নড়াইলের কালিয়া উপজেলার পহরডাঙ্গা ইউনিয়নের সরসপুর গ্রামে মধুমতি আদর্শ বিদ্যালয়ে ২০২৩ সালের ৬ষ্ঠ ও ৭ম শ্রেণীর মূল্যায়ন পরীক্ষায় ৪০০ টাকা ফী আদায়ের অভিযোগ উঠেছে ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক মোঃ মনিরুজ্জামান পান্নার বিরুদ্ধে।
মূল্যায়ন পরীক্ষায় ফী নেওয়ার সরকারী নির্দেশনা না থাকলেও এ ফী আদায় করেছেন তিনি। ২৩ নভেম্বর (বুধবার) সরেজমিনে ওই স্কুলে গেলে জানা যায়, ৬ষ্ঠ শ্রেনীতে ৭১ জন ও ৭ম শ্রেনীতে ৫০ জন শিক্ষার্থী মূল্যায়ন পরীক্ষায় অংশগ্রহন করেছে। ৭ম শ্রেণীতে বাৎসরিক ২৫০০ টাকা ও ৬ষ্ঠ শ্রেনীতে ২৪৪০ টাকা নেওয়া হয়, তন্মধ্যে মাসিক বেতন ৬০ ও ৫৫ টাকা, সেশন চার্জ ৭০০ টাকা, অর্ধ বার্ষিকী পরীক্ষার ফী ৪০০ টাকা, স্কুল নীতিমালা ফী ১০০ টাকা ও মূল্যায়ন পরীক্ষার ফী ৪০০ টাকা বলে জানান স্কুলের সহকারী শিক্ষক মিলটন শরীফ।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে একাধিক অভিভাবক জানান, দ্রব্যমূল্যের উর্ধ্বগতির পাশাপাশি স্কুলে যে ভাবে বিল নেওয়া শুরু করেছে তাতে না খেয়ে মরার উপক্রম হয়েছে। ছেলে মেয়েদের পড়াশুনা হয়ত বন্ধ করে দিতে হবে। সরকারী নির্দেশনা অমান্য করে অতিরিক্ত টাকা নেওয়া বন্ধের বিষয়ে ব্যবস্থা গ্রহনের দাবি জানান তারা। সরকারী নির্দেশনা উপেক্ষা করে মূল্যায়ন পরীক্ষায় কেন ফী নিচ্ছেন? এ বিষয়ে জানতে চাইলে ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক মোঃ মনিরুজ্জামান পান্না ও সহকারী শিক্ষক মিলটন শরীফ বলেন, মূল্যায়ন পরীক্ষায় ফী নেওয়া যাবেনা এমন নির্দেশনা তারা পাননি, তবে অতিরিক্ত টাকা না নেওয়ার নির্দেশনা তারা পেয়েছেন। মূল্যায়ন পরীক্ষা আনুষঙ্গীক কিছু খরচ থাকায় এ টাকা নেওয়া হচ্ছে বলে জানান।
এ বিষয়ে ম্যানেজিং কমিটির সভাপতির অনুমতি ছাড়া সরাসরি ভিডিও বক্তব্য দিতে অস্বীকৃতি জানান তারা। এ বিষয়ে ম্যানেজিং কমিটির প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি ক্যাপ্টেন মোস্তাক আলীর সাথে তাঁর মুঠোফোনে কথা হলে বলেন, তিনি এ বিষয়ে কিছু জানতেন না। যদি এটা অনিয়মতান্ত্রিক হয়ে থাকে, তবে সব টাকা ফেরত দেওয়া হবে বলে জানান। জেলা শিক্ষা অফিসার মোঃ জাহাঙ্গীর আলম বলেন, এ বিষয়ে এখনো কোন অভিযোগ পাইনি, পেলে বিধি মোতাবেক ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।