ভারতের ক্রিকেটে রোহিত শর্মা এবং বিরাট কোহলি নামটাই এখন অনেকটা আড়ালে। প্রায় দেড় দশক ভারতের ক্রিকেটকে সমৃদ্ধ করেছেন দুজনে। তবে বয়সের কারণে নিজেদের গুটিয়েও নিয়েছেন। ২০২৪ সালেই টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ জিতে ভারতের হয়ে ২০ ওভারের ক্রিকেট ছেড়ে দেন দুজনে। টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের ফাইনাল নিশ্চিত না হওয়ার পর টেস্ট ক্রিকেটকেও দুজনে বিদায় বলেছেন।
রোহিত এবং কোহলি এখন আছেন কেবল ওয়ানডে ফরম্যাটের দলে। দুজনেই নিজেদের ধরে রাখছেন ২০২৭ বিশ্বকাপ পর্যন্ত। তবে ভারতীয় ক্রিকেটের কিংবদন্তি সৌরভ গাঙ্গুলি মনে করেন, কেবল এক ফরম্যাটে খেলা চালিয়ে পরের বিশ্বকাপে জায়গা পাওয়া কঠিনই হবে রোহিত এবং কোহলির জন্য।
ভারতের গণমাধ্যম পিটিআইয়ের সঙ্গে আলাপকালে সৌরভ গাঙ্গুলি বলেন, ‘বছরে ১৫ ম্যাচ খেলে এটা (২০২৭ বিশ্বকাপের দলে জায়গা করে নেওয়া) সহজ হবে না। তাদের জন্য আমার কোনো পরামর্শ নেই। আমি মনে করি, খেলাটি সম্পর্কে তারা আমার মতোই জানে। তারা নিজেদের সিদ্ধান্ত নেবে। আমাদের সকলকেই বুঝতে হবে, অন্য সবার মতো একটা সময় খেলা ওদের থেকে দূরে সরে যাবে এবং ওরাও খেলা থেকে দূরে যাবে।’
খেলা সরে যাওয়ার প্রসঙ্গে বলা যায় দুই তারকার বয়সের কথা। ২০২৭ সালে সাউথ আফ্রিকা, জিম্বাবুয়ে এবং নামিবিয়ায় হতে যাওয়া বিশ্বকাপের সময় কোহলির বয়স হবে ৩৮ এবং রোহিতের বয়স হবে প্রায় ৪০ বছর। সেই বয়সে ফিটনে ধরে রাখা নিয়েও সংশয় আছে সৌরভ গাঙ্গুলির। ভারতের সাবেক অধিনায়ক বিশ্বাস করেন, তারা নিজেরাই সেই সিদ্ধান্ত নেবেন।
টেস্ট ফরম্যাটে অবশ্য বিরাট কোহলিকে থাকতে অনুরোধ করেছিল ভারতের ক্রিকেট বোর্ড বিসিসিআই। তবে ভারতীয় এই ব্যাটার নিজ থেকেই সরে গিয়েছেন। কোহলির সিদ্ধান্ত নিয়ে সৌরভ গাঙ্গুলির মন্তব্য, ‘এমন একটা সময় অবসর নেয়া উচিত যখন মানুষ বলবে কেন অবসর নিলে। এমন সময় নেয়া উচিত না যখন বলবে কেন অবসর নিচ্ছে না। একজন খেলোয়াড় হিসেবে আপনি আপনার জায়গাটা জানেন। সে জানতো সবশেষ ৫ বছরে টেস্টে সেরাটা দিতে পারেনি। কিন্তু তাঁর মতো একজন চ্যাম্পিয়ন উপায় খুঁজে বের করতো। বিরাট যদি ইংল্যান্ড সফরে থাকতো তাহলে আমি আত্মবিশ্বাসী সে প্রচুর রান করতো। কিন্তু সে মনে করেছে এখনই যাওয়ার সময়।’
উল্লেখ্য, এফটিপি অনুযায়ী, বিশ্বকাপের আগে বাংলাদেশের পাশাপাশি অস্ট্রেলিয়া, সাউথ আফ্রিকা, নিউজিল্যান্ড, আফগানিস্তান, ওয়েস্ট ইন্ডিজ এবং শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে মেট ২৭ ওয়ানডে খেলবে ভারত। রোহিত এবং কোহলি বিশ্বকাপের ফ্লাইট ধরবেন কি না, তা জানা যাবে এই ২৭ ম্যাচ থেকেই।