মোঃ জিহাদুল ইসলাম, কালিয়া, নড়াইল
নড়াইলের কালিয়া উপজেলার বাবরা-হাচলা ইউনিয়নে ৯টি ইটের ভাটায় লাইসেন্স না থাকা ও কাঠ পোড়ানোর দ্বায়ে ভেঙ্গে দিয়েছে খুলনা জেলা পরিবেশ অধিদপ্তরের এক্সিকিউটিভ ম্যাজিষ্ট্রেট মমতাজ বেগম।
এ সময় ইট ভাটার কাজে ব্যবহৃত কয়েকটি স’মিল ও গুড়িয়ে দেওয়াসহ জরিমানা করা হয়। ১ লা ফেব্রুয়ারী (বৃহস্পতিবার) সকাল ১১টা থেকে বিকাল ৫টা পর্যন্ত অভিযানে ইউনিয়নের পাইটকেলবাড়ী এলাকায় ড্রাম চিমনির ৫টি ও কাঞ্চনপুর এলাকায় ৪টি জিকজাক ভাটায় ভাংচুর ও জরিমানা করা হয়। ড্রাম চিমনির ৫টি ভাটাকে ৫ লক্ষ ও জিকজাক ৪ ভাটাকে ৭ লক্ষ টাকা জরিমানা করে তাৎক্ষনিক আদায় করে নেন এক্সিকিউটিভ ম্যাজিষ্ট্রেট মমতাজ বেগম এবং পরবর্তীতে কাঠ পোঁড়ানোর অভিযোগ পেলে আবারও অভিযান করা হবে বলে সতর্ক করে যান। এ সময় উপস্থিত ছিলেন জেলা পরিবেশ অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক মোঃ আব্দুল মালেক মিয়া, পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিসের কর্মকর্তা ও কর্মচারীসহ প্রিন্ট ও ইলেক্ট্রনিক মিডিয়ার সাংবাদিকবৃন্দ।
এ সময় হাজি সাহেবের ভাটার ম্যানেজার সাইফুল ইসলাম বলেন, অবৈধ ড্রাম চিমনির ভাটায় ইটের উৎপাদন খরচ কম হওয়ায় জিকজাক ভাটার মালিকেরা ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছে। কারণ কয়লায় ইট পোঁড়ালে উৎপাদন খরচ বেশী আসায় ড্রাম চিমনির কাছে মার খাচ্ছে জিকজাক ভাটাগুলো। তাই ড্রাম চিমনির ভাটা বন্ধ করার আহ্বান জানান তিনি।
এক্সিকিউটিভ ম্যাজিষ্ট্রেট মমতাজ বেগম ও সহকারী পরিচালক মোঃ আব্দুল মালেক মিয়া বলেন, ড্রাম চিমনির কোন ইটের ভাটা থাকবেনা এবং জিকজাক ভাটায়ও কাঠ পোড়ানো বন্ধ করতে হবে। অবৈধ ইটের ভাটা উচ্ছেদে আমাদের অভিযান অব্যহত থাকবে।