নবধারা ডেস্ক
কোটা সংস্কার আন্দোলন ঘিরে চট্টগ্রামে নাশকতার ঘটনায় চিহ্নিত শিবির ক্যাডার ও ছাত্রদল নেতাদের সংশ্লিষ্টতার প্রমাণ পেয়েছে পুলিশ। সিসি ক্যামরার ফুটেজ ও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম বিশ্লেষণ করে বেশ কয়েকজনকে এরইমধ্যে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তাদের কাছ থেকে সরকারি সম্পদ ধ্বংস পরিকল্পনার ভয়ানক তথ্যও পেয়েছে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী।
গ্রেপ্তারদের জিজ্ঞাসাবাদে জানা যায়, সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে পুলিশের ওপর হামলার নির্দেশনা দেন চট্টগ্রামের শিবির কর্মী আনাছ উদ্দিন চৌধুরী। আন্তর্জাতিক ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে কম্পিউটার প্রকৌশল বিভাগের এই শিক্ষার্থী গত ১৮ জুলাই বহদ্দারহাটে পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষে লিপ্ত ছিলেন। ছাত্র আন্দোলনকে পুঁজি করে সেদিন চাঁন্দগাও থানা ও পুলিশ বক্সেও আগুন দেওয়া হয়।
সেদিন বহদ্দারহাটে সক্রিয় ছিলেন মহসিন কলেজ ছাত্রদলের সহ-সভাপতি আবদুল আলী রাব্বী। নিজের মোবাইলফোনে ভিডিও চিত্রও ধারণ করেন তিনি। আগুন জ্বালানোর নির্দেশনার পাশাপাশি বেশ কয়েকটি স্থানে হামলা ও ভাঙচুরে নের্তৃত্ব দেন।
চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশের (সিএমপি) উপ পুলিশ কমিশনার মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, ২০১৩ সালে সহিংসতায় যুক্তরা এবারও সক্রিয় ছিল। পরিকল্পনাই ছিল আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী ও রাষ্ট্রীয় স্থাপনায় হামলা। এদের অনেককেই এর আগে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। পরে জামিন পেয়ে তারা একই ধরনের কর্মকাণ্ডে লিপ্ত হচ্ছে।
মোস্তাফিজুর রহমান আরও বলেন, ছাত্র আন্দোলনের আড়ালে রাষ্ট্রের ক্ষতি করতেই নাশকতা চালানো হয় বলে প্রমাণ পাওয়া গেছে।
নগরজুড়ে নাশকতার ঘটনায় ১৬টি মামলায় আসামি প্রায় ৩৬ হাজার। গ্রেপ্তার রয়েছে ৩৭৩ জন।