মিলন সিদ্দিকী, ধামরাই (ঢাকা) প্রতিনিধি
ঢাকার ধামরাই উপজেলার কালামপুর সাব-রেজিস্ট্রি অফিসের ওমেদার মেরাজ আহমেদের বিরুদ্ধে উঠেছে গুরুতর দুর্নীতি ও অনিয়মের অভিযোগ। অভিযোগে জানা যায়, তিনি সরকারি অনুমোদন বা নিয়োগপত্র ছাড়াই সাব-রেজিস্ট্রার অফিসের খাস কামরায় কাজ করছেন এবং নিয়মবহির্ভূতভাবে নথিপত্রে হাত দিচ্ছেন।
ভুক্তভোগী দলিলদাতা ও দলিলগ্রহীতারা অভিযোগ করেন, মেরাজ প্রতিনিয়ত বিভিন্ন অজুহাতে ঘুষ আদায় করছেন এবং অফিসের অন্য কর্মচারীদের ভয়ভীতি দেখিয়ে জিম্মি করে রেখেছেন। একাধিক নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কর্মচারী জানান, মেরাজের দৈনিক মুজুরি নির্ধারিত ৬০ টাকা হলেও বাস্তবে তিনি লক্ষাধিক টাকা হাতিয়ে নিচ্ছেন।
এক স্থানীয় সাংবাদিক তার ফেসবুকে মেরাজের অনিয়ম তুলে ধরলে মেরাজ তাকে ‘হলুদ সাংবাদিক’ বলে আখ্যা দেন এবং চাঁদাবাজি মামলার হুমকি দেন। এমন আচরণে সাংবাদিক মহলেও ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে।
এ বিষয়ে সাব-রেজিস্ট্রি অফিসের সহকারী (মহরা) জানান, “মেরাজ আহমেদের কোনো কাগজপত্র এখনো অফিসে পৌঁছায়নি, তবে আসতে পারে।” অন্যদিকে, ধামরাই সাব-রেজিস্ট্রার নাজমুল হাসান ফোনে মন্তব্য চাওয়া হলে সাংবাদিককে অফিসে এসে দেখা করার পরামর্শ দিয়ে ফোন কেটে দেন।
সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে দ্রুত তদন্তের দাবি জানিয়েছেন সচেতন মহল। স্থানীয়দের আশঙ্কা, এভাবে প্রশাসনিক জবাবদিহিতা ও নিয়ন্ত্রণহীনতার মধ্য দিয়ে গুরুত্বপূর্ণ নথিপত্রের নিরাপত্তা ও জনসাধারণের সেবা ব্যাহত হচ্ছে।