
মোঃ জসিম উদ্দিন দুমকি (পটুয়াখালী) প্রতিনিধি
পঁয়ষট্টি বছর আগে নির্মিত রাস্তা কেটে চলাচলের প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করার অভিযোগ উঠেছে প্রতিপক্ষের বিরুদ্ধে । দুমকি উপজেলার শ্রীরামপুর ইউনিয়নের ২নং ওয়ার্ডে দুমকি গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
এ ঘটনায় গত মঙ্গলবার মৃত্যু রহম আলী হাওলাদারের ছেলে আলহাজ্ব ওয়াজেদ আলী হাওলাদার (৮০) দুমকি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার নিকট একটি লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন। ঘটনার সাত দিন পার হলেও রাস্তাটি সংস্কার না করায় চরম দুর্ভোগে পড়ছেন এলাকাবাসী।
জানা যায় পঁয়ষট্টি বছরেরও অধিক সময় সোনামদ্দি মেম্বার বাড়ির লোকজন চলাচলের জন্য রাস্তাটি নির্মান করে চলাচল করে আসছে। এ বাড়িতে একটি জুমার মসজিদ থাকায় গ্রামের মুসুল্লীরা সালাত আদায় করতে আসেন। বাউফল – লেবুখালী সড়ক হতে সোনামদ্দি হাওলাদার বাড়ি হয়ে মিয়া বাড়ি পর্যন্ত এ রাস্তাটি স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তরের গ্রামীন রাস্তার আইডির অর্ন্তভুক্ত (আইডি নং ৫৭৮৯৬৫০৯৮) হয়ে ২২/২৩ অর্থ বছরে এডিবি বরাদ্দের টাকায় অধিকাংশেই সিসিঢালাই সম্পন্ন হয়েছে। এ রাস্তাদিয়া এলাকার উপজেলার বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা, দুমকি নতুন বাজার, পীরতলা বাজারে শত শত লোক আসা-যাওয়া করে।
এলাকাবাসী জানান, একই গ্রামের প্রতিবেশী আর্শ্বেদ আলী হাওলাদারের ছেলে ছেলে হযরত আলী হাওলাদারের সঙ্গে জমি জমা নিয়ে মামলার জেরে রাস্তা কেটে চলাচল বন্ধ করে দেন। এমতাবস্থায় এ পথে চলাচল করতে না পারায় শত শত শিক্ষার্থী, মসজিদের মুসুল্লী ও সাধারণ মানুষের ভোগান্তির সৃষ্টি হয়েছে। ফলে অসহনীয় দুর্ভোগে পড়েছেন গ্রামবাসী।
ওয়াজেদ হাওলাদার বলেন পঁয়ষট্টি বছরেরও অধিক সময় আমাদের বাড়ি সহ এলাকার লোকজন এ রাস্তা দিয়া চলাচল করে প্রতিপক্ষের লোকজন প্রতিবেশী হওয়ায় জমি জমার বিরোধ আছে যা আদালতে বিচারাধীন তাই বলে এলাকাবাসীর চলাচলের একমাত্র এ রাস্তাটি কেটে ফেলতে পারেনা।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে হযরত আলী হাওলাদার জানান, পুর্ব পুরুষরা ঐ বাড়ির লোকজন কে হাটার জন্য আমাদের জমির মধ্যে রাস্তা দিয়ে গেছে কিন্তু জমি জমা নিশে আদালতে মামলা করায় আমরা তাদের আর চলাচল করতে দিবো না। চলাচল করতে চাইলে আমাদের সঙ্গে সমঝোতা করেই চলতে হবে।
এ বিষয় দুমকি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শাহীন মাহমুদ বলেন, অভিযোগ পেয়ে আমি সরেজমিন পরিদর্শন করে উভয়পক্ষের কাগজ পত্র সহ আমার অফিসে নিয়ে আসি। একটি দাগ নিয়ে আদালতে মামলা রয়েছে আদালত সে দাগে উভয়পক্ষের প্রবেশের নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে। তাই আমি উভয় পক্ষকে আদালতের আদেশের প্রতি শ্রদ্ধাশীল থেকে চলাচলে বাধা না দেওয়ার অনুরোধ করেছি।