গোপালগঞ্জ পৌরসভার ১৫ নং ওয়ার্ডে গোবরা মাদ্রাসার পুকুর খনন ও ঘাটলা নির্মাণে ব্যাপক অনিয়মের অভিযোগ পাওয়া গেছে। নাম মাত্র পুকুর খনন করে ঠিকাদার মালামাল নিয়ে চলে চায়।
এলজিইডি অফিস সূত্রে জানাযায়, সারাদেশে পুকুর খাল উন্নয়ন প্রকল্প (ওচঈচ) এর আওতায় ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান মেসার্স এসআরএস এন্টারপ্রাইজ, ১৭ লাখ ১২ হাজার টাকা চুক্তি মুল্যে গোবরা মাদ্রাসা পুকুর খনন ও একটি ঘাটলা নির্মাণের কাজ শুরু করে। এর মধ্যে ঘাটলা নির্মাণ বাবদ ৮ লাখ ৯১ হাজার ৯০৮ টাকা, পুকুর খনন বাবদ ৮ লাখ ২০ হাজার টাকা বরাদ্ধ দেওয়া হয়।
গোবরা মাদ্রাসা কর্তৃপক্ষ জানায়, গত জুন মাসের মধ্যে কাজ শেষ করার কথা থাকলেও ঠিকাদার সময়মত কাজ শেষ করতে পারে নাই। ঘাটলা নির্মাণে সিডুল মোতাবেক না করে ঠিকাদার তার ইচ্ছা মত তড়ি ঘড়ি করে আগষ্ট মাসে কাজ শেষ করে। এ ছাড়া পুকুর খননে এক মিটারের অধিক গভির করার কথা থাকলেও স্কেভেটর দিয়ে মাত্র ১৫ ঘন্টা পুকুরের চার পাশের পাড় ড্রেসিং করে। পরে পুকরে মিনি ড্রেজার বসিয়ে মাটি খননে ব্যর্থ হয়। পুকুর খননে এক লাখ টাকাও ব্যয় না করে, ১৫ ভাগও কাজ শেষ না করে তারা চলে যায়।
এলজিইডির উপজেলা ইঞ্জিনিয়ার এস.এম জাহিদুল ইসলাম বলেন, পুকুরের মাটি না কাটলে ঘাটলার কোন মূল্য নেই। ঠিকাদার পুকুর খননের কাজ পুরাপুরি না করা পর্যন্ত ঘাটলার বিলও দেওয়া হবে না।
গোপালগঞ্জ এলজিইডি নির্বাহী প্রকৌশলী মোঃ এহসানুল হক জানান, বিষয়টি আমার জানা নেই, উপজেলা ইঞ্জিনিয়ারের সাথে কথা বলে ব্যবস্থা নিচ্ছি।