নি।
অনুমোদিত জনবল কাঠামোর প্রায় অর্ধেক জনবল দিয়ে বছরের পর বছর চলছে স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সটি।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে হাসপাতালটিতে মোট ২৭ জন মঞ্জুরকৃত চিকিৎসকের পদ থাকলেও আছেন মাত্র ১৩জন এরমধ্যে ৪জন অন্যত্রে ডেপুটে শনে চলেগেছেন। বিশেষজ্ঞ চিািকৎসকের পদ রয়েছে ১১টি তার মধ্যে কর্মরত রয়েছেন মাত্র ১জন। এছাড়া ডাঃ কাজী আনোয়ারুল হক নামের একজন জুনিয়ার কনসালট্যান্ট ২০২১ সালের ২৫ সেপ্টন্বর উক্ত হাসপাতালে যোগদানের পর থেকে অনঅনুমোদিতভাবে অনুপস্থিত রয়েছে। আবাসিক মেডিকেল অফিসার পদ রয়েছে ১জন তাও শূন্য রয়েছে।মেডিকেল অফিসারের পদ ২জনের মধ্যে ২জনই শূন্য রয়েছে, ডেন্টাল সার্জন পদের একটির মধ্যে একটিই খালি রয়েছে।ইউনিয়ন পর্যায়ে মেডিকেল অফিসার পদ রয়েছে ৫টি।এ ৫টি পদের বিপরীতে কর্মরত রয়েছেন ৪জন তার মধ্যে একজন ডিপুটেশনে চলেগেছেন আছে মাত্র ৩জন। দ্বিতীয়, তৃতীয় ও চতুর্থ শ্রেনীর ১৬৪ জন কর্মচারীর বিপরীতে রয়েছেন মাত্র ১২২জন, ৪২টিই খালি রয়েছে। ৫জন পরিছন্ন কর্মীর পদ থাকলেও তার বিপরীতে কোন সুইপার নেই। একজন মাত্র আউট সোসিংএ কর্মরত আছেন।
এব্যাপারে উপজেলা স্বাস্থ্য ও পঃপঃ কর্মকর্তা ডাঃ মামুন হাসান জনবল সংকটের কথা স্বীকার করে নবধারা কে বলেন, সীমিত জনবল দিয়েই সুনামের সাথে রোগীর চিকিৎসা সেবা দেওয়া হচ্ছে।শূন্য পদগুলো পূরণের জন্য উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে।