বাংলাদেশ আওয়ামীলীগের সভাপতি ও মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশনা অনুযায়ী- জামায়াত-বিএনপি পরিবারের কেউ আওয়ামীলীগের দলীয় কমিটিতে থাকতে পারবেনা। এই নির্দেশনাকে উপেক্ষা করে নড়াইলে বিএনপি নেতার ছেলে মোঃ আশরাফুল আলমকে জেলা মৎস্যজীবী লীগের পূর্ণাঙ্গ কমিটিতে সহ-সভাপতি হিসাবে রাখা হয়েছে।
৩০ সেপ্টেম্বর বাংলাদেশ আওয়ামী মৎস্যজীবী লীগের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা সায়িদুর রহমান, কার্যকরী সভাপতি মোঃ সাইফুল আলম আলিফ ও সাধারণ সম্পাদক লায়ন শেখ আজগর আলীর দলীয় প্যাডে স্বাক্ষরিত নড়াইল জেলা আওয়ামী মৎস্যজীবী লীগের ৩ বছর মেয়াদী ৭৫ সদস্য বিশিষ্ট কমিটির অনুমোদনের মাধ্যমে বিষয়টি নিশ্চিত হয়। ত্যাগী কর্মীদের বঞ্চিত করে বিএনপি পরিবারের সন্তানকে সহ-সভাপতি করায় তার নিজ এলাকা পহরডাঙ্গা গ্রামের একাধিক আওয়ামী সমর্থক স্যোসাল মিডিয়ায় তীব্র নিন্দা জানানোর পাশাপাশি এলাকায়ও দেখা দিয়েছে মিশ্র প্রতিক্রিয়া। আশরাফুল আলম ওরফে সাধন কালিয়া উপজেলা নড়াগাতী থানার পহরডাঙ্গা ইউনিয়নের সাবেক বিএনপি নেতা ও নড়াগাতী থানা বিএনপির সাবেক সভাপতি ও বর্তমান সহসভাপতি আজম ঠাকুরের ছেলে।
০৯ অক্টোবর বিকেলে সরেজমিনে পহরডাঙ্গা বাজারে গেলে ইউনিয়ন যুবলীগের সভাপতি মোঃ সেলিম শিকদার এ কমিটির তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়ে বলেন, আশরাফুল আলমের পিতা আজম ঠাকুর বিএনপিকে সুসংগঠিত রাখতে প্রতিনিয়ত অর্থযোগান দিয়ে আসছেন। বিএনপির আমলে আজম ঠাকুরের নির্যাতনে অনেকে বাড়ীতে ঘুমাতে পারে নাই। একাধিক মামলা দিয়ে হয়রানি করে ঘুম হারাম করে দিয়েছিল। অথচ আজ তারই ছেলে আওয়ামী অংগসংগঠনের ভাইটাল পদ পায় এটা দুঃখজনক।
স্থাণীয় বীর মুক্তিযোদ্ধা মোয়াজ্জেম হোসেন, সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান ও আওয়ামীলীগ সভাপতি মোল্যা মোর্কারম হোসেন হিরু, সাবেক বিএনপি নেতা আরিফ শিকদার, আহসান হাবিব, শেখ মফিজুর রহমান, ঝুনু সহ অনেকে তাদের অত্যাচারের বর্ননা দিয়ে বলেন, আশরাফুল আলমের দাদা মৃত ময়েন উদ্দিন ঠাকুর ১৯৭১ সালে পিচ কমিটির চেয়ারম্যান ছিলেন এবং তার বাবা আজম ঠাকুর ইউনিয়ন ও থানা পর্যায়ের বিএনপির গুরুত্বপূর্ণ পদে থেকে দলকে সুসংগঠিত রেখেছেন এবং সে ধারা এখনো চলমান রয়েছে। তারা আশরাফুল আলমকে ওই পদ থেকে বহিস্কারের আহ্বান জানান। পদ পাওয়ার বিষয়ে মোঃ আশরাফুল আলমের সাথে কথা হলে জানান, তার বয়স ১৮ পেরিয়ে গেছে তাই নিজের ব্যপারে নিজেই সিদ্ধান্ত নিতে পারেন। পরিবার যে দলই করুক তাতে কিছু যায় আসেনা। তবে এর থেকে বেশী কিছু জানতে চাইলে তিনি সেন্ট্রালের সাথে কথা বলতে বলেন।
এ বিষয়ে জেলা মৎস্যজীবী লীগের পূর্ণাঙ্গ কমিটির সাধারন সম্পাদক এম, এইচ সোহেলের সাথে তার মুঠোফোনে কথা হলে বলেন, আশরাফুল বিএনপি পরিবারের সদস্য এ বিষয়টি স্যোসাল মিডিয়ায় ভাইরাল হলে সভাপতির সাথে সমন্বয় করে তদন্ত সাপেক্ষে সাংগঠনিক ব্যবস্থা গ্রহনের জোর দাবী জানিয়ে প্রমানসহ কেন্দ্রে পাঠিয়েছি। এ ছাড়া কালিয়ার এক কেন্দ্রীয় কমিটির নেতার সুপারিশে ৩ বছর আগে আশরাফুলকে আহ্বায়ক কমিটিতে রাখা হয় এবং সেই নেতা পূর্নাঙ্গ কমিটিতে তাকে ভাইটাল পদে এনেছেন।