জেলা প্রতিনিধি,সিলেট
মৎস্য সম্পদ উন্নয়নে সিলেটে আরও বেশি সংখ্যক প্রকল্প হাতে নেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন মৎস্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ড. মো. আব্দুর রউফ। তিনি আজ সিলেটে অনুষ্ঠিত ‘বিদ্যমান সরকারি মৎস্য খামারসমূহের সক্ষমতা ও মৎস্য উৎপাদন বৃদ্ধির লক্ষ্যে অবকাঠামো উন্নয়ন প্রকল্প (১ম পর্যায়)’ এর আওতায় জেলা পর্যায়ের আঞ্চলিক কর্মশালায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ কথা বলেন।
ড. মো. আব্দুর রউফ জোর দিয়ে বলেন, মাছের উৎপাদন বাড়াতে হলে উন্নতমানের পোনার প্রয়োজন। কিন্তু প্রাকৃতিক প্রজনন ব্যাহত হওয়ায় কৃত্রিম প্রজননের ওপর গুরুত্ব দিতে হবে। তিনি আরও জানান, পঞ্চাশ ও ষাটের দশকে নির্মিত সরকারি মৎস্য খামারগুলোর অবকাঠামোগত সংস্কার প্রয়োজন। উত্তম মাছ চাষ ব্যবস্থাপনা এবং আধুনিক প্রযুক্তির সমন্বয়ে এ খাতে বিপ্লব ঘটানো সম্ভব। জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব মোকাবিলায়ও তিনি গুরুত্বারোপ করেন এবং উপস্থিত মৎস্য খামারীদের বিভিন্ন সমস্যার সমাধানের আশ্বাস দেন।
সিলেট জেলা মৎস্য কর্মকর্তার কার্যালয়ের আয়োজনে নগরীর মির্জাজাঙ্গালে নির্ভানা ইন কমপ্লেক্সের কনফারেন্স হলে এই কর্মশালাটি অনুষ্ঠিত হয়। এতে জেলার বিভিন্ন পর্যায়ের মৎস্য চাষী এবং উদ্যোক্তারা অংশগ্রহণ করেন।
সিলেট বিভাগের মৎস্য অধিদপ্তরের পরিচালক মো. আসাদুল বাকীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত এই কর্মশালায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন মৎস্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ড. মো. আব্দুর রউফ। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সিলেট বিভাগের মৎস্য অধিদপ্তরের উপপরিচালক মো. আশরাফুজ্জামান। কর্মশালায় মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন বিদ্যমান সরকারি মৎস্য খামারসমূহের সক্ষমতা ও মৎস্য উৎপাদন বৃদ্ধির লক্ষ্যে অবকাঠামো উন্নয়ন প্রকল্প (১ম পর্যায়) এর প্রকল্প পরিচালক মো. মশিউর রহমান। স্বাগত বক্তব্য প্রদান করেন সিলেট জেলা মৎস্য কর্মকর্তা সীমা রাণী বিশ্বাস। কর্মশালার শুরুতে জুলাই অভ্যুত্থানে শহীদদের স্মরণে এক মিনিট নীরবতা পালন করা হয়।
কর্মশালায় বক্তারা ২০২৪ সালের জুলাই থেকে ২০২৮ সালের জুন পর্যন্ত চার বছর মেয়াদী এই প্রকল্পটি মৎস্য অধিদপ্তরের নেতৃত্বে সকলের প্রচেষ্টায় সফলতার মুখ দেখবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন। কর্মশালায় অন্যান্যদের মধ্যে সিলেট জেলার বিভিন্ন পর্যায়ের মৎস্য কর্মকর্তা, কর্মচারী এবং প্রিন্ট ও ইলেক্ট্রনিক মিডিয়ার প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।