জেলা প্রতিনিধি, পিরোজপুর
মঙ্গবার (২৪জুন) জেলা নারীও শিশু আদালতের বিচারক মো: আসাদুল্লাহ এর আদালতে এ রায় প্রদান করা হয়। রায়ের সময় আসামি বাধন বসু আদালতে উপস্থিত ছিলেন।
দণ্ডপ্রাপ্ত বাধন বসু (১৭) ভান্ডারিয়া উপজেলার উত্তর ভিটাবাড়িয়া এলাকার ২নং ওয়ার্ডের গৌতম বসু ও শিখা রানীর ছেলে।
মামলা সূত্রে জানা যায়, ২০১৯ সালের ১৪ অক্টোবর ভান্ডারিয়া উপজেলার ভিটাবাড়িয়া এলাকার গৃহবধু তার দুই মেয়ের মধ্যে এক মেয়েকে নিয়ে বরিশালে চিকিৎসা করাতে যায়। বাড়িতে ছোট মেয়ে ও শ্বশুরকে রেখে যায়। রাতে শ্বশুর ঘুমিয়ে গেলে সুযোগ বুঝে আসামী বাধন ভিকটিমকে ধর্ষণ করে পালিয়ে যায়। এ ঘটনায় ভিকটিমের মা রোকসানা বেগম বাদী হয়ে ভান্ডারিয়া থানায় মামলা করে।
মামলার বাদী রোকসানা বেগম বলেন, “ষষ্ঠ শ্রেণীতে পড়া শিশুকে ঘরে একা পেয়ে তার সাথে চরম খারাপ আচরণ করেছে। আমার মেয়ের সঙ্গে ও আমার পরিবারের সঙ্গে সর্বোচ্চ খারাপ কাজ করেছে। আমরা উপযুক্ত বিচার পাইনি। আসামির সর্বোচ্চ শাস্তি হলে আমরা উপযুক্ত বিচার পেতাম।”
নারী শিশু আদালতের পিপি নুরুল ইসলাম সরদার শাহজাহান বলেন, “ভান্ডারিয়ায় এক শিশু ধর্ষনের অভিযোগে আমরা প্রসিকিউশন মামলাটি প্রমাণ করতে সক্ষম হওয়ায় আদালত দীর্ঘ সাক্ষী প্রমান শেষে আসামীকে ১০ বছরের আটক আদেশ দিয়েছে আদালত। আদালতের রায়ে আমরা সন্তোষ প্রকাশ করছি।”