দুমকি (পটুয়াখালী) প্রতিনিধি
পটুয়াখালীর দুমকিতে প্রতিপক্ষকে ফাঁসাতে প্রতিবন্ধী মেয়েকে ব্যবহার করে ধর্ষণের মিথ্যা নাটক সাজানোর অভিযোগে মামলার বাদী মোসাঃ কোহিনুর বেগম (৪৬) কে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছেন আদালত।
রোববার (২২ জুন) দুপুরে পটুয়াখালী নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক মোসাঃ নিলুফার ইয়াসমিন তার জামিন আবেদন নামঞ্জুর করে কারাগারে প্রেরণের নির্দেশ দেন।
আদালত সূত্রে জানা যায়, গত বছরের ২৩ সেপ্টেম্বর দুমকী উপজেলার মুরাদিয়া ইউনিয়নের ৫নং ওয়ার্ডের বাসিন্দা কোহিনুর বেগম দুমকী থানায় একটি ধর্ষণ মামলা দায়ের করেন। মামলায় তিনি অভিযোগ করেন, দুর্যোগপূর্ণ আবহাওয়ায় তার প্রতিবন্ধী মেয়েকে একা পেয়ে পার্শ্ববর্তী বাড়ির ফরিদ হাওলাদারের ছেলে রাসেল হাওলাদার (৩৭) এর সহযোগিতায় মোক্তার হোসেন মৃধা (৪১) ধর্ষণ করেছেন।
পরে পুলিশি তদন্ত ও মেডিকেল রিপোর্টে ধর্ষণের কোনো প্রমাণ মেলেনি। ফলে আদালত দুই আসামিকে মামলা থেকে অব্যাহতি দেন।
এরপর গত বছরের ৯ সেপ্টেম্বর মিথ্যা মামলা দিয়ে মানহানি ও হয়রানির অভিযোগে রাসেল হাওলাদার বাদী হয়ে কোহিনুর বেগমসহ সাতজনের বিরুদ্ধে মামলা করেন। সেই মামলায় রোববার আদালতে আত্মসমর্পণ করলে কোহিনুরকে কারাগারে পাঠানো হয়।
মামলার অন্য আসামিরা হলেন কোহিনুরের স্বামী কামাল শরীফ, দুই মেয়ে জোসনা আক্তার ও মারুফা আক্তার, ইউপি সদস্য নাসির হাওলাদার, রেবেকা বেগম ও স্থানীয় চৌকিদার মিজানুর রহমান।
স্থানীয় সূত্র জানায়, দীর্ঘদিনের জমি বিরোধ ও ইউপি নির্বাচনে বিরোধী পক্ষের পক্ষে কাজ না করার কারণে প্রতিপক্ষকে ফাঁসাতে এই মিথ্যা মামলা করা হয়।
এ বিষয়ে বক্তব্য জানতে ইউপি সদস্য নাসির হাওলাদারের মোবাইল ফোনে একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তিনি ফোন রিসিভ করেননি।