সোহেল রানা বাবু বাগেরহাট প্রতিনিধি
ভারত – বাংলাদেশ ঐতিহ্য সংরক্ষণ সোসাইটি থেকে “মাদার তেরেসা সম্মাননা – ২০২৪” পুরস্কার পেলেন বাগেরহাটের নারী উদ্যোক্তা নাজনীন তৌহিদ। গেল ৯ মার্চ শনিবার, বিকালে ভারতের ত্রিপুরা আগরতলা প্রেসক্লাব অডিটোরিয়ামে গুণীজন সংবর্ধনা ও মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে এই সম্মাননা প্রদান করা হয়। এ সময় তাকে সনদপত্রও তুলে দেওয়া হয়।
বাগেরহাটের এর মোরেলগঞ্জের ছোট জিলবুনিয়া গ্রামের এই নারী উদ্যেক্তা একাধারে ,লেখক,আবৃত্তিকার সহ সমাজ উন্নয়নে অবদান রাখার জন্য বেশ কয়েকটি পুরষ্কার লাভ করেন। কৈশোর থেকে এ পর্যন্ত তিনি বহু কবিতা, ছোটগল্প,স্মৃতিকথা, ভ্রমণ বিষয়ক গল্প, উপন্যাস, নাটক, রম্য রচনা,রান্নার রেসিপি, ফিচার এবং কলাম লিখে চলছেন। তার লেখা দেশের জাতীয় প্রথম শ্রেনীর বিভিন্ন পত্র-পত্রিকা এবং অন লাইন পোর্টালে নিয়মিত ছাপা হয়ে থাকে। লেখালেখি ছাড়াও তিনি একজন আবৃত্তিকারকও বটে।
এসব কাজে অবদানের জন্য বিভিন্ন সময়ে পুরস্কৃত এবং সম্মানিত হয়েছেন। এরমধ্যে ইউনিলিভার আয়োজিত পন্ডস সেকেন্ড হানিমুন পুরস্কার,প্রাণ জাতীয় আচার প্রতিযোগিতা পুরস্কার,ডিপ্লোমা মিষ্টি লড়াই পুরস্কার, প্রিয়বাসিনী শ্রেষ্ঠ নারী লেখক অ্যাওয়ার্ড,রাওয়া বেস্টসেলার নারী লেখক অ্যাওয়ার্ড,আবৃত্তি বিচারক হিসেবে গন্তব্য স্বপ্নের সম্মাননা স্মারক,বাগেরহাট ফাউন্ডেশন আযোজিত বাগেরহাট জেলার সফল নারী লেখক সম্মাননা গ্রহন করেন তিনি। তার লেখা বিভিন্ন সময়ে মোট ১৫ টি বই ইতিমধ্যে প্রকাশিত হয়েছে ।
প্রকাশিত বইয়ের মধ্যে কবিতার ফসল, কখনো জীবনের গল্পে রেখে যান আঁজলা ভরা জল, ”কখনো উপন্যাসের পাতায় ছড়িয়ে দেন স্মৃতি ভেজা উষ্ণ মমতা” শাল পিয়ালের বনে (ভ্রমণ), লাল বড়ুজান (উপন্যাস),কয়েদী নাম্বার৬৬৬৬(উপন্যাস), ঠিকানা কোথায় (গল্প গুচ্ছ),জন্ম থেকে জ্বলছি ( গল্পগুচ্ছ),গল্পেরা কথা বলে জোনাকির সাথে (গল্প গ্রন্থ),পিঞ্জর (কাব্যগ্রন্থ) শিশু কিশোরদের জন্য -গল্পের ঝুড়ি, গপ্প সপ্প,দুষ্টু বাঘ ও দুখী ছানাপোনার গল্প এবং ভূতো মামা সিরিজের কয়েকটি কিশোর উপন্যাস অন্যতম। নাজনীন তৌহিদ ১৯৯৯ সাল থেকে বাংলাদেশ বেতারে উপস্থাপনা, আবৃত্তি,খবরপাঠ, এবং আলোচনা নিয়ে বিভিন্ন অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করে আসছেন।
বর্তমানে নারীদের জন্য উন্নয়নমূলক সংস্থা ‘জাগো নারী ফাউন্ডেশনে’ এক্সিকিউটিভ প্রেসিডেন্ট হিসেবে কর্মরত আছেন। মাদার তেরেসা সম্মাননা অনুষ্ঠানে ত্রিপুরা রাজ্যের হজ্জ বোর্ডের চেয়ারম্যান শাহ আলম মজুমদারের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসাবে সম্মাননা তুলে দেন ভারত সরকারের সাংসদ শ্রী রেবতী ত্রিপুরা। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন পশ্চিম ত্রিপুরার জেলাশাসক ও কালেক্টর ডাক্তার বিশাল কুমার। ত্রিপুরার বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ ডক্টর মোস্তফা কামাল। সংগঠনের ভারতের কান্ট্রি ডিরেক্টর মোসাহিদ আলী।
বাংলাদেশের কান্ট্রি ডিরেক্টর, বিশিষ্ট কবি ও গুণী ব্যক্তিত্ব মুহাম্মদ মাসুম বিল্লাহ এবং ভারতের বিশিষ্ট কবি নন্দিতা ভট্টাচার্য প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।