শামসুল হক ভূইয়া, গাজীপুর প্রতিনিধি
গাজীপুর কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে (গাকৃবি) নতুন ছাত্রী হলে আনন্দঘন ও উৎসবমুখর পরিবেশে আন্তঃহল বার্ষিক ক্রীড়া প্রতিযোগিতা ২০২৩-২৪ এর পুরস্কার বিতরণী ও এমএস (মাস্টার্স অব সায়েন্স) শিক্ষার্থীদের নবীনবরণ অনুষ্ঠিত হয়েছে। এ আয়োজন যেমন অনুপ্রেরণাদায়ক, তেমনি ছিল শ্রদ্ধা ও সম্ভাবনার সম্মিলিত বহিঃপ্রকাশ। নবীবরণ অনুষ্ঠান ও একই হলের শিক্ষার্থীদের মাঝে বিভিন্ন ইভেন্টে অনুষ্ঠিত বিজয়ীদের পুরস্কার বিতরণী গত মংগলবার সন্ধ্যায় হলের সম্মেলন কক্ষে অনুষ্ঠিত হয়।
অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন হল প্রভোস্ট প্রফেসর ড. ফারহানা ইয়াসমিন। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন গাকৃবি’র উপাচার্য প্রফেসর ড. জিকেএম মোস্তাফিজুর রহমান।
বিশেষ অতিথি ছিলেন উপ-উপাচার্য প্রফেসর ড. এম.ময়নুল হক, ট্রেজারার প্রফেসর ড. মোঃ সফিউল ইসলাম আফ্রাদ, ডিন (গ্র্যাজুয়েট স্টাডিজ) প্রফেসর ড. মোঃ রমিজ উদ্দিন মিঞা এবং পরিচালক (ছাত্র-কল্যাণ) প্রফেসর ড. মোহাম্মদ সাইফুল আলম। এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন হলের সহকারি প্রভোস্ট এরিন জামান, মনিরা পারভীন মুন, হাউজ টিউটর জান্নাতুল ফেরদৌস স্মৃতিসহ হলের কর্মকর্তা-কর্মচারিবৃন্দ। এ সময় উপস্থিত ছিলেন হলের নবীন-প্রবীণ শিক্ষার্থীগণ।
অনুষ্ঠানের শুরুতে নবাগত এমএস শিক্ষার্থীদের ফুল, ক্রেস্ট ও শুভেচ্ছা বার্তায় বরণ করে নেয়া হয়। পরে নবীন শিক্ষার্থীবৃন্দ স্মৃতিচারণ করেন। স্মৃতিচারণে স্পপ্নের মতো সুন্দর ক্যাম্পাসে নিজেদের গড়ে তুলতে চান মানবিক মানুষ হিসেবে। পরবর্তীতে হলের পক্ষ থেকে উপাচার্যসহ আমন্ত্রিত অতিথিবৃন্দদের সম্মাননা স্মারক তুলে দেন ড. ফারহানা ইয়াসমিন।
এরপর সভাপতির বক্তব্যে প্রভোস্ট বলেন, শিক্ষার্থীদের হলে সকল ধরনের সুবিধা নিশ্চিতে হল প্রশাসন সর্বদা সচেষ্ট রয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন শিক্ষার্থীদের যেকোনো সমস্যা সমাধানে অত্যন্ত তৎপর বিধায় বিশ^বিদ্যালয় প্রশাসনকে ধন্যবাদও দেন তিনি। সভাপতির বক্তব্যের পর অন্তঃহলে ৯ টি ইভেন্টে অনুষ্ঠিত বিজয়ীদের হাতে পুরস্কার তুলে দেন উপাচার্য। শেষে প্রধান অতিথির বক্তব্যে উপাচার্য নবীন শিক্ষার্থীদের উদ্দেশ্যে অনুপ্রেরণামূলক বক্তব্য তুলে ধরেন।
উপাচার্য তাঁর বক্তব্যে বলেন, “নারী শিক্ষার্থীদের মানসিক ও একাডেমিক বিকাশে এ ধরনের উদ্যোগ অত্যন্ত প্রশংসনীয়। এটি শুধু সম্মাননা প্রদান নয়, বরং শিক্ষার্থীদের সামনে এক আদর্শ ও অনুপ্রেরণার আলো জ্বালায়।” অনুষ্ঠানের সমাপ্তি ঘটে এক মনোমুগ্ধকর সাংস্কৃতিক পরিবেশনার মাধ্যমে। সংগীত, আবৃত্তি ও নৃত্যে শিক্ষার্থীদের অংশগ্রহণ পুরো হল জুড়ে এক প্রাণবন্ত ও আনন্দঘন আবহ তৈরি করে।